চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তিসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়দরকান্দি গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের ব্যবহৃত নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি হলেন নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৪) ও সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের মো. রাসেল (২২)।
গ্রেফতার অপর ছয়জন হলেন নাসিরনগর উপজেলার জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া (৪৫), তাঁর বড় ভাই মানজু মিয়া (৪৮), ইছা মিয়া (৪৮), তাঁর ছেলে ইমরান মিয়া (২৩) এবং ইছা মিয়ার ছোট ভাই নান্নু মিয়া (৪৫) এবং সোহেল মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জায়গাজমি নিয়ে কয়েক মাস ধরে জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষ থেকে একাধিক মামলাও হয়েছে। রাত আটটার দিকে মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন জয়দরকান্দি গ্রামে যান। তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবদুর রহমানের লোকজনের বসতবাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকজনের কথা ও আচরণ দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ সদস্যরা জয়দরকান্দি গ্রামে গিয়ে ওই আটজনকে গ্রেফতার করেন।
এ সময় পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী আরো চারজন পালিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। থানাহাজতে আটক পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের দায় স্বীকার করেন। তাঁরা দুলালের প্ররোচনায় গ্রামে গিয়ে এমনটি করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ভুয়া দুই পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অপর ছয়জনকে আবদুর রহমানের করা মামলার আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের বিশেষ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার সকালে স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. রায়হান আলী ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জিতু মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ নেতা আল কাউছার।
কর্মী সভায় উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন করার লক্ষ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কর্মী সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন নাসিরনগর উপজেলার সাদিয়া সাবাহ জেসি। সে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জেসির বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে।
তার পিতা মোঃ আমির আলী ভূইয়া উপজেলার মকবুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাতা তাছলিমা বেগম উপজেলার পূর্বভাগ দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
স্কুল সূত্র জানায়, সাদিয়া সাবাহ জেসি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ সালে প্রথমে নাসিরনগর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও পরে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। জেসি জানান, তার এই অর্জনে পিতা-মাতাসহ বিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বিরাট ভ‚মিকা রয়েছে।
জেসি চট্টগ্রাম বিভাগেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারেন এজন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাদিয়া সাবাহ জেসি ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মেধা বিকাশে খাঁটি পণ্য সরবরাহে একটি বিশ্বস্থ প্রতিষ্ঠান এই শ্লোগানকে সামনে রেখে “স্মার্ট লাইভস্টক বাজার” স্কুল ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৬ মে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে নাসিরনগর শিশু কানন চত্বরে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
অধ্যক্ষ মোঃ আবদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পিংয়ে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নূরে আলম, নাসিরনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রাজা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু।
এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্মার্ট লাইভস্টক বাজারের উদ্যোক্তা আল-মামুন চৌধুরী, সাহেরা বেগম, কোহিনুর আক্তার, শিক্ষক, অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এন্টিবায়োটিক মুক্ত ডিম বিতরণ করেন।
বাজারের উদ্যোক্তা আল-মামুন চৌধুরী জানান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের নীচ তলায় অবস্থিত “স্মার্ট লাইভস্টক বাজারে” দুধ, দই, ঘি, পনির, মিষ্টি, লাচ্ছি, দুধ চা, এন্টিবায়োটিক মুক্ত ডিম, পোল্ট্রি ও রাজ হাসেঁর মাংসসহ সকল প্রাণিজ পণ্য বিক্রয় করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা পশু হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফখরুল ইসলাম উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম বলেন, বিকেলে উপজেলা সদরের পশু হাসপাতালের সামনে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল ফখরুল। এমন গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশ দেখে দৌঁড় দেন ফখরুল। পরে একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ফখরুল বিস্ফোরক মামলার এজহারনামীয় আসামি। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।