হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় শপিং মলের কাছে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সেখানে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, স্থানীয় সময় ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়ায় রুজভেল্ট বুলেভার্ড ও কটম্যান অ্যাভিনিউয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কমপক্ষে দুইজন আরোহীসহ বিমানটি একটি শপিং মলের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থলে ‘বড় ধরনের ঘটনা’ ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে জরুরি ব্যবস্থাপনা কার্যালয়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেখানে আগুনের শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়। এরপর ঘটনাস্থলে দ্রুত জরুরি উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছান।
দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। বিমানের ধ্বংসাবশেষ একাধিক যানবাহনে আঘাত করেছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানটিতে দুজন আরোহী ছিলেন। তবে স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটিতে ছয়জন যাত্রী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিমান বিধ্বস্তের ফলে রুজভেল্ট মলের কাছে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এবং ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য কাজ করছে জরুরি উদ্ধারকারীরা।
এরআগে ২৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে মাঝ আকাশে হেলিকপ্টারের সঙ্গে একটি যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় হেলিকপ্টার ও বিমান উভয়ই বিধ্বস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টার ও বিমানে আরোহীদের ৬৭ জনের সবাই নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
হিজবুল্লাহর সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় অ্যাম্বুলেন্স, প্যারামেডিক এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিত জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ ৫ মার্চ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত ২৭ নভেম্বরের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তি হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধসহ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত থামিয়ে দেয়। সর্বাত্মক যুদ্ধের সময় ইসরায়েল স্থল সেনা পাঠিয়েছিল।
এ সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যোদ্ধা ও অস্ত্র পরিবহনের জন্য হিজবুল্লাহ-অনুমোদিত ইসলামিক স্বাস্থ্য কমিটির অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার অভিযোগ করে। তবে গোষ্ঠীটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
অ্যামনেস্টির মতে, লেবাননে যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা, অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বারবার বেআইনি হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিৎ।
লেবাননের সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে লেবাননের ভূখণ্ডে সংঘটিত রোম সংবিধির অধীনে অপরাধ তদন্ত ও বিচারের এখতিয়ার প্রদান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকারের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত ডিসেম্বরে লেবাননের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ বলেন, যুদ্ধের সময়, হাসপাতালগুলোতে ৬৭টি হামলা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ৪০টি হাসপাতাল সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল’, যার ফলে ১৬ জন নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, জরুরি সাড়াদান সংস্থাগুলোর ওপর ২৩৮টি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এবং ২০৬ জন নিহত হয়েছে, অগ্নিনির্বাপক ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স সহ ২৫৬টি জরুরি যানবাহনকেও ’লক্ষ্যবস্তু’ করা হয়েছিল হামলায়।
অ্যামনেস্টি জানায়, তারা গত বছরের ৩ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বৈরুত এবং দক্ষিণ লেবাননে স্বাস্থ্যসেবা এবং যানবাহনের ওপর চারটি ইসরায়েলি হামলার তদন্ত করেছে। ওই হামলায় ১৯ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত, ১১ জন আহত এবং একাধিক অ্যাম্বুলেন্স এবং দু’টি চিকিৎসা সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস করা হয়েছে’।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন কোনো প্রমাণ পায়নি যে হামলার সময় স্থাপনা বা যানবাহন সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা নভেম্বরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে তাদের অনুসন্ধানের তথ্য লিখেছিল কিন্তু প্রকাশের সময় পর্যন্ত তারা এর কোনো উত্তর পাননি।
লেবাননের কর্তৃপক্ষের মতে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েলি বোমা হামলায় দক্ষিণ ও পূর্বের কিছু অংশ এবং বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার পুনর্গঠন ব্যয় ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সূত্র : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইতে সাইক্লোন ফ্রেডির আঘাতে কমপক্ষে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ মার্চ সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে ৯৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালাউইর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা।
কালেম্বার মতে, মালাউইয়ের বাণিজ্যিক রাজধানী ব্লানটায়ারে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৪ মার্চ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
কালেম্বা সোমবার সন্ধ্যায় সিএনএনকে বলেছেন, ‘আমরা প্রায় সাতটি কাউন্সিলে ৯৯ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছি। এর মধ্যে ব্লানটায়ার শহরে সবচেয়ে বেশি ৮৫ জন মারা গেছেন এবং এই এক শহরেই প্রায় ১৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’
এছাড়া নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সিএনএন বলছে, মালাউইয়ের সরকার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ‘দুর্যোগময় অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ‘ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি মালাউইয়ের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ জেলায় যে ধ্বংসলীলা সৃষ্টি করেছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ’ জানিয়েছেন বলে সরকারি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার ইতোমধ্যেই জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিচ্ছে, সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জরুরি সহায়তা প্রদান করছে এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
টানা কয়েকদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর মিয়ানমারের কাওলিন শহরের দখল নিয়েছে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীরা। গত সোমবার কাওলিনের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে সেনা বাহিনী পিছু হটেছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে দেশটির জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (নাগ)।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সাগাইংয়ে অবস্থিত কাওলিন কৌশলগত দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। কারণ কাওলিন জেলার সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সদর দপ্তরের অবস্থান এই শহরে। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন কাওলিনে।
যেহেতু জেলার সামরিক প্রশানিক কার্যালয়ের শহর কাওলিনে, তাই এই শহরটির দখল করা মানে এক অর্থে পুরো কাওলিন জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক জোট ‘নাগ’ একই সঙ্গে নিজেকে দেশটির ছায়া সরকার বলেও দাবি করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় নাগের প্রধানমন্ত্রী মান উইন খাইং থান বলেন, ‘জেলা শহর কাওলিন এখন আমাদের দখলে। কী যুগান্তকারী একটি বিজয়!’
এক্সে একটি ভিডিওচিত্রও পোস্ট করেছেন খাইং থান। সেখানে দেখা গেছে— কাওলিন সামরিক প্রশাসনিক কার্যালয়ের সেনা সদস্যরা কার্যালয়ের সামনে বিদ্রোহী জোট নাগের পতাকা উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে জান্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি।
কাওলিন শহরের ২৮ বছর বয়সী এক বাসিন্দা নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে এবং এই সংঘর্ষের আঁচ থেকে আত্মরক্ষা করতে কাওলিনের অধিকাংশ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছেন।
‘শহরে আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। প্রায় সবাই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে’, বলেছেন সেই বাসিন্দা।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়ে সরকার গঠন করেছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু সেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর বন্দি করা হয় এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চিসহ দলটির অধিকাংশ উচ্চ ও ও মাঝারি পর্যায়ের নেতা ও আইনপ্রণেতাদের। এখনও তারা কারাগারে রয়েছেন।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ অবশ্য সামরিক বাহিনীর এ পদক্ষেপ একেবারেই মেনে নেয়নি। বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই রাজধানী নেইপিদো, প্রধান শহর ও বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির ছোট-বড় বিভিন্ন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের শুরুর দিকে শান্তিপূর্ণভাবে তা দমনের চেষ্টা করলেও একসময় বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় জান্তা।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে হাজারেরও অধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এক পর্যায়ে গণতন্ত্রপন্থীরা জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোতে যোগ দিতে থাকেন, গঠিত হয় ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা নাগ।
বেলজিয়ামভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিচার্ড হোরসি অবশ্য মনে করছেন নাগ বেশিদিন এই শহর দখলে রাখতে পারবে না।
‘মিয়ানমারের যে বাস্তবতা, তাতে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষে পার্বত্য অঞ্চলের কোনো প্রাদেশিক শহর দখল করে নেওয়া তেমন কঠিন নয়; তবে দীর্ঘসময় ধরে তা দখলে রাখা খুব কঠিন।’ সূত্র : রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
রিদম অফ লাইফ শিরোনামে প্রতি বছরের মতো এবারো জার্মানির বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে শুরু হলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা ‘অ্যাম্বিয়েন্তে ২০২৫’। ফ্রাঙ্কফুর্টের আন্তর্জাতিক মেসেতে ৭ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত এ মেলা শুরু হয়।
মেলার আয়োজক জার্মানি ছাড়াও বিশ্বের প্রায় কয়েক লাখ দর্শনার্থী এবং চার হাজারের বেশি উদ্যােক্তা, প্রস্তুতকারক, চিন্তক, ডিজাইনার ও প্রদর্শক মেলায় অংশ নিচ্ছে। বরাবরের মতো বাংলাদেশও আছে। দেশের ৪২টি প্রতিষ্ঠান বিশ্বখ্যাত এইমেলায় তাদের তৈরি নানা পণ্য প্রদর্শন করছে। যার মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান দেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অধীনে। আর বাকিগুলো ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে বার্লিনে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স রাহাত বিন জামান বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তের মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাগুলোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশের রপ্তানি পণ্যে তো বটেই, সামগ্রিক অর্থনীতি ও দেশের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাস সবসময়ের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থেকে আন্তর্জাতিক যেকোনো মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সার্বিক সহায়তা করে যাবে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর চৌধুরী মোহাম্মদ গোলাম রাব্বী বলেন, অ্যাম্বিয়েন্তে মেলা বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা পণ্য বাণিজ্য মেলা, যেখানে বাংলাদেশের দৃঢ় উপস্থিতি আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। এবারের মেলায় হস্তশিল্প, সিরামিকস ও কুকওয়্যারসহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্প্রসারণের মূল কৌশল এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও EPB-এর সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ যাতে আরো বহুমুখী পণ্য নিয়ে এ মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এবারের মেলায় দেশের পণ্যের উচ্চমান ও পরিবেশবান্ধব হস্তশিল্পের পাশাপাশি বাংলাদেশি সিরামিকস, যা নান্দনিকতা ও টেকসই মানের জন্য পরিচিত, বৈশ্বিক খুচরা ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিবেশকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির ফেডারেল কর্মচারীদের একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে। যেখানে তাদের আগের সপ্তাহের কাজের সাফল্য বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতের মধ্যে এই তথ্য না দিলে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ই-মেইলে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ই-মেইল পাঠানোর কিছুক্ষণ আগেই, ট্রাম্প প্রশাসনের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্ণমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করা এক টুইটে বলেন, এই ইমেইলের উত্তর না দিলে তা পদত্যাগ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, ‘সব ফেডারেল কর্মচারী শীঘ্রই একটি ই-মেইল পাবেন, যেখানে জানতে চাওয়া হবে তারা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন। উত্তর দিতে ব্যর্থ হলে, তা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ বলে বিবেচিত হবে।’
মাস্কের এই পোস্টের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্ট বলেন, ডিওজিইকে আরো আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং ২৩ লাখ ফেডারেল কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে সরকারকে ঢেলে সাজাতে হবে।