চলারপথে রিপোর্ট :
প্রেমের সম্পর্ক এক বছর। এরই মধ্যে এখানে-সেখানে ঘুরাঘুরি। বিয়ের আশ্বাসে হয় মেলামেশা। অবশেষে প্রেমিকের পিছটান। থানায় গিয়েও লাভ হয়নি। ফলে আদালতের শরনাপন্ন হন মেয়ের বাবা। তাতেও দৃশ্যত কোনো ফল আসেনি। অবশেষে নিজের সম্মান আর অস্তিত্বের প্রশ্নে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন প্রেমিকা। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন কিশোরীর বাবা।
ঘটনাটি ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে।
প্রেমিকা অবস্থান নেওয়ার পর প্রেমিকের বাড়িতে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে অন্য স্বজনরা এসে অবস্থানরত প্রেমিকাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাউতলা গ্রামের ওই কিশোরী জানায়, প্রতিবেশী রেদুয়ান ইসলাম তানভীর ওরফে রাব্বির সঙ্গে তার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাব্বি তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। সর্বশেষ সঙ্গে নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ বাইরে রাখেন। ফেরত আসার পর রাব্বির মা আমাকে ওষুধ খেতে দেন যেন বাচ্চা পেটে না আসে। পরে এ নিয়ে এলাকায় বৈঠক করে আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে শেষ করতে বলে। কিন্তু আমিও আমার পরিবার বিয়ের কথা জানায়। কিন্তু রাব্বির পরিবার এটা না মানলে আমরা থানায় যাই।
পুলিশ মামলা না নিলে গত বছরের ডিসেম্বরে আমার বাবা বাদী হয়ে আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে।
ছেলের মামা ইয়ার মাহমুদ জানান, ছেলে ও মেয়ে তাদের ইচ্ছাতেই বাইরে ঘোরাঘুরি করে। এখানে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সবাই মিলে তাদের টাকা দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ছেলের চাচা মো. আবুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ মিথ্যা। সাংবাদিকরা কেন এসব বিষয় জানতে এলেন এ নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি জানান, রাব্বির পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যেহেতু ধর্ষণ মামলা হয়েছে সে অনুযায়ী বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই গণহত্যাসহ সকল হত্যার বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় গণসমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আখাউড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকালে পৌর শহরের সড়ক বাজার মুক্ত মঞ্চের সামনে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মোঃ গোলাম ফারুক।
সমাবেশে কয়েক’শ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ ইকবাল হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ সানাউল্লাহ, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া পৌর জামায়েতের আমির মোরশিদ আলম, পৌর জামায়েতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহমান কাশগরি, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ আজিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ সিফাত উল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লগি বৈঠা দিয়ে পৈশাচিক ভাবে পিটিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। লাশের উপর নৃত্য করেছিল। কথিত বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে আলেম ওলামাসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হাসিনার নির্দেশে অসংখ্য ছাত্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দিন খান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষ্যত’ এই প্রতিপাদ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কিন্ডার গার্টেন মেধা যাচাই (বৃত্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ের মনোরম পরিবেশে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীর তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদিকে, ছোট্ট সোনামণিদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করায় অভিভাবকরাও খুশি। উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে নিজ নিজ সন্তানকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তারা।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এসোসিয়েশনের অন্তর্ভূক্ত ১৩টি স্কুলের ৩২৪ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ ৫টি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ছোট্ট সোনামণিদের মেধার বিকাশ এবং উৎসাহ প্রদান করাই এ পরীক্ষার লক্ষ্য।
অভিভাবক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের সাহস যোগানের জন্য বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছি। পাশ ফেল বড় কথা নয়। বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়াতে পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
হাসিনা বেগম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়াতে পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। সাহস বাড়ে। বৃত্তি পেলে বাচ্চারা আনন্দিত হয়।
আখাউড়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাজিদুল হক দুলাল বলেন, ছোট্ট সোনামনিদেরকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য মেধা বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিশুদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়তে পরীক্ষা সম্পর্কে অভিভাবক ও সচেতন মহলের পরামর্শ চাই। আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষ্যত। আশা করি তারা ভালো করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক আক্তার হোসেন, শেখ মনির হোসেন নিজাম, আক্তার হোসেন, মো. ইয়াছিন, মো. রাজু, মো. মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র লাইলাতুল কদর, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ থাকবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে ৭ এপ্রিল রবিবার এ বন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরদিন ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিন যথারীতি যাবতীয় কার্যক্রম চালু থাকবে। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পযর্ন্ত টানা ৫ দিন এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিষয়টি ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খায়রুল আলম বলেন, পবিত্র শবেবরাত, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে যাবতীয় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ৬ দিন বন্ধ থাকলেও এ বন্দর দিয়ে উভয় দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক থাকবে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রফতানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম বলেন, কলেজ জীবনের ২টি বছর একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলেজ জীবনকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে স্বপ্ন পূরণের পরের ধাপ ভার্সিটি, মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং যে যেখানে ভর্তি হতে চাও তা সহজ হবে। অনেকে এসময় ঝড়ে পড়ে যায়। তাই তাই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কলেজ জীবনকে গুরুত্বসহকারে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২০২৩ সনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুল যৌথভাবে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম আরো বলেন, আমি জানি ভবিষ্যৎ নিয়ে তোমাদের প্রত্যেকের একটি স্বপ্ন আছে। তোমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত কলেজে ভর্তির সময়ই নিতে হবে।
ভবিষ্যতে তোমরা যা হতে চাও তার প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা এবং চেষ্টা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোন পেশা-ই ছোট নয়, যে যেই পেশায় যেতে চাও সে পেশার যারা শ্রেষ্ট আছে তাদের মধ্যে থাকার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে।
কাঙ্ক্ষিত পেশার শ্রেষ্ঠ মানুষদের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে আইকন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে অনুসরন করতে পারলে তোমাদের চলার পথ সহজ হবে। আমি বিশ্বাস করি লক্ষ্যে অটুট থেকে সঠিক ভাবে সময়কে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করলে তোমরা নিশ্চয় সফল হতে পারবে।
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, তোমাদেরকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, সৎ এবং বিজ্ঞান মনস্ক সুনাগরিক হতে হবে। কোন ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন , যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোঃ হারুন অর রশিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এড. মৌলী মোর্শেদ মৌ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কেরাত, হামদ, নাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্পিকারসহ নানা পুরস্কার। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থী গজল পরিবেশন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় ট্যাব পুরস্কার পেয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আখাউড়া পৌর এলাকার বড়বাজার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরো উপজেলা থেকে বাছাই করা ৪২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত থাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী মণি দাস গজলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
কেরাত প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান রাফি প্রথম, আব্দুল্লাহ বিন কাদির দ্বিতীয়, ইকরাম হোসাইন তৃতীয় স্থান লাভ করে। হামদ, নাত ও গজলে যোবায়ের আহমেদ প্রথম, মণি দাস দ্বিতীয় ও ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। প্রথম স্থান অধিকারীকে ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে স্পিকার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক ও দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মো. আসাদুজ্জামান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি সাইফুজ্জামান, হাফেজ হামিদুল হক ও হাফেজ এমদাদ উল্লাহ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলাম যে সমতায় বিশ্বাস করে এটারই প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পুরস্কার নিতে পেরেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব শেষ হয়। করোনার কারণে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল আয়োজন করতে পেরেছি। প্রতিবছরই এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।