হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
কানাডার স্থানীয় সময় ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুই দফা ফোনালাপের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন। মঙ্গলবার নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার যে সময়সীমা ছিল তার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত এলো।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কহার ধার্য করেন। চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপের আদেশ জারি করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা ঘোষণা দেন মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক করারোপ করা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে।
ইতোমধ্যে আমদানিকৃত ৩০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হয়েছিল। এতেই নড়েচড়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গত রবিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে সোমবার ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই আলোকে গতকাল সোমবার সকাল ও মধ্যাহ্নের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে দুইদফা ফোন করে শুল্কারোপ স্থগিত করেন।
এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর কাছে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। এক সফল ফোনালাপের অর্থ হল, আসন্ন বাণিজ্য যুদ্ধে একটি যুদ্ধবিরতি, যা সীমান্তের উভয় পাশে শ্রমিক এবং ব্যবসায়িকদের বড় অর্থনৈতিক যন্ত্রণা মুক্তি দেয়ার সম্ভাবনা সৃস্টি করেছে। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি এখনও কানাডার সাথে কাজ করেননি, কানাডার সাথে এক ধরণের ‘চূড়ান্ত অর্থনৈতিক চুক্তির’ পথ খুঁজছেন।
ট্রাম্পকে শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য ট্রুডো বলেছিলেন, কানাডা ১.৩ বিলিয়ন-এর সীমান্ত সুরক্ষা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে নতুন হেলিকপ্টার, প্রযুক্তি, কর্মীদের সাথে শক্তিশালী করা এবং ক্র্যাক ডাউন করার জন্য আমেরিকান কর্মকর্তাদের সাথে তার সমন্বয় বাড়ানো। কিন্ত ট্রাম্পের অগ্রাধিকার ছিল অবৈধ মাদক এবং অভিবাসীরোধে পাশ্ববর্তী দেশের সাহায্য চাওয়া।
ট্রুডো বলেন, সীমান্তকে নিরাপদ করার জন্য ১০,০০০ ফ্রন্ট-লাইন কর্মী কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একাধিক নতুন প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। যার মধ্যে একটি নতুন ‘ফেন্টানাইল জার’ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এবং তিনি মেক্সিকান কার্টেলকে তালিকাভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইল এবং অন্যান্য মাদকদ্রব্যের শীর্ষ বিক্রেতাদের একজন, যিনি কানাডার আইনের অধীনে সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত ।
ট্রুডো বলেন, ‘কানাডা-মার্কিন যৌথ স্ট্রাইক ফোর্স’ চালু করছে, যাকে সংগঠিত অপরাধ এবং অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তিনি এই প্রকল্পের জন্য ২০০ মিলিয়ন অর্থায়ন শুরু করেছেন।
মধ্যাহ্নের পর ট্রাম্পের ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ শেষে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রুডো বলেন, ‘আমরা একসাথে কাজ করার জন্য প্রস্তাবিত শুল্ক কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য বিরতি দেওয়া হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন যে, তিনি ‘খুব খুশি’ কানাডার উত্তর সীমান্ত সুরক্ষিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ট্রাম্প এটিকে শুধুমাত্র একটি ‘প্রাথমিক ফলাফল’ বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, প্রথম ফোনালাপের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে টুইট করে লিখেন, আমেরিকার ব্যাংক ও অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোকে কানাডায় ব্যাপক হারে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কোন কথা বলেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। তার দেশ ছাড়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার এসব কথা বলেন তিনি। খবর-আল জাজিরার
তিনি জানান, নিজের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই তার। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে কাজ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জালালি আরও বলেন, এই দেশটি একটি স্বাভাবিক দেশ হতে পারে যেটি তার প্রতিবেশী এবং বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে। তবে এটি সিরিয়ার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যেকোনো নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে। আমরা এটিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এবং সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত। এসময় জনগণকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে বিদ্রোহী দলের প্রধান জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে।
সিরিয়ার বিরোধী গোষ্ঠীগুলো সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বলছে, ‘আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আমরা সেদনায়া কারাগারে অত্যাচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করছি। এই কারাগারের সব বন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে যাওয়া তুরস্কের একটি উড়োজাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানী খার্তুমের কাছে ওয়াদি সেইদনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার পরও সি-১৩০ মডেলের উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। সেটির জ্বালানিব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরে তা মেরামতের কাজ চলছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে উড়োজাহাজটিতে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
উড়োজাহাজটিতে হামলার জন্য সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে এ দাবি নাকচ করে এক বিবৃতিতে আরএসএফ বলেছে, ‘মধ্যরাত থেকে আমরা যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছি, তা মেনে চলতে আমাদের বাহিনী কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ওয়াদি সেইদনার আকাশসীমায় আমরা কোনো উড়োজাহাজকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছি, এমন খবর সত্য নয়।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে আরো তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আরএসএফ। তবে এই যুদ্ধবিরতি তেমন একটা কার্যকর হয়নি। যুদ্ধবিরতির পরও গতকাল রাতভর খার্তুমে আরএসএফের নানা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে সুদানের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো। এর আগের তিন দিনের যুদ্ধবিরতির সময় সুদান থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কাজে হাত লাগিয়েছে তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। এ সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতে দেশটিতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
দুই পক্ষে সশস্ত্র এই লড়াই সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে খার্তুম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। লড়াই শুরুর আগে সেখানে কোটি মানুষের বসবাস ছিল। সংঘাতের মুখে অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আর এখনো যাঁরা থেকে গেছেন, তাঁরা খাবার, পানি ও জ্বালানির চরম সংকটে রয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোকবল ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে দায়িত্ব ছাড়তে বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত দুই আমেরিকান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দুদিন পরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহরে ব্যাপক ওলটপালট ঘটাবেন এই নির্দেশনায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রদবদলের দায়িত্বে থাকে এজেন্সি রিভিউ টিম যে তিন কর্মকর্তাকে পদ ছাড়তে বলেছে, তারা হলেন- ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট ও আলেইনা তেপলিৎজ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তরা সাধারণত নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পরপর নিজেরাই পদত্যাগ করেন, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত দায়িত্ব চালিয়েই যান। যে তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ট্রাম্পের টিম পদ ছাড়তে বলেছে তারা ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান সব প্রশাসনের আমলেই রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে বার্নিকাট ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়ে তিনি ‘ডিপ স্টেটকে মুছে ফেলতে’ অনুগত নয় এমন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করবেন বলে নির্বাচনী প্রচারেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বার্নিকাটসহ তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব ছাড়তে বলা তারই শুরু, বলছেন অনেকে।
ট্রাম্প টিমের নির্দেশনার সঙ্গে পরিচিত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘এটি যে আরও খারাপ কিছুর পটভূমি তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগও আছে’’।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য চাইলে ট্রাম্পের ট্রাঞ্জিশন টিমের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের দেশ ও কর্মঠ মার্কিন নারী-পুরুষকে সবার আগে রাখা নিয়ে ট্রাম্পের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণকারী কর্মকর্তা খুঁজে বের করাই প্রশাসনে পরিবর্তন আনার দায়িত্বে থাকা দলের জন্য উপযুক্ত কাজ। আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে, সেগুলো ঠিক করতে হবে এবং এজন্য একই লক্ষ্যে মনোনিবেশকারী একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দল প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে দেওয়ার মতো ঘোষণা তার কাছে নেই।
মন্ত্রণালয়টির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেরেক হোগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ব্যুরো ও হোয়াইট হাউজের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ দেখভাল করা।
বার্নিকাট এখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক এবং ব্যুরো অব গ্লোবাল ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক, এই দপ্তর মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের নিয়োগ, দায়িত্ব বন্টন ও ক্যারিয়ার উন্নতি দেখভাল করে।
আর সহকারী সেক্রেটারি তেপলিৎজ তিন দশক ধরে দেশে-বিদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন।
পদত্যাগের নির্দেশনা নিয়ে এ তিনজনের কেউই রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এবারের প্রশাসন আরও বেশি সংঘাতমূলক পররাষ্ট্র নীতি বেছে নেবে।
২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাওয়া রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট অবশ্য এরই মধ্যে ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রভুক্ত করার চেষ্টা ও নেটো মিত্রদেরকে প্রতিরক্ষায় আরও বেশি অর্থ ব্যয়ে তাগাদার মতো কিছু অপ্রচলিত নীতির পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।তার এসব লক্ষ্য অর্জনে বিরোধিতার বদলে দায়িত্ব নিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে এমন কূটনীতিক কর্মীবাহিনীই মূল চালিকাশক্তি হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রশাসনে রদবদল ছিল নিয়মিত ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদই হয়ে উঠেছিল মিউজিকাল চেয়ার। তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলে ট্রাম্পের টিম যেন আগের ওই মেয়াদের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত পৃথক দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, নতুন প্রশাসন এসিসটেন্ট সেক্রেটারির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে আগ্রহী। মার্কিন প্রশাসনের এ পদগুলোতে সাধারণত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ আমলা ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের মিশ্রণ দেখা যায়।
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যেসব নীতি নিয়েছিলেন তার অনেকগুলোই দীর্ঘদিন ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করা কর্মকর্তাদের কারণে ‘লাইনচ্যুত’ হয়ে পড়েছিল, ট্রাম্পের সহযোগীদের এমন মনোভাবের কারণে এবার মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদেও ট্রাম্পের টিম আরও রাজনৈতিক নিয়োগে আগ্রহী, বলছে সূত্রগুলো।
এজেন্সি রিভিউ টিম এরই মধ্যে এ পদগুলোতে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়াও শুরু করেছে, বলেছে দুটি সূত্র।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। আজ ৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে মাছ ও অন্যান্য পণ্যবাহী ২৪ টি ট্রাক আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বন্দরে প্রবেশ করেছে। আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপারও ছিল স্বাভাবিক।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ও স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বেলা ২টা পর্যন্ত আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ৬৯ জন পর্যটক ভারতে গেছে। এরমধ্যে ৪৭ জন ভারতীয় এবং বাংলাদেশী নাগরিক ২২ জন। একই সময় আগরতলা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৫১ জন। অপরদিকে ১৩টি ট্রাকে করে ১২০ মেট্রিক টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এছাড়াও তোশক, মশারি, সিমেন্ট ও অন্যান্য পণ্যের ১১টি ট্রাক ভারতে গেছে।
সরজমিনে দুপুরে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে গিয়ে দেখা যায়, ২-৪ জন যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করছেন। ইমিগ্রেশন অফিস অনেকটা ফাঁকা। দুইজন বাংলাদেশী নাগরিক ভারত থেকে ফিরেছেন।
ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশী নাগরিক সঞ্জয় সাহা বলেন, আমি ২২ নভেম্বর ত্রিপুরায় গিয়েছিলাম। আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। আমার কোন সমস্যা হয়নি। আজ ফেরার সময় কোন অসুবিধা হয়নি। সড়কে কোন প্রতিবন্ধকতা ছিলনা।
আখাউড়া আর্ন্তজাতিক ইমিগ্রেশন চোকপোস্টের পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম জানান, সকাল থেকে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম রয়েছে। তবে বাংলাদেশী যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান বলেন, মাছ ও অন্যান্য পণ্য বোঝাই ২৪টি ট্রাক ভারতে গেছে। ভারত থেকে কোন পণ্য আমদানী হয়নি। বন্দরের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।