হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
উত্তরন হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন ফ্রান্সে এবং উওরন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মমতাজ আলো ফ্রান্স থেকে নিউইয়র্ক আসেন সম্প্রতি। উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ শ্লোগানে প্রবাস মেলা’র ১১ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয় দেশ ও বিদেশে। এ উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় প্রবাস মেলার সিনিয়র প্রতিনিধি, কলামিস্ট, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মমতাজ আলোর হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার হিসেবে তুলে দেন ।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশার কথা বলেন, মমতাজ আলো সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনের কাছে এবং তিনি প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
এসময় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সবার কাছে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন মমতাজ আলো। মমতাজ আলো একজন উদ্যোক্তার বটে। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সদস্য। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ারের সেক্রেটারী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্সের সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ফ্রান্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মমতাজ আলো মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ভাবে দেশ ও প্রবাসে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। ছবিতে মমতাজ আলো হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দিচ্ছেন প্রবাস মেলার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র প্রতিনিধি হাকিকুল ইসলাম খোকন। শেষে সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনকে দুপুরের ভোজে আপ্যায়ন করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
‘প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ভালবাসুন, নিজেকে ভালবাসুন এবং একে অন্যকে ভালবাসুন-তাহলেই প্রবাসের স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হবে, বহুজাতিক এ সমাজে নিজেরা উদ্ভাসিত হতে সক্ষম হবো’ প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতির নয়া কমিটির অভিষেক উৎসবে এমন আকুতি ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। এক মিনিটের এই বক্তব্যে উপস্থিত সকলেই অভিভূত এবং সকলের প্রত্যাশার পরিপূরক আহবানই এই আমব্রেলা সংগঠনের নেতার কন্ঠে ধ্বনিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের জন্যে নির্বাচিত প্রবাসী শেরপুর জেলা সমিতির এই অনুষ্ঠান হয় ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় হিলসাইডের আল- আকসা (তাজমহল রেস্টুরেন্ট) পার্টি মিলনায়তনে ।
সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক আবুল কাশেমের তত্ত্বাবধানে কমিউনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারি ব্যক্তিবর্গের বিপুল উপস্থিতির এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী সভাপতি নাহিদ রায়হান লিখন। প্রধান অতিথি ছিলেন হোমকেয়ার ব্যবসায়ী এইচ এম জামিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিউক খান, সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন মজুমদার, শেরপুর সমিতির সাবেক সভাপতি মামুন রাশেদ ,আক্তারুজ্জামান ও জান্নাতআরা রহমান এবং অভিষেক-উৎসবের জন্যে গঠিত সাব কমিটির আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম রাসেল, সদস্য-সচিব নাইস চৌধুরী ।
মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরবতা পালনের পর পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠ করা হয়।
নূতন কমিটর শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক আবুল কাশেম। অতিথিগণকে মঞ্চে নিয়ে অভিষিক্তরা হলেন : সভাপতি-ইঞ্জিনিয়ার প্রদোষ চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক-ছামেদুল হক ঝন্টু, সিনিয়র সহ সভাপতি আক্তারুজ্জামান এবং সাবেরা জামান চৌধুরী, সহ সভাপতি আল আমিন এবং এস এম আসাদুজ্জামান সেলিম, কোষাধ্যক্ষ রাকিবুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মেহেদী হাসান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সিহাব আহমেদ কিবরিয়া। কার্যকরী সদস্যরা হলেন নাহিদ রায়হান লিখন,মাসুদ পারভেজ মুক্তা,সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম. গৌতম চক্রবর্তী মিন্টু,মোসতারীন আক্তার লিমু,মোস্তফা সাদী, শহিদুল আলম শাহীন বদিউজ্জান মিয়া শিমুল এবং রেখা জামান চৌধুরী।
আধ্যাতিক মরমি সাধক গাজী বংশের শেষ জমিদার শের আলী গাজী’র পদধন্য শেরপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কমিউনিটিতে তুলে ধরার নিরলস প্রয়াস অব্যাহত রাখার জন্য সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও সাংবাদিক আবুল কাশেম ও বিদায়ী সভাপতি নাহিদ রায়হান লিখন ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ।
অনুষ্ঠানে দেশের গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শাহ মাহবুব ও রুখসানা মির্জা ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া রুমী, জামালপুর সমিতির সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, সাপ্তাহিক প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাপ্তাহিক ঠিকানার বার্তা সম্পাদক এম. শহীদুল ইসলাম, সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি ইয়র্কের সম্পাদক শাহ ফারুক, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি আনিসুর রহমান, ভিপি জসীমউদ্দীন, বাংলাদেশ মিশনের প্রসাশনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও রানা রায়হান প্রমুখ ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা সাদী ।
অনুষ্ঠানে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র :
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ‘ইটজি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে-এ হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে এবং শরিফ হোসেন নিরব ও কবির হোসেনের সঞ্চালনায় “চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ”এর অনুষ্ঠান গত ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন-মাঈন উদ্দিন নটু।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত চাটখিল উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ব্যক্তিবর্গ এর মাঝে নুর আলম সেলিম, মোহাম্মদ আলি, কবির হোসেন, মাসুদ রানা, আবু সাঈদ, সরাজ ইসলাম, হুমায়ন বাংগালী, শওকত আকবর, গোলাম গাউস রুবেল, শফিকুল ইসলাম, রাশেদ আলম, নুর হোসেন, তারেক হোসেন, শিবলু, শিহাব বিন ওয়াছেক, আসিফ মাহবুব, রাজিব হোসেন, মামুন, শাহরিয়ার হিমেল, নুরুল হুদা পিন্টু, মাহবুব আলম, আবদুর রহিম, নুর জালাল, শাওন শুভ, ইসমাইল হোসেন পলাশ, রাব্বি হোসেন, নুর হোসেন মিঠু, ইয়াছিন আরাফাত, মোহাম্মদ কাকন, হাছান আহম্মেদ, মোহাম্মদ রবিন, মেহেদী হাসান ফাহাদ, আহমেদ বাবু, মেহিদী হাসান অন্তর, মোহাম্মদ ইয়াছিন, গোলাম রাব্বানী অপু, কার্তিক, রমযান আলি রাশেদ, আমিন উল্যাহ সহ অনেক ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের সম্মতিতে অতিশীঘ্রই চাটখিলের ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার যুক্তরাস্ট্রে বসবাসরত সকল স্টেটের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন শেষে হুমায়ন কবিরের সমাপনী বক্তব্যে দ্রুত কমিটি গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার শহরের প্রাণকেন্দ্রে বোম্বে গ্রীলে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডায় অমর একুশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। মোয়াজ্জেম ইকবালের সভাপতিত্বে ও সালেহ করিমের সঞ্চালনে সন্ধ্যা সাতটায় এই মহতী অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিনের সাগত বক্তব্যর মাধ্যমে কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং সকল শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাভাষার অবদান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র সম্মান শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন জসীম উদ্দিন, সালেহ করিমুজ্জামান, আকম রুমেল ও মোয়াজ্জেম ইকবাল। সকলের বক্তব্যে ফুটে উঠে মহান ভাষা আন্দোলন এবং অমর একুশ ছিল বাঙালির অমিত প্রেরণার অনিঃশেষ উৎস। একুশের অভিলাষী যাত্রায় বাঙালী ফিরে পেয়েছে মুক্তির ঠিকানা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার অধিকার। বাঙালির আত্মর্যাদা গৌরবের বিজয় তিলক, এই পবিত্র ভাষা আন্দোলন। ভাষা শহীদরা রফিক জব্বার সালাম বরকতরা তৈরী করেছিল আসাদ জোহা মতিউর সহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ।
যাঁদের অমর রক্তের কণিকায় দাঁড়িয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, বিশ্ব ফিরে পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার অধিকার। আজ সারাবিশ্বে ভাষা আন্দোলনের পীঠস্থান অমর একুশকে স্মরণ করছে বিনম্র শ্রদ্ধায়। ভাষা শহীদ, স্বাধীনতা শহীদ সকল মুক্তি আন্দলোনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন জসীম উদ্দীন। অনুষ্ঠানটির সাফল্য ও ভাব গাম্বীর্য রক্ষায় সদা সর্বদা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন প্রধান উপদেষ্টা মাহবুব রহমান মিলন এবং উপদেষ্টা ফখরুল আহসান শেলী। স্বাধীন বাংলার শিল্পী মুক্তিযোদ্দা খসরু”র সুললিত কণ্ঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানের মধ্যদিয়ে শুরু হয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্পন পর্ব। সে এক অপূর্ব শিহরণ। প্রথমে নেতৃবৃন্দ, অতিথি বৃন্দ পরে সর্ব সাধারণ লাইন দিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নতুন প্রজন্ম মা বাবা সহ ফুল নিয়ে এগিয়ে আসে, যা ছিল প্রজন্ম তরে স্মৃতি তর্পনের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। এসময়ে তাদের সহায়তা করেন ফারজানা, নবনী, তাননি, ইউসুফ, ইউনুস, শহীদ, জাহাঙ্গীর, রাহাত প্রমুখ।
মাইকে তখন চলতে থাকে প্রতিথযশা গুণী শিল্পী খসরু”র কালজয়ী দেশপ্রেমের গান। অতঃপর বোম্বে গ্রীলের পক্ষ থেকে সকলকে সুস্বাদু বিরানি ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরিশেষে সভাপতি দূর দূরান্ত থেকে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যামাইকার স্থানীয় এক রেষ্টুরেন্টে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে ও দিবসটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের দাবিতে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের আহবায়ক এনামুল হায়দার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরোয়ার হোসাইন, মুলধারার রাজনীতিবিদ ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, মুলধারার রাজনীতিবিদ এডভোকেট মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর ভূইঁয়া, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম, সাংবাদিক রিমন ইসলাম, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রবাস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মালেক, চৌমুহানী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল মান্নান, জেএসডি যুক্তরাষ্ট্রের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন স্বপন,যুগ্ম আহবায়ক তছলিম উদ্দিন খান, আরজু হাজারী, মোহসিনুর রহমান সবুজ, দলটির যুক্তরাষ্ট্র এর অন্যতম নেতা গাজী আযম বাদল,শরীফ উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম ফারুক, আজিজুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতেই দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সদ্য প্রয়াত স্ত্রী নাসিমা আক্তার, দলটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আবুল কালাম সহ দলের সকল শহীদ ও প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট কাল নীরবতা পালনসহ বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের দ্বিতীয় তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্রখচিত পতাকা। নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে সেদিন পতাকাটি উত্তোলন করেন ঐসময়কার ডাকসু’র ভিপি ও সাবেক মন্ত্রী এবং জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়েছিলেন আমজনতা। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় স্বাধীনতার পর প্রত্যেক সরকারই এই ঐতিহাসিক দিনটিকে অবহেলা আর অবজ্ঞা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দেয়নি। তেমনিভাবে ঐতিহাসিক ৩রা মার্চকেও প্রতিটি সরকারই শুধুমাত্র রাজনৈতিক হীনমন্যতার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুগ্ম আহবায়ক সামছু উদ্দিন আহমেদ শামীম।
৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্তে ঐদিন পল্টন ময়দানে ছাত্র জনতার সমাবেশে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান সিরাজ।
তাই আজকের আলোচনা সভা থেকে জুলাই ‘২৪ গণ আন্দোলনের ফসল বতর্মান সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি, ঐতিহাসিক ২ ও ৩ মার্চকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করার জন্য এবং অন্যান্য দিবসের সাথে এ দুটো দিবসকেও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য।তবেই নতুন প্রজণ্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ইফতার এবং নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ওয়েলস রিজিওনের উদ্দোগে ৫২ এর ভাষা সংগ্রামের অহংকারের ৭৩ বছর তথা মহাণ শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন উপলক্ষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার লন্ডন সময় রাত ১০টায় বৃটেনের কার্ডিফের সিরিয়ানা রেষ্টুরেন্টে ডিনারপার্টি ও অমর একুশের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল কনভেনার মুজিবুর রহমান মুজিব এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রকিবুর রহমান ও অর্থ সচিব এ বি রুনেল এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার কমিউনিটি লিডার মকিস মনসুর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্রেটার সিলেটের সাবেক চেয়ারপার্সন আলহাজ্ব লিয়াকত আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ শাফি কাদির, সাবেক সহ সভাপতি আব্দুর রুউফ তালুকদার, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া,ভিপি সেলিম আহমদ, আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, মফিকুল ইসলাম, ইকবাল আহমেদ, আব্দুল বাছিত বাচ্ছু, শেখ সুমন তরফদার, মৌলা আফতাব, এস এইচ রাজিব, শাহ মুন্না আহমেদ, বদরুল হক মনসুর, ও রাসেল আহমদ, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভায় আাগামী ১০ ই মার্চ সোমবার সংগঠন এর পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল করার সীদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করে মাতৃভাষার টানে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে গনতন্ত্রের মাতৃভূমি নামে খ্যাত মাল্টি কালচারেল ও মাল্টিন্যাশনালের বৃটেনের ওয়েলস এর রাজধানী কার্ডিফের ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট তথা শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ভাষা শশহীদানদের অমর স্মৃতির প্রতি পুস্পস্তবক অপনের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের ও সাউথ ওয়েলস রিজিওনাল নেতৃবৃন্দ।
শুরুতেই সমবেত কন্ঠে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি এই গান পরিবেশন করা হয়েছে। এর পর এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের রক্তক্ষয়ী দিনটি এখন আর শুধু শোক ও বেদনার দিন নয়। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সব ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার এক সাবজনীন উৎসবের দিন।
একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের আত্মপরিচয় একুশের পথ ধরেই আমরা পেয়েছি লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা বলে উল্লেখ করে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার সিনিয়র সাংবাদিক মকিস মনসুর বলেন আমাদের ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর অমর একুশের চেতনা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। তিনি বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানের অব্যাহত ক্যাম্পেইনে যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।