চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত থেকে ভারতীয় উন্নতমানের মোবাইল ফোনের দুই হাজার ১২টি ডিসপ্লে জব্দ করেছে বিজিবি। ধারণা করা হচ্ছে এর বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকার বেশি। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইব্রাহিমপুরে অভিযান চালিয়ে এসব ডিভাইস জব্দ করে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধীনস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের টহল দল।
বিজিবি জানায়, গোপন খবরে সীমান্ত পিলার ২০০১/এমপি হতে আনুমানিক পাঁচ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে অভিযানটি চালানো হয়। এসময় ডিভাইসগুলো জব্দ করা হয়। মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের সিজার মূল্য এক কোটি ৬০ হাজার টাকা।
জব্দ করা মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে আখাউড়া কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় বিজিবি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩৪১ বোতল ফেন্সিডিল ও ২৭ কেজি গাঁজাসহ মো. আইয়ান ইসলাম রনি (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। মো. আইয়ান ইসলাম রনি নবীনগর উপজেলার আমতলি গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ খ্রি : এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১৬ কেজি গাঁজা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল মিয়া(৪০) কে গ্রেফতার করছে যৌথ বাহিনী।
৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দেওয়ানবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাবুল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর গ্রামের মৃত মাইদর আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার দেওয়ান বাজার এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে ১৬ কেজি গাঁজা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থেকে নিখোঁজ গৃহবধু খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) ঢাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে।
ঢাকা কাফরুল থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিজয়নগর থানা পুলিশ ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে কাফরুলের একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজয়নগর থানার ওসি মোঃ আসাদুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি স্বামীর বাড়ি বিজয়নগরের কাঞ্চনপুর থেকে ময়না নিখোজ হয় বলে ময়নার মা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর পুলিশ ময়নার শশুর শাশুড়ী ও ননদকে আটক করে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ খাজিদা আক্তার ময়নার বাবা বাড়ি একই উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছতুরপুর গ্রামে। সে ছতুরপুর গ্রামের সেলিম মিয়া বড় মেয়ে। প্রায় ৭ বছর পূর্বে একই উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মো: রমজান মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া সৌদি প্রবাসীর সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। স্বামী প্রবাসে থাকলেও ওই গৃহবধূর তাবাচ্ছুব (৫) বছরের একটি কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করতো স্বামীর বাড়িতে। গত ১৯ জানুয়ারি বিকাল ৩ টায় খাদিজা আক্তার ময়না (২৫) তার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ।
অজ্ঞাত স্থান ময়না স্বামীর কাছে একটি বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আবেদন করে। গৃহবধূ জানায়, আমারে কিভাবে ভুলে থাকতেছো, আমাকে কি বাঁচাইবানা, আমি কোথায় আছি বলতে পারছি না। চারপাশে পাহাড় আর প্রচন্ড ঠান্ডা। আম্মা (শাশুড়ি) এবং আপা(স্বামীর ছোট বোন) জানে আমি কোথায় আছি। আমার মোবাইল পপি আপা কোথায় জানি রাখছে। তুমি পপি আপার সাথে কথা বল। এখানে অনেক ঠান্ডা। স্বামীর কাছে ইমুর মাধ্যমে খাদিজা আক্তার ময়নার পাঠানো ভয়েস বার্তায় পরে স্বামী রাসেল মিয়া প্রবাস থেকে এ ভয়েস বার্তা ময়নার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরই ময়নার মা সুমি বেগম থানায় অভিযোগ করেন। তবে এটি অপহরণ নাকী স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া নিয়ে রহস্য রয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গাজী রবিউল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গৃহবধূ ময়নাকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে সুস্থ আছে। তাকে আদালতে নেয়া হবে। তদন্তের স্বার্থে আর কিছু বলতে পারছি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিজয়নগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এ সময় আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক কারবারি নিহত হন। আরো দুজন গুলিবিদ্ধ হন।
ওসি আরো বলেন, অপরদিকে মাদক কারবারিদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় রাতেই থানার এএসআই সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ মাদক কারবারি নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদসর্যা (সরাইল ব্যাটালিয়ন) আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমান এই ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করে। এসময় শাড়ি ও থ্রিপিস বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ট্রাকের ওপরে পাথর দিয়ে ড্রাম ও বস্তায় ভরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে এসব শাড়ি-থ্রিপিস জব্দ করা হয়। প্রায় ছয় কিলোমিটার ধাওয়া করে ট্রাকটি আটকের পর এতে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি-থ্রিপিস পাওয়া যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাত থেকে বিজিবি সদস্যরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। ভোর রাতে বিজয়নগর এলাকায় পন্যবাহী একটি ট্রাক বিজিবির নির্দেশনা অমান্য করে দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির টহল দল চান্দুরা এলাকা থেকে ৬ কিলোমিটার ভেতরে ধাওয়া করে ট্রাকটিকে আটক করে। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে ট্রাক তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় পাথরের স্তরে লুকানো আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী- থ্রিপিস উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা চোরাইপথে এসব শাড়ী রাজধারী ঢাকায় পাচার করছিলেন।