অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় তাবাসকো রাজ্যে একটি বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনার কিছু ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব ছবিতে দেখা যায়, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৮ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্যুরস আকোস্টা নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি এই বাসটির মালিক। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাসটি ক্যানকুন থেকে তাবাসকো যাচ্ছিল। এতে মোট ৪৮ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর বাসটি আগুনে পুড়ে যায়। তারা আরও জানায়, বাসটি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। এসকারসেগার কাছাকাছি পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষে হয়। সংঘর্ষের পরেই বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
তাবাসকো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
ট্যুরস আকোস্টা ফেসবুকের এক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এ ঘটনার জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মেক্সিকোর কাম্পেচে প্রদেশের কান্দেলারিয়া শহরের প্রসিকিউটরের অফিসে এ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। নিহত যাত্রীদের লাশ নিতে স্বজনদের এই অফিসে যেতে হবে।
তাবাসকো সরকারের সেক্রেটারি রামিরো লোপেজ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা মৃতদের সংখ্যা ও পরিচয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব।’
স্থানীয় কাউন্সিল প্যালাসিও মিউনিসিপ্যাল দে কমালকালকো জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ স্থানান্তরের জন্য তারা সহায়তা করবে।
সূত্র: রয়টার্স
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ ও খনিজ উপাদান হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকেই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওয়াশিংটন থেকে কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর না করেই ফিরে গেছেন জেলেনস্কি।
২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি চুক্তি সই করা, শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন কয়েকশো কোটি ডলারের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পেয়েছে, কিন্তু ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ট্রাম্প জেলেনস্কির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য দোষারোপ করতে শুরু করেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সমালোচনা করে বলেন, তাকে শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
এ উত্তেজনার কারণে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত না হয়ে শেষ পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বের হয়ে যান। ঘটনা পরিক্রমায়, দুই দেশের সম্পর্ক এবং বৈঠকের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং পরিস্থিতি বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন অজানা দিক উন্মোচন করেছে।
এর আগে, সাংবাদিকদের সামনে এই বৈঠকে জেলেনস্কিকে একের পর আক্রমণ করে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। জেলেনস্কি ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলছেন’ বলে অভিযোগ করে ট্রাম্প বলেন, আপনার দেশের মানুষ খুবই সাহসী; কিন্তু আপনাকে হয় (রাশিয়ার সাথে) একটি চুক্তি করতে হবে না হলে আমরা আর আপনাদের সাথে নেই। আর আমরা যদি না থাকি তাহলে আপনাকে একা লড়তে হবে।
ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে মতপার্থক্য একসময় চিৎকার-চ্যাঁচামেচির পর্যায়ে চলে যায়। ‘জেলেনস্কি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন’ দাবি করে ট্রাম্প বলেন, মানুষ মারা পড়ছে। যুদ্ধের জন্য সেনার সংখ্যাও কমছে ক্রমশ। আপনার হাতে কার্ড (বিকল্প) নেই। একবার আমরা চুক্তি সই করলে আপনি ভালো অবস্থানে চলে যাবেন। কিন্তু আপনাকে আদৌ কৃতজ্ঞ মনে হচ্ছে না। সত্যি কথা বলতে কি এটা ভালো কোনো বিষয় নয়।
বৈঠকের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, হোয়াইট হাউসে আজ (শুক্রবার) অর্থবহ মিটিং করেছি। এতো চাপ ও উত্তেজনার মধ্যে এমন কিছু শেখা গেছে, যা কথা না বললে কখনো বোঝা যেত না। আবেগের মধ্য দিয়ে যা বেরিয়ে আসে তা আশ্চর্যজনক, আমি স্থির হয়েছি যে জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত না। এতে যদি আমেরিকা যুক্ত থাকে, কারণ তিনি মনে করেন আমাদের যুক্ত থাকার ফলে আলোচনায় তার একটা বড় সুবিধা হবে। আমি সুবিধা চাই না, শান্তি চাই।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, তিনি (জেলেনস্কি) যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন তিনি আসতে পারেন। তিনি প্রিয় ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন।
বৈঠকের শুরুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা। যখন তাদের বাদানুবাদ চলছিল, তখন বৈঠকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে মাথায় হাত অবস্থায় দেখা গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
মক্কার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো পবিত্র রমজান মাসে রমজানের দ্বিতীয় জুমার তারাবির নামাজে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তারাবির নামাজে মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়ার কারণে কাবার গ্র্যান্ড মসজিদ পেরিয়ে নামাজের কাতার গিয়েছিল সাড়ে তিন কিলোমিটারেরও বেশি দূরের মাআলা এলাকায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা যায় মাআলা এলাকায় মুসল্লিদের ভিড়ের দৃশ্য। সাথে সাথে ড্রোন থেকে তোলা ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়।
পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মুসল্লি পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় করেন।
এছাড়া রমজান মাস ওমরা পালনের জন্য আদর্শ মৌসুম এবং এ মাসেই রয়েছে ইতিকাফ করার সুযোগ। এজন্য রমজান মাস জুড়ে মক্কা মদিনায় ভিড় লেগেই থাকে। সূত্র: গালফ নিউজ
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ওভারটেকজনিত কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় এক অটোরিকশার চালক সামান্য আহত হন। তবে বাসের যাত্রীরা অক্ষত ছিলেন। ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা পথে চলাচলকারী বাসটির ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী।
একাধিক সূত্র জানায়, বাসটি শনিবার সকাল ১১টার দিকে আগরতলা থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় আসার পর একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে বাসটি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে থামানোর চেষ্টা করে ও সড়কের একপাশে সরে পড়ে। এ সময় পেছনে থাকা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাসে ধাক্কা দেয়। অটোরিকশাটি বাসে আটকে যায়। সামান্য ব্যথা পান অটোরিকশার চালক। পরে একটি রেকার এসে বাস থেকে অটোরিকশাটিকে সরিয়ে দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
বাসটিতে ভারতীয়সহ ২৬ জন যাত্রী ছিল। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় বাসটি ঢাকার কাছাকাছি ছিল।
শ্যামলী পরিবহনের ওই বাসের চালক মো. আসাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পেছনে থাকা একটি অটোরিকশা বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি বাসের পেছনে আটকে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে নেমে একটি রেকার আনার ব্যবস্থা করে অটোরিকশাটি সরিয়ে নিই। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকেও অবহিত করা হয়। পুলিশ আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখে চলে যেতে বলে। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।’
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘তেমন বড় ধরনের কিছু হয়নি। দুর্ঘটনায় অটোরিক্সা চালক সামান্য আহত হন। বাসের চালক ও অটোরিক্সা চালকের মধ্যে সমঝোতা করে যে যার মতো চলে গেছেন।’
এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, ভোক্তাবিষয়ক, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। বিকেলে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। তবে বাসটি যে বাংলাদেশের বিআরটিসি পরিবহনের, সেটি তিনি লেখায় উল্লেখ করেননি।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছে, আপাতত ওয়াকফ আইন সংশোধন কার্যকর করা যাবে না। বর্তমানে যে সব সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে, তা আগের মতোই বহাল থাকবে।
১৬ এপ্রিল বুধবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মতে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঘোষিত ওয়াকফ সম্পত্তি বাতিল করা যাবে না এবং মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওয়াকফ বোর্ডও বহাল থাকবে।
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানায়, যেকোনো সম্পত্তি যদি আদালতে ওয়াকফ হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকে, তাহলে সংশোধিত আইন নিয়ে শুনানি চলাকালে তা পরিবর্তন করা যাবে না। দান বা চুক্তির মাধ্যমে ওয়াকফ ঘোষিত যেকোনো সম্পত্তির ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
আদালত আরও জানায়, কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ নাকি সরকারি, সেই বিষয়ে তদন্ত চলাকালীন কালেক্টরের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সেটিকে ওয়াকফ হিসেবে ধরা হবে না—যদিও সংশোধিত আইনে এমন উল্লেখ রয়েছে, তবে আপাতত সেই ধারা বলবৎ থাকবে না।
এছাড়া, ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কমিটির সব সদস্যকে মুসলিম হতে হবে, আদালত তা পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা বা কোনো নির্দিষ্ট পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে যারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বোর্ডে জায়গা পান, তারা এই নিয়মের বাইরে থাকবেন। পাশাপাশি, হিন্দু ধর্মীয় ট্রাস্টে মুসলিমদের সদস্যপদ দেওয়া হয় কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ওয়াকফ আইন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, সহিংসতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়। বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে এবং এ নিয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।
এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অন্যদিকে, বিরোধীদের পক্ষ থেকে কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে দীর্ঘ ৮ মাস সাজা খেটে দেশে ফিরেছেন হৃদয় বসু (১৭) নামের এক বাংলাদেশি যুবক। ১৭ আগস্ট শনিবার বিকেল ৪টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত দিয়ে আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে ওই যুবককে ফেরত দেওয়া হয় তার পরিবারের কাছে। ফেরত আসা যুবকের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুড়মনি গ্রামে।
হৃদয় বসু জানান, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বোনের সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হন হৃদয়। পরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে নিজের অজান্তেই ভুল করে সীমানা অতিক্রম করায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে সে দেশের আদালত তাকে রাজ্যের উদয়পুর অবজারভেশন হোমে পাঠায়। পরবর্তীতে ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তার স্বজনদের খোঁজে বের করা হয়।
সীমান্তের শূণ্য রেখায় হৃদয় বসুকে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভিন রুহী, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশনের ইনর্চাজ মো. খায়রুল আলম সহ দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।