চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) নিবাসীদের জন্য পোশাক বানানোর এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণকরেন। এজন্য তিনি ৬০ হাজার টাকা প্রদান করেছিলেন। নিবাসীরা নিজেদের ড্রেস নিজেরাই ব্লক ও সেলাইয়ের কাজ করে নতুন জামা প্রস্তুত করে। ৫ মার্চ রবিবার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রদত্ত উপহার নিজ হাতে নিবাসীদের মাঝে বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াইল হক মীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু আবদুল্লাহ মোঃ ওয়ালি উল্লাহ, শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা প্রমুখ।
উপহার পেয়ে বাবা মা হারা মেয়েরা খুবই খুশি ও আনন্দিত। নিবাসী ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো হয় জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম কে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সম্পত্তির লোভে জাহানারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মাকে তিন মাস ধরে তালাবদ্ধ ঘরে বন্দি রেখেছিল সন্তানরা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পৌরসভার গোর্কণঘাট এলাকার প্রয়াত হাজী মো. আবদু মিয়ার স্ত্রী।
আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার সকালে তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৩ বীর। এই সময় আটক করা হয় সন্তানদের। তার ৯ ছেলে ও ৩ মেয়ে তারা তাদের মায়ের কাছ থেকে সম্পত্তি নেওয়ার জন্য পাশবিক এই কান্ড করেন।
গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৩ বীর একটি অভিযানিক দল জেলা শহরের গোর্কণঘাট এলাকায় বৃদ্ধ জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করেন। এসময় সেনাবাহিনীর দলটি ঘটনাস্থল থেকে তার ৮ সন্তানকে আটক করে নিয়ে আসে। এই সময় তার সন্তানরা মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেন।
পৌরসভা ৭ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর মো. ফারুক আহামেদ মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ৩৩ বীরের ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার জানান, সম্পত্তির জন্য তাদের মাকে তিন মাস ঘরবন্দি করে রাখে সন্তানরা। পাশাপাশি তাদের মাকে মারধর করে, নিয়মিত খাবার না দেওয়া, বস্তায় ভরে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিল।
তারা তাদের ভুল বুঝতে পারায় স্থানীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে তাকে মায়ের কথামত তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৫৫০ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দু’দিন পর্যন্ত এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্প মূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস এবং একশ টাকায় এক কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়।
ক্রেতারা জানান, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কিনতে পারেন না। সাধারণ মানুষ যখন ঊর্ধ্বমূখী বাজারে হিমশিম খাচ্ছে এমন সময় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।
মাংস নিতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আয় কম। যে টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়াই তিন মাস ধরে কিনতে পারছি না। সামনে ঈদ এমন সময় কম দামের গরুর মাংসের খবর পেয়ে আমি এখানে এসে ৫৫০ টাকায় এক কেজি মাংস ও ১০০ টাকায় এক কেজি পোলাওয়ের কিনেছি।বৃদ্ধ শাহজাদা মিয়া বলেন, বাজারে তো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তা কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে আমিও এসে এক কেজি গরুর মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা ভর্তুকিতে পাঁচটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন ছাত্রলীগ গরুর মাংস বিক্রি করছে। প্রত্যেকে এক কেজি করে মাংস কিনতে পারছেন। আগামী দু’দিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।
প্রসঙ্গত, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে জেলা ছাত্রলীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা জাতীয় পার্টির জরুরি সভা গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এড: মো: রেজাউল ইসলাম ভূঞা।
জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব নাছির আহমেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন দেলোয়ার, যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, শেখ মাহবুবুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ ইয়াসিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ইকরাম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জেনারুল ইসলাম লিটন, বিজয়নগর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এমদাদ বারি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আনিস খান, জেলা ওলামা পার্টি সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজ আকরাম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাউসার ভূঁইয়া, কৃষক পার্টির আবুল কাশেম হাজারী, জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলার আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম ছোটন, জেলা মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন আক্তার, জাতীয় পার্টির নেতা আনিস মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক জামাল খান, জাকারিয়া ভূঁইয়া যুব সংহতির নেতা সোহাগ মিয়া প্রমুখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে এড. রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় পার্টিরকে সুসংগঠিত করতে হবে। তিনি এ সময় জনবন্ধু জি এম কাদেরের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এবং প্রয়াত পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় আগামী ২৬ আগস্ট ২০২৩ জেলা জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালসহ দেশের সকল হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহ ও চিকিৎসারত অবস্থায় কোন রোগী মারা গেলে তদন্তের আগে হত্যা মামলা দায়ের এবং চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বস্তরের চিকিৎসকদের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৯ জুলাই রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গাইনী চিকিৎসক ডাঃ মারিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে ও মাহফিদা আক্তার হেপীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএমএ’র প্রচার সম্পাদক ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডাঃ ফাইজুর রহমান ফয়েজ, বিএমএ’র সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডাঃ খোকন দেবনাথ, গাইনী চিকিৎসক আইরিন আক্তার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, চিকিৎসকরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমাদেরও ভুলক্রুটি হতে পারে। আমাদের বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে তদন্ত হলেও তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিবেন। কোন প্রকার তদন্ত না করেই ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসককে গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলে রাখা হয়েছে। আরেকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অথচ হাসপাতাল দিয়ে যারা ব্যবসা করছেন, তাদেরকে কিছু করা হচ্ছেনা। উল্টো ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, আমাদের কথা স্পষ্ট, চিকিৎসকদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে এবং আমাদের কর্মস্থল নিরাপদ করতে হবে। না হলে শান্তিপ্রিয় মানুষ যদি অশান্ত হয়, এর পরিনাম কি হয় তা আপনারা জানেন। আমাদের দাবি না মানলে সামনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়া শহরতলীতে ৪৯টি ভারতীয় মোবাইল ফোন সেটসহ স্বপন খান (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে বিয়াল্লিশ্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির কাছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এনড্রয়েড মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।
বিকেলে পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সদর থানা পুলিশ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়াল্লিশর এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এ সময় আখাউড়া পৌর এলাকার নিজাম খানের ছেলে স্বপন খানকে ৪৯টি ভারতীয় মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।