চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তিসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়দরকান্দি গ্রাম থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিদের ব্যবহৃত নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি হলেন নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের রাসেল মিয়া (২৪) ও সরাইল উপজেলা পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের মো. রাসেল (২২)।
গ্রেফতার অপর ছয়জন হলেন নাসিরনগর উপজেলার জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া (৪৫), তাঁর বড় ভাই মানজু মিয়া (৪৮), ইছা মিয়া (৪৮), তাঁর ছেলে ইমরান মিয়া (২৩) এবং ইছা মিয়ার ছোট ভাই নান্নু মিয়া (৪৫) এবং সোহেল মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, জায়গাজমি নিয়ে কয়েক মাস ধরে জয়দরকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষ থেকে একাধিক মামলাও হয়েছে। রাত আটটার দিকে মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে নিবন্ধনবিহীন তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন জয়দরকান্দি গ্রামে যান। তাঁরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে আবদুর রহমানের লোকজনের বসতবাড়িতে ত্রাস সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকজনের কথা ও আচরণ দেখে গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। পরে খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ সদস্যরা জয়দরকান্দি গ্রামে গিয়ে ওই আটজনকে গ্রেফতার করেন।
এ সময় পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী আরো চারজন পালিয়ে যান। পুলিশ তাঁদের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। থানাহাজতে আটক পুলিশের ভুয়া পরিচয়ধারী দুই ব্যক্তি আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রোববার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের দায় স্বীকার করেন। তাঁরা দুলালের প্ররোচনায় গ্রামে গিয়ে এমনটি করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ভুয়া দুই পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অপর ছয়জনকে আবদুর রহমানের করা মামলার আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত পরাজিত প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় মামলা হয়েছে।
গত রোববার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নাসিরনগর থানায় এই এজাহার দায়ের করেন। যা নাসিরনগর থানার মামলা হিসেবে রজু করা হয়। এজাহারে বলা হয়, গত ২২শে ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এতে ওই ব্যক্তি (ফরহাদ হোসেন) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর বিধান এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১১ বিধির বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছেন। বর্নিত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীন এজাহার দায়ের করার জন্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম)কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে গত ১১ই জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে উপ-সচিব (আইন) মোঃ আব্দুছ সালাম এক চিঠিতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অনতিবিলম্বে এজাহার দায়ের করার নির্দেশ দেন। ওই চিঠিতে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন প্রেরণের উল্লেখ করে বলা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এর আগে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেনকে ‘তলব’ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে ‘চেয়ারম্যানের নাম শুছে দিতে চান এম.পি, হাত ভাঙার হুমকি আওয়ামী লীগ নেতার’ শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে সেটির সূত্র ধরে তাকে তলব করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। পরে খবরটি স্থানীয় দৈনিকসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তলব করার পর তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরাহদ হোসেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারি জজ ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হকের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা বলেন, রবিবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দেয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এর আগে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রেজাউল হকের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে ফরহাদ হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর প্রদত্ত বক্তব্যের খন্ডিত অংশের বিকৃত করে মিডিয়া কুচক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত জবাবে তিনি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মানার অঙ্গীকার করেন।
লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, তার বক্তব্যের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডের কারণে তার নাম জনগণের হৃদয় থেকে মুছে যাবে বুঝিয়েছেন। তিনি কাউকে কোনো প্রকার হুমকি প্রদান করেননি। পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে নেয়া নির্বাচনী তদন্ত কমিটির পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। পত্রিকার রিপোর্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিধায় কারণ দর্শানোর দায় থেকে অব্যাহতি চান তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা (কলার ছড়ি প্রতীক) আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের কাছে।
এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক) ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বি.এম. ফরহাদ হোসেন-(নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের নতুন সংযোজন অত্যাধুনিক রোগ নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠান “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড” এর উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিশেষায়িত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। আজ ৫ অক্টোবর শনিবার সকালে আধুনিক হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ ইসরার কামালের সভাপতিত্বে “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড”এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আধুনিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নাক,কান গলা বিশেষঞ্জ সার্জন সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন ভুইয়া, ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইয়া,পরিচালক ডা: মুকবুল হোসেন,পরিচালক ডাঃ পান্না বনিক,হাজ্বী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মো: শাহেদুল ইসলাম,মো: ফরহাজদুক ভুইয়া, স্বপন দেবনাথ, মো: মনিরুজ্জামান,আশরাফুল ইসলাম বাবুল,বীরেন্দ্র বিশ্বাসসহ পরিচালকবৃন্দ, সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ উপস্থিত ছিলেন। পরে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে“আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশন লিমিটেড” এর উদ্বোধন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
অন্যদিকে আধুনিক হাসপাতাল কনফারেন্স কক্ষে উন্নত চিকিৎসা’ প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয় শীর্ষক সাংবাদিক, চিকিৎসক, সুশীল সমাজ ও আধুনিক হাসপাতালের পরিচালকগণের অংশগ্রহণ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময়কালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত অত্যাধুনিক “আধুনিক মাল্টিকেয়ার ডায়াগনষ্টিক এ- কনসালটেশনে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। যা রোগী একই স্থানে সকল পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত পরাজিত প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় দায়েরকৃত মামলা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।
থানায় মামলা দায়েরের জন্য পাঠানো চিঠির কার্যকারিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন নিজের সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনাক্রমে পরিবর্তন করে সাবেক সংসদ সদস্যকে সর্তক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনের এই চিঠি নাসিরনগর থানায় পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা (কলার ছড়ি প্রতিক) আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের কাছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা, সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি) ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বি.এম. ফরহাদ হোসেন-(নৌকা প্রতিক) পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব (আইন) আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত পরিবর্তিত নতুন আদেশের একটি চিঠি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলামের কাছে পৌঁছে। নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্তে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনাক্রমে পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অবগতকরণের জন্য গত মঙ্গলবার আবার চিঠি পাঠানো হয়।
চিঠি সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বদরুন্দোজা মোঃ ফরহাদ হােসেন।
গত ২২ ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি দেন ফরহাদ হোসেন। হুমকি প্রদানের ঘটনায় গত ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীনে ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় এজাহার দায়েরের জন্য উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়।
নির্বাচন কমিশন মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনাক্রমে তা পরিবর্তন করেন। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ,
ক্ষমতাবলে গত ১১ জানুয়ারি জারিকৃত চিঠির কার্যকরতা রহিতপূর্বক বণিত প্রার্থীকে (ফরহাদ হোসেন) সর্তক করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রদান করেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের নেয়া সর্বশেষ সিদ্ধান্তের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে গত রোববার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী নাসিরনগর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
যা নাসিরনগর থানার মামলা হিসেবে রজু করা হয়। এজাহারে বলা হয়, গত ২২শে ডিসেম্বর নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় তৎকালীন সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের নাম নাসিরনগর থেকে মুছে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
এতে ওই ব্যক্তি (ফরহাদ হোসেন) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর বিধান এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ১১ বিধির বিধান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছেন। বর্নিত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ১৮ এর অধীন এজাহার দায়ের করার জন্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম)কে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা বলেন, আগের আদেশ রহিত করে মামলার কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ এই মামলা আর চলবেনা। আর সাবেক সংসদ সদস্যকে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আশার সদস্যদের মাঝে বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর বুধবার বিকালে নাসিরনগর আশার আঞ্চলিক কার্যালয়ে এই বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়। বীমা দাবি ও চিকিৎসা সহায়তা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আশার হবিগঞ্জ সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন।
আশার নাসিরনগর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো: দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া।
আশা নাসিরনগর সদর ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মো: আশরাফ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আশা ফান্দাউক ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক মাসুদ পারভেজ, আশা ভলাকুট ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক আরিফুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আশার হতদরিদ্র মমতা রানীকে ৩ হাজার টাকা ও জেসমিন বেগমকে ৩ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়। এছাড়াও বীমা নিস্পত্তি দাবি হিসেবে মরনোত্তর নিজাম উদ্দিনকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা, রোকসানাকে ১৭ হাজার ৭৭২ টাকা ও মমতা রানী ১ লাখ ৫৪৯১ টাকা ঋণ মওকুফ করা হয়। এ সময় এবিএম, লোন অফিসারসহ আশা ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আশার হবিগঞ্জ সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, আশার নিজস্ব আয় থেকে নানাবিধ সামাজিক সেবামূলক কাজকর্মের একটি হল এই চিকিৎসা সহায়তা প্রদান। আশা সারাদেশে ঋণ কার্যক্রমের পাশাপাশি আশার বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা ও খাদ্য সামগ্রী, সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণ,শীত বস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির, ফিজিওথেরাপী ক্যাম্প, প্রাথমিক শিক্ষা শক্তিশালী করণ কর্মসূচীসহ সামাজিক কার্যক্রম চালু রয়েছে।