অনলাইন ডেস্ক :
মহেশপুর সীমান্তে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে আটক করেছে বিজিবি। এছাড়া পৃথক অভিযানে ৩৫৬ বোতল ভারতীয় মদ ও ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাঘাডাঙ্গা ও পলিয়ানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের অপরাধে আটক করা হয়। আটককৃতদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০১ বোতল ভারতীয় মদ, ২৫৭ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল ও ৭৩টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। এছাড়া সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ২৩২টি ভারতীয় চশমা উদ্ধার করে বিজিবি।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা দায়েরের পর পরিচয় জানানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রায় জনস্রোত নেমেছে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের তিস্তা সড়কসেতু থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রার জনস্রোত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে পথযাত্রায় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। তিস্তা সেতু থেকে পথযাত্রাটি রংপুরের কাউনিয়ায় আসে। তখন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসার নেতৃত্বে বিএনপির রংপুরের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে শিশু, কিশোর, নারী ও পুরুষেরা অংশ নেন।
লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু ইয়াহিয়া ইউনুস বলেন, বৃহত্তর রংপুরের কৃষি অর্থনীতি তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন ভারত পানি দেয় না। যখন প্রয়োজন নেই, তখন পানি ছেড়ে দিয়ে ফসল নষ্ট করে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে রাজপথে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নয়, এখানে সর্বদলীয় মানুষ অংশ নিয়েছে।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিন কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলায় গিয়ে পথযাত্রা পৌঁছায়। সেখান থেকে আবার তিস্তা সেতুর দিকে গিয়ে শেষ হয় এই পদযাত্রা।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নদীপারের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ গণপদযাত্রা শেষে তিস্তার পানিতে নেমে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও সংগীত পরিবেশন করা হয়। বিকেল পাঁচটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিস্তাপারের ১১টি স্থানে অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চ্যুয়াল যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গঙ্গাছড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদীর নেতৃত্বে একটি গণপদযাত্রা হয়। হাদি বলেন, এটি গণমানুষের দাবি সবাইকে একাত্মতা প্রকাশ করে এ দাবিতে সমনেত হওয়া প্রয়োজন। তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে উত্তরের জীবনমান এমনটাই মনে করেন এই চেয়ারম্যান।
অনলাইন ডেস্ক :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী গ্রামের দারোগা বাঁধ সংলগ্ন বিলে এ লড়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সোহেল মিরা এবং হেলাল সরদারের দুটি বলি মহিষ অংশ নেয়। দুই মহিষের দুর্দান্ত লড়াই দেখে অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলো দর্শকরা।
স্থানীয়রা জানায়, বলি মহিষ দুইটি ছিলো প্রচন্ডভাবে তেজী। প্রথম থেকেই আক্রমণ। যেন একে অপরকে হারানোর জন্য আপ্রান চেষ্ট করছে। থেমে থেমে লড়াই করেছিল। প্রায় ১০ মিনিটের লড়াইয়ে হেলাল সরদারের বলি মহিষটিকে হরিয়ে সোহেল মিরার বলি মহিষ বিজয় হয়। পরে মালিকপক্ষ মহিষ দু’টি নিয়ে চলে যায়।
আগে গ্রামবাংলার প্রায় সব অঞ্চলে মহিষের লড়াই আয়োজন করা হতো। এতে মালিকরা তাদের বলি মহিষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তত করতেন। লড়াইয়ের অংশ নেওয়া মহিষদের গায়ে সরিষার তেল মালিশ করা হতো। এছাড়া খাওয়ানো হতো পুষ্টিকর খাবার এমটাই জানিয়েছেন প্রবীণরা।
অনেকেই মনে করেন, ঐতিহ্য ধরে রাখতে নিয়মিত এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা উচিত। এতে গ্রামীণ সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
মহিষের লড়াই দেখতে আশা ইমরান বলেন, এক সময় গ্রামবাংলার এমন প্রতিযোগিতা মহিষের লড়াই ছিলো। এখন আর সচারাচর এমন লড়াই দেখা যায় না। অপর এক যুবক বলেন, মহিষের লড়াই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শৈশবে আমরা এমন লড়াই দেখেছি। মহিষের লড়াই হবে তা শুনে দেখতে এলাম। দীর্ঘদিন পর আবারও এই দৃশ্য দেখে দারুণ লেগেছে।
লড়াইয়ে অংশ নেয়া বলি মহিষের মালিক হেলাল সরদার বলেন, তার বাড়িতে অনেক মহিষ রয়েছে। প্রায়ই বলি মহিষের সাথে লড়াই দেয়া হয়। সোহেল মিরা জানান, শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে মহিষের লড়াই সম্পন্ন হয়েছে। তবে এ লড়াইয়ে তার বলি মহিষটি বিজয় হয়েছে।
ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তারা জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। ১৬ জুন সোমবার সকাল থেকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে অনশন করছেন তিনি। ওই তরুণী জানান, ওই গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী জলিল হাওলাদারের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জলিল ২০২৩ সালে সৌদি আরবে যাওয়ার পর, ওই বছরের ১২ জানুয়ারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার একটি কাজী অফিসে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
সাম্প্রতি জলিল দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়ের উদ্যোগ নেন। বিষয়টি জানতে পেরে নিজের স্বামীর স্বীকৃতি ও অধিকার আদায়ে অনশন শুরু করেন তিনি। এর আগে জলিল আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন ওই তরুণী।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফুলবাড়ীতে পিকনিকের বাস উল্টে ১৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনয়নের পূর্ব মহেশপুর (ব্রহ্মচারী) নামক এলাকায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গনেশপুর গ্রাম থেকে ৬০জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস পিকনিকের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফুলবাড়ীর পূর্ব মহেশপুর (ব্রহ্মচারী) এলাকায় পৌঁছালে সেখানে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে একই দিক থেকে যাওয়া একটি মাইক্রো এবং একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় সামনের চাকার হুইলসেল ভেঙে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসটি সড়কের পার্শ্বে ফসলি জমিতে উল্টে পড়ে যায়। এসময় যাত্রীবাহী পিকনিকের বাসে থাকা ১৬ জন যাত্রী আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এর মধ্যে বারিকুল ইসলাম ( ২৮) এবং আকরাম হোসেন (৩৯) নামে দুইজন যাত্রী গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএকেএম খন্দকার মুহিব্বুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনায় কিছু লোক আহত হয়েছে। তবে কেউ নিহত হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চালক ও তার সহযোগি পালিয়ে গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনে জেলার সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৫৮ হাজার ৪০৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭০ জন।
শনিবার সকালে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিমেলসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ। দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে জেলার ১০টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৩৩৮জন স্বাস্থ্য সহকারি, ১০০জন এএইচআই, ৩৪৮জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ৮৭জন এফপিআই দায়িত্ব পালন করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অন্ধত্ব’ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।