হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
নিউইয়র্কে গত চার বছরে অপরিশোধিত টোলের কারণে এমটিএ ৫.১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিউইয়র্কবাসীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সৎ চালকেরা তাদের কষ্টের টাকা দিলেও অনেকে অন্যায় করেও পাড় পেয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এনওয়াইসি লেবার কাউন্সিল এবং স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তিন লাখ সদস্যের চেয়ারম্যান হ্যারি নেসপোলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা এমনকি তাদের অপরিশোধিত টোল পর্যন্ত আদায় করতে পারছে না। ফলে তারা আমাদের ওপর কনজেশন প্রাইসিং চাপিয়ে দিচ্ছে। তাদের উচিত টোল লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে টোল সংগ্রহ করা। তিনি কনজেশন প্রাইসিং বাতিল করার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানান। বর্তমানে আইন মান্যকারী শ্রমজীবী লোকজন অন্যায়কারীদের ঘাটতি পূরণ করছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালেই টোল লঙ্ঘনকারীদের মোট অসংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ছিল ১.৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের সময়কালে তা ৩.৭ বিলিয়ন ডলার।
কর্তৃপক্ষ মনে করছে, বার্ষিক অপরিশোধিত টোলের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ৯ বিলিয়ন ডলারের কনজেশনাল টোলের সামগ্রিক হিসাব টানা হলে। ওই ফি ২০২৮ সালে ১২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩১ সালে ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে।
অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় পাওয়ায় ম্যানহাটনের লি বলেন, অনেক কষ্টের পয়সা টোল হিসেবে দিয়ে থাকেন তিনি। অথচ অনেক লোক অবৈধভাবে কিংবা ভুতুরে প্লেট লাগিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জনকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ওয়াশিংটন। ওই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বার্তা সংস্থাটি বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১৪ মার্চ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা বলেছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪০ জন উইঘুরকে জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান থাই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্ত শিগগিরই কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছি।
মার্কো রুবিও আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘূ উইঘুরদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে চীনের সরকার। যেসব দেশে উইঘুররা আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব দেশের সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে- তাদেরকে যেন চীনে ফেরত পাঠানো না হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া পৃথক এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠাতে চীন সেসব দেশের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই তৎপরতা ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনে এই উইঘুররা অব্যাহত নির্যাতন ও গুম-খুনের শিকার হচ্ছে।
তবে ওয়াশিংটনের থাই দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।
প্রসঙ্গত, এশিয়া অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ মারি হিবার্ট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এর আগে কখনও থাইল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে— এমন কোনো রেকর্ড নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারটি নিরুৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ঠিক কতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, তা অবশ্য প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তারা বলেছেন, শুধু কর্মকর্তারই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশি জনগণের দ্বারাই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নকারীর প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস।
এদিনের ব্রিফিংয়ে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার বলে অভিহিত করেছেন ট্যামি ব্রুস।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সাম্প্রতিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও বিভিন্ন দোকান ও ব্র্যান্ডে হামলার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, “বাংলাদেশে সম্প্রতি উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসবাদের আশঙ্কাজনক বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এও এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ড. ইউনূস সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার উত্থান ঘটেছে। প্রতিবাদকারীরা প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন করছে, এমনকি নাৎসি প্রতীক—যেমন ঢাকার একটি ছবিতে দেখা গেছে—তাও প্রকাশ্যে তুলে ধরা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন ব্র্যান্ড যেমন কেএফসি ও কোকাকোলাকে লক্ষ্য করে ইহুদি-বিরোধী (অ্যান্টিসেমিটিক) প্রচার চালানো হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টা বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা এসব উত্তেজনা উসকে দিচ্ছেন।”
জবাবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, আমি আপনার বক্তব্য শুনেছি এবং আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দেশটির কিছু বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই দেশ নিয়ে আমরা আগেও বহুবার আলোচনা করেছি, বিশেষ করে এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের মাধ্যমে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, তা হলো— ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই গ্রেফতারি পরোয়ানা বাংলাদেশের আদালতের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে। অবশ্যই, এই সমস্ত বিষয় এবং আপনি যা আলোচনা করছেন — এমনকি প্রতিবাদ ইত্যাদি — বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষেরই বিষয়, এবং অবশ্যই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আলোচনা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে এখানকার জনগণ। তারা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে— যেমনটা আপনারা উল্লেখ করেছেন এবং আমরা বিভিন্ন রিপোর্টেও দেখেছি। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে এটাকে তুচ্ছ বলে উল্লেখ করতে চাই না, কিন্তু এটা সত্যি।”
ট্যামি ব্রুস আরো বলেন, গণতন্ত্রও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা কীভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করবে। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দেখেছি, ভুল সিদ্ধান্ত কীভাবে জনগণের জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। কাজেই অনেক দেশের সামনে এখন স্পষ্ট পথ রয়েছে— তারা কী বিকল্প বেছে নেবে।
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের একটি স্থল অভিযান রুখে দেওয়ার দাবি করেছে হামাস।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠীর কাসসাম ব্রিগেড তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করেছেন, তাদের হামলায় উপায় না পেয়ে সেখান থেকে সামরিক যান রেখে পালিয়ে যায় ইসরায়েলি সৈন্যরা।
২২ অক্টোবর রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে এ ব্যাপারে হামাস বলেছে, ‘ইহুদিবাদী বাহিনীর সেনারা গাজার খান ইউনিসে আল-কাসেম ব্রিগেডসের অতর্কিত হামলার মুখে পড়ে। এরপর সেখান থেকে সামরিক যান রেখে হেঁটে সীমান্ত বেড়ার পূর্ব দিকে পালিয়ে যায়। ’
হামাসের দাবি স্বীকারও করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
তারা বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজা উপত্যকায় অভিযানের সময় হামাস গুলি বর্ষণ করে। এতে হামাসের নিক্ষেপ করা ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তাদের এক সৈন্য নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছে।
ব্যর্থ হওয়া অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল গাজার খান ইউনিস এলাকায় হামাস বন্দীদের শনাক্ত করা এবং হামাসের অবকাঠামোকে ধ্বংস করা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হামলার ঘটনার সময় ইসরায়েলি সৈন্যরা গাজার ভেতর অবস্থান করছিল বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাত ১৬ দিনে পড়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস আকাশ, স্থল ও জল তিন পথেই ব্যাপক হামলা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
এতে গাজায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। আহতের সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। তথ্যসূত্র: আলজাজিরা
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা রাজ্যে ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে।
২৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে হাইকমিশন কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা ও মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সব শহীদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য কোরআন তিলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া করা হয় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনার্থেও। মোনাজাত পরিবেশ করেন মিশন প্রধান আরিফ মোহাম্মদ।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং মিশনের প্রথম সচিব আল আমীন প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করেন ।
সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ড. দেবব্রত দেব রায়, রাজ্যের শিক্ষাবিদ ড. মুজাহিদ রহমান, ড. আশিষ কুমার বৈদ্য, ড. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ-ভারত সম্মননাপ্রাপ্ত সাংবাদিক মহিউদ্দিন মিশু।
অনুষ্ঠানে একাত্তরের গণহত্যার ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। পরে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ও গণহত্যার ব্যাপকতার ওপর আলোকপাত এবং ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে বাংলাদেশিদের জয়-জয়কার। দেশটির ভার্জিনিয়া স্টেট পার্লামেন্টের সিনেটর হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম বিজয়ী হয়েছেন। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিল অ্যাট লার্জ (মেয়রের সমপর্যায়ের ক্ষমতাবান) পদে বিজয়ী হয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা আহমেদ।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে পুনরায় জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভ’ত শাহানা হানিফ। মিলবোর্ন সিটির নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে পুনরায় জয়ী হয়েছেন নুরুল হাসান এবং সালাহউদ্দিন মিয়া। হাডসন সিটি কাউন্সিলেও ৪ বাংলাদেশি আমেরিকান পুনরায় বিপুল বিজয় পেয়েছেন। এরা হলেন, কাউন্সিলম্যান শেরশাহ মিজান, দেওয়ান সারওয়ার এবং রনী ইসলাম ও ওয়ার্ড সুপারভাইজার আব্দুস মিয়া।
অপরদিকে মিশিগান স্টেটের হ্যামট্রমিক সিটির প্রো-টেম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনরত কামরুল হাসান টানা চতুর্থবারের মতো আবারো বিজয়ী হয়েছেন। এই সিটির নির্বাচনে প্রথমবারের মত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হলেন মোহতাসিন সাদমান। বিজয়ীরা ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী ছিলেন।
নোয়াখালী জেলা সদরের সন্তান সাদ্দাম সেলিম ৭০% ভোট পেয়ে স্টেট সিনেটর হওয়ায় মার্কিন মুল্লুকে বাংলাদেশি আমেরিকান সিনেটরের সংখ্যা ৪ হলো। একই মর্যাদায় স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে গত চার টার্ম যাবত নির্বাচিত হয়ে আসছেন নিউ হ্যামশায়ার স্টেটের আবুল খান। নির্বাচিত প্রবাসীদের মধ্যে তিনিই একমাত্র রিপাবলিকান।
অপর সিনেটররা হলেন শেখ রহমান, মাসুদুর রহমান এবং নাবিলা ইসলাম। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য কাউন্সিলওম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন শাহানা হানিফ। তিনি ৭৫% ভোট পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ড. নীনা আহমেদ এবার তৃণমূলের ভোটে ফিলাডেলফিয়া সিটির কাউন্সিলওম্যান অ্যাট লার্জ হিসেবে জয়ী হওয়ায় প্রবাসীরা উৎসবে মেতেছেন।
উল্লেখ্য, ড. নীনা এর আগে পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্ণর পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির টিকিটে লড়েছেন। কিন্তু জয়ী হতে পারেননি। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেই সিটি মেয়রের সমমর্যাদার একটি আসনে বিজয়ী হলেন। ড. নীনা হচ্ছেন এই সিটির প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান কাউন্সিলম্যান ও প্রথম মুসলিম নারী।