চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার এক নারী বিয়ের দেড় বছরের মাথায় শ্বশুরবাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরায় মুক্তা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে মুক্তার লাশ শ্বশুরবাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা থেকে বাবার বাড়িতে এনে দেওয়া হয়।
সকালে আশুগঞ্জ থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করেছে। এর আগে ভোর চারটার দিকে নিহতের লাশ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নিহতের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ওই আত্মীয়কে লাশের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত মুক্তা বেগম আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর (কুড়ের পাড়) গ্রামের গোলাম মিয়ার মেয়ে। তার ৭ মাস বয়সী এক ছেলে রয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের শ্বশুর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান ও শাশুড়ি খোশনাহার বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী খোশনাহার বেগম মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, রাত ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত মুক্তা ও তার স্বামী আব্দুল্লাহর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। রাত ২টার দিকে স্বামী আব্দুল্লাহ মুক্তাকে মুখে হাত চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনা আড়াল করতে মুক্তার লাশ তার পরিবারের কাছে অসুস্থতার খবর দিয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করলে খায়েশ মিয়া নামে আত্মীয়কে দিয়ে সিএনজিতে লাশটি মুক্তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মুক্তার বুকের ব্যথার কথা বলে তারা ওই আত্মীয়কে সহযোগিতা করতে সঙ্গে নিয়েছিল।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিগত দেড় বছর আগে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহর সঙ্গে মুক্তার বিয়ে হয়। আব্দুল্লাহ মিষ্টির দোকানের কারিগর। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন মিষ্টির দোকান দেয়ার জন্য মুক্তার বাবার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ অন্যান্যরা প্রতিনিয়ত মুক্তাকে মানসিক নির্যাতনসহ মারধর করত। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বিগত এক বছরে বেশ কয়েকটি সালিশ হয়েছে। মুক্তার বাবা গোলাপ মিয়া মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে যৌতুকের টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলেও অক্ষমতার জন্য ব্যবস্থা করতে না পারায় দিতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে মুক্তার একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়। যার বয়স বর্তমানে ৭ মাস। গোলাপ মিয়া মেয়ের জামাইকে মিষ্টির দোকান দিতে টাকা দিতে না পারলেও তার মেয়ের ও নাতির চিকিৎসা, সিজারিয়ান অপারেশনের খরচ প্রদানসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মুক্তার শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে তারা বাবা গোলাপ মিয়াকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে গোলাপ মিয়া জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছার আগেই তার লাশ নিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে তিনি বাড়িতে এসে তার মেয়ের লাশ দেখতে পান। এদিকে সকালে নিহতের শ্বশুর ও শাশুড়ি মুক্তার লাশ দেখতে এলে পুলিশ তাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজল কান্তি দাস বলেন, নিহতের লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেরণ করা হয়েছে। তার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের শ্বশুর শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যেহেতু ঘটনাস্থল নরসিংদী উপজেলার রায়পুরায় তাই নিহতের স্বজনদের রায়পুরা থানায় এজাহার দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে এরশাদ নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত এরশাদ মিয়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।
গতকাল ১৯ মে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনি মারা যান।
জানা যায়, পেশায় অটোচালক এরশাদ মিয়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চার্জ দিতে যান। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন তিনি। পরে অচেতন অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা এরশাদ মিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, এক অটোরিকশাচালক মারা গেছেন।
বিষয়টি আমরা আশুগঞ্জ থানাকে অবগত করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে নাদিম ইসলাম রোহান নামে এক সমন্বয়কে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের সমন্বয়কেরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহত নাদিম ইসলাম রোহানকে প্রথমে আশুগঞ্জ পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। আহত রোহান আশুগঞ্জ চরচারতলা মৃত ওমর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে সমন্বয়কদের একটিপক্ষ আশুগঞ্জ গোল চত্বরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অন্তত ১০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি আশুগঞ্জ শ্রম ও কল্যাণ কেন্দ্রে তারুণ্যের মেলায় আসার কথা রয়েছে, জাতিয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ মাহাদি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মোঃ আতাউল্লাহর। কিন্তু মিসেল নামে সোহাগপুর এলাকার এক সমন্বয়ক তাদেরকে আশুগঞ্জ তারুণ্যের মেলায় আসার বিষয় নিয়ে ফেইসবুক গ্রুপ ম্যাসেঞ্জারে প্রতিহতের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে নাদিম ইসলাম রোহান প্রতিবাদ করলে সোহাগপুর গ্রামের মিসেলের নেতৃত্বে একদল যুবক রোহানকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে এক পক্ষের সমন্বয়ক ও সদস্যরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোল চত্বর এলাকা অবরোধ করেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আশুগঞ্জ প্রতিনিধি জয়ন্তি বিশ্বাস সাংবাদিকদরে জানান, হামলাকারী মিসেল ছাত্রলীগকর্মী সে সমন্বয়ক নয়। আমরা তাকে গ্রেফতার করার জন্যে ২৪ ঘন্টায় আল্টিমেটাম দিয়েছি। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: বিল্লাল মিয়া জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসন সৃষ্টি করেছিল বলেই তাদের নজিরবিহীন পতন হয়েছে। আমাদের বর্তমান দায়িত্ব হলো, সব ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলার সাবেক বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি সাদেকুর রহমান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফাইজুর রহমান, সাবেক বিএনপি নেতা ইব্রাহিম মোল্লা, মানিক চৌধুরী, হাজী আলাল শাহ, কবির সিকদার, শফিক ভূঁইয়া, আইয়ুব খান, হাবিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সেলিম সিকদার, মজিবুর রহমান, ইব্রাহিম, এনামুল হক, কালাম সিকদার, আবুল খায়ের, আকবর, হাজী জয়নাল, রোমান মিয়া ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আক্তার হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আরো বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। তাই কোনো চক্রান্তে পা দেওয়া যাবে না। সব চক্রান্ত রুখে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। বিএনপি একটি পরিবার। দলে পদ থাকুক আর নাই থাকুক পরিবারের সঙ্গে থাকতে হবে। জনগণ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে জাতি তা দেখতে পাবে। আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিতে হবে। দেশকে ভালবেসে দেশের মানুষের জন্য কাজ করলে জনগণ বারবার আমাদেরকে সেবার সুযোগ করে দেবে ইনশাআল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার লাকসামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের আয়োজনে ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উপজেলা সদরের দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসায় মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লুৎফুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাফসান ইসলাম।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সভাপতি ফয়সাল ইসলাম বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিখির বক্তব্য রাখেন- দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. আবদুল হান্নান, হেড মুহাদ্দিস মাওলানা ড. আবদুল হালিম, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির রাতুল, তন্ময় ইসলাম, লাকসাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ফারুক আল শারাহ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আজিজুর হক মজুমদার সুইট। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সাধারণ জহিরুল কাইয়ুম অনিক।