চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও আনন্দ ভোজন অনুষ্ঠান আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল হাসান, সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গৌরি রানী রায়, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. মনছুর আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাক্তার নিজাম উদ্দিন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহবুবুল হক, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার পারভেজ আলম, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম জসিম উদ্দিন ও সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রিয়াজুর কোরআন তেলাওয়াত ও রাজ নন্দীনি ধরের গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে নবীনদের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিম তামান্না।
অতিথিবৃন্দকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন ও শিক্ষক প্রতিনিধি গাজী মোহাম্মদ আব্দুল মাজিদ। ষষ্ঠ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরারা।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দসহ শিক্ষক প্রতিনিধি সৈয়দা ফারজানা খানম, সিনিয়র শিক্ষক তাসলিমা খাতুন, হাবিবুর রহমান, নুরুন্নাহার বেগম, সৈয়দা লিপি আক্তার, ফখরুদ্দিন হৃদয়, রবিউল হোসেন, জহিরুল ইসলাম ফরহাদ, সাদেকুর রহমান, আরিফা বেগম, মুক্তা বেগম, মিয়া মোহাম্মদ খোকন, মোশাহেদ উল্লাহ, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি রোকন মিয়া, শরীফ আব্দুল্লাহ রানা, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, অন্যান্য শ্রেণির বিশেষ ব্যক্তিবর্গ ও বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলে আনন্দ ভোজনে অংশগ্রহন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আঃ কুদদূস এর কাব্যগন্থ মঞ্জুকেশিনী’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে একটি নান্দনিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬.০০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মডেল গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে-সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার পাঠশালা নির্ঝর এর উদ্যোগে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়।
এতে দেশবরেণ্য কবি-লেখকগণ অংশগ্রহন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। স্বাগত বক্তব্যে দেশবরেণ্য বাচিকশিল্পী কবি ও সাংবাদিক মো. মনির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর বিগত দুই বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় তাঁর গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মযজ্ঞ তুলে ধরেন।
অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান. সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, সাবেক সাবেক যুগ্ম সচিব মো. সানাউল হক, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারি, পৌর পরিষদের কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ. কবি-লেখক, সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তিতাস সাহিত্য সংগঠণের পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করেন হাবিবুর রহমান পারভেজ ও শারমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আসিফ ইকবাল খানের নেতৃত্বাধীন আনন্দলোক এর শিল্পীবৃন্দ।
শিশির স্নাত সন্ধ্যায়, হেমন্তের চাঁদনী রাতে খেজুর গুড়ের শীতের পিঠা, পায়েস আর চায়ের আড্ডার সাথে গান কথা কবিতার এই মিলনমেলা মনে রাখার মতো স্মৃতির সরোবরে স্থান করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধান নির্বার্হী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের গতকাল ২৫ নভেম্বর ছিলো দুই বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে মোশরাফ হোসেন বেলাল ও মোজাম্মেল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার লোকমান মিয়া জেলা শহরের সরকার পাড়া এলাকার কবির আহম্মদের ছেলে ও সদর উপজেলার রামরাইল ইউপির মোহাম্মদপুর এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে বাহার মিয়া (বাক্কার)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের সরকারপাড়া এলাকা থেকে ১ বছর দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি লোকমান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, সকাল ১০টার দিকে পৃথক অভিযানে সদর উপজেলার রামরাইল ইউপির মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ২ বছর দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাহার মিয়াকে (বাক্কার) গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে কোর্টের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
আজ ২৭ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহরের পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোডে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ফজলুল হক জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া গ্রামের আলী আহাদের ছেলে।
ফজলুর রহমান ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী। তিনি জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। বিকেলে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে দিন দুপুরে পুলিশ পরিচয়ে এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুর রহমান বলেন, সকালে বাসা থেকে জমি বিক্রির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য রিকশায় করে রওনা দেই। বাসার একটু সামনে পূর্ব পাইকপাড়া জামে মসজিদ রোড আসিফ টিউটোরিয়াল অ্যান্ড হাই স্কুলের সামনে গেলে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রঙের একটা হাইয়েক্স মাইক্রোবাসে থাকা তিনজন আমার রিকশা গতিরোধ করে। পুলিশের ড্রেস পরা একজন ও বাকী দুজন তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার নাম জানতে চায়। আমার সঙ্গে অবৈধ জিনিস আছে বলে জোড় করে গাড়িতে তোলে। উঠতে না চাওয়ায় তারা আমাকে মারধর করে। চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। আমার সঙ্গে থাকা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার ব্যাগসহ তারা আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। আমারে অনেক ভয় ভীতি দেখিয়ে জেলা শহরের পীরবাড়ি এলাকার একটু সামনে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার প্রত্যেক্ষদর্শী পানের টংয়ের দোকানদার আলিয়া বেগম ও সেন্টু মিয়া জানান, পুলিশি পোশাক থাকায় ঝামেলা হতে পারে ভেবে কেউ এগিয়ে যাইনি। পরে জানতে পারি তারা পুলিশ ছিলো না। তারা পুলিশের পোশাক পড়া ছিনতাইকারী। দিন দুপুরে এমন ঘটনায় তারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আশপাশে থাকা সব সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। শিগগিরই রহস্য উৎঘাটন করতে পারবো বলে আশা করছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার আজ ১৭ আগস্ট পৌর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সহযোগিতায় বিএনপি-জামাত জোটের সৃষ্ঠ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে ছাত্র ও যুব সমাজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানিয়েছেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের মাসব্যাপী কর্মসূচির আওতায় আজ বৃহস্পতিবার সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে পৌর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় হাজী মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিন, হাজী হেলাল উদ্দিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, মাহবুবুল আলম খোকন, অ্যাড. শাহনুর ইসলাম, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, সাইদুজ্জামান আরিফ, আশরাফ উদ্দিন আশা, রবিউল হোসেন রুবেল ও শাহাদাত হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।