চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যায়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সমন্বয়ে সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা এক্স স্টুডেন্টস (আবেশ) এর উদ্যোগে কৃতি ছাত্রদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠান হয়েছে।
আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেলে স্কুল প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানে জিপিএ ৫ সহ প্রায় ৩ শত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আবেশ এর সভাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাগীর আহমেদ।
স্বাগত জানান সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইমাম শামীম, বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৭ ব্যাচের ছাত্র শিল্প উদ্যোক্তা খলিলুর রহমান, ৭১ ব্যাচের ছাত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম ইমদাদুল হক, আবেশ এর উপদেষ্টা মোঃ হাবিবুর রহমান. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আবদুস সাকির ছোটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাউদকান্দিতে মো. মহিউদ্দিন নামের একজনকে হত্যা করে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে চলা সেই যুবককে তার সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ্ প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার আনিস (২৪) চান্দিনার শালিখা এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় নানা বাড়িতে থাকতেন। অপরজন শাকিল মিয়া (২৪) গৌরিপুর এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহীদুল্লাহ বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা দেন ঘাতক আনিস, শাকিলসহ অন্যান্যরা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে আনিস ও শাকিলের অবস্থান শনাক্ত করা হলে ওইদিন রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আনিস ও শাকিল জানান, মাদকের টাকা নিয়ে মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় আরও কয়েকজন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে আনিস ও শাকিলকে আদালতে তোলা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার দাউদকান্দির ওলানাপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মহিউদ্দিন নামের এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মহিউদ্দিনের ডান হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে এক হাতে চাপাতি অন্য হাতে কাটা হাত নিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি সিসিটিভি ফুটেজের ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিহত মহিউদ্দিন ওলানপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গণ অডিটিরিয়াম কক্ষে ‘বিজয়ের উল্লাসে, তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডা মোঃ নোমান মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মতিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আমির আলী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা আখতার ও মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রকল্প পরিচালক মোঃ আকরাম হোসেন।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, জুলাই গণঅভ্যত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন ভাবে স্বাধীন হয়েছি এটা সত্য কিন্তু তরুণ প্রজন্মকে একাত্তরকে ভুলে গেলে চলবে না বরং একাত্তর ও ২৪ এর বিজয়ের অনুপেরণা নিয়ে বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন আজকে যারা তরুণ কালকে তারাই বৃদ্ব হবে তাই তরুন থাকা আবস্থায় সময়কে কাজে লাগাতে হবে কারণ তারুণ্যের শক্তি যা সারা পৃথিবীর পরিবর্তনের ইতিবাচক ভুমিকা পালন করে।
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে ঐকের প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করে আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলে এই গণঅভ্যুত্থান আমাদের শিখিয়েছে যে, পরিবর্তন এবং উন্নয়নের জন্য আমাদের সংগঠিত হতে হবে, একসাথে কাজ করতে হবে এবং নিজ নিজ কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য আজীবন লড়াই করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়ার সমাপণী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। যেখানে প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থা সক্রিয়করণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১ জুন শনিবার সকালে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি।
বিচার বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ কর্মকতাও বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয় বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আদালতে বর্তমানে প্রায় ৪২ লক্ষ মামলা বিচারাধীন।
মামলা পরিচালনার জটিল প্রক্রিয়ার সাথে পুরাতন মামলার চাপের ফলে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রাপ্তি থেকে সাধারণ জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাভোগী জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ কমাতে এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ন্যায়বিচার সহজলভ্য ও নিশ্চিত করার জন্য ছোটোখাটো বিরোধের ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি ও প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার গ্রাম আদালতকে কার্যকর ভাবে সক্রিয়করনের উপর গুরত্বআরোপ করছে।
সভায় গ্রাম আদালতের বিরোধ মিমাংসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের এখতিয়ারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পহেলা বৈশাখকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পহেলা বৈশাখকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
গতকাল ১৪ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, যতদিন বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে, ততদিন পহেলা বৈশাখের মতো আমাদের এই সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আঃ কুদদূস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভাষা ও সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি এস.আর ওসমান গনি সজীব। ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় বিভিন্ন ধরনের পন্য নিয়ে ১৮টি স্টল বসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্প একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আজ ৩১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে পিঠা উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস আর ওসমানগনি সজীব।
উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ১৬টি স্টল বাহারী রকমের পিঠা প্রদর্শন করে।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে।