চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ হাকিম মিয়া (৩৮) কে সাত কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ। ১০ ফেব্রুয়াবি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুইয়াপানিয়া এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন তাকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্ত হাকিম মিয়া গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কুইয়াপানিয়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হাকিম গ্রাম পুলিশের বেশে মাদক বিক্রিতে জড়িত ও গ্রাম পুলিশ হওয়াতে তাকে কেউ সন্দেহ করত না এই সুযোগে তিনি গাঁজার ব্যবসা করতেন। ইউনিয়নের সে ৫নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে ছিল।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হাকিম মিয়ার বসত ঘর থেকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৪৭ বোতল বিয়ার এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদসহ মোঃ শফিকুল ইসলাম (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে কসবা পৌর শহরের কসবা-শান্তিপাড়া পাকা রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম কসবা উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে কসবা-শান্তিপাড়া রাস্তার পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশী করে ৪৭ বোতল বিয়ারের ক্যান এবং ৪৭ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেয়া হয়েছে। আজ রবিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি ও যুবদল। দুপুরে আখাউড়া উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা আখাউড়া স্থলবন্দর, কর্ণেল বাজার, ইটনা, আইরল, হাওড়া বেড়ি বাঁধ এবং বিকেলে কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বানবাসি মানুষের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সফিকুল ইসলাম, এড. গোলাম সারওয়ার খোকন, এড. আনিসুল ইসলাম মঞ্জু, এ.বি.এম. মমিনুল হক, জেলা বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আলী আজম, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ভিপি জহিরুল ইসলাম লিটন, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুল বারী প্রমুখ।
জেলা বিএনপি ও যুবদলের ২ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, তেল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ প্রদান করা হয়।
নেতৃবৃন্দ জানান, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আখাউড়া ও কসবায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় সভানেত্রীর বরাত দিয়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার আমলে না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সায়েদুর রহমান স্বপন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হকের আপন ফুফাতো ভাই। গতকাল রবিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। স্বপন ছাড়াও কসবা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও দুইজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তারা হলেন, কসবা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস এড. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূইয়া। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২১ এপ্রিল রবিবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সায়েদুর রহমান স্বপন কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রচার-প্রচারণা করে আসছেন। তিনি কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। তিনি মন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব।
এড. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সায়েদুর রহমান স্বপন আইনমন্ত্রীর আপন ফুফাতো ভাই। তিনি মন্ত্রীর ভাই পরিচয় দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী এমপিদের আত্মীয়দের প্রার্থী না হতে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তা মানছেন না।
এ বিষয়ে সায়েদুর রহমান স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, আমি মন্ত্রীর ফুফাতো ভাই। মন্ত্রীর পরিবারের আত্মীয় নই। আমি দলীয় প্রতীক নিয়েও নির্বাচন করছি না। আমি ৩০ বছর ধরে কুটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যপারে দলীয় কোন লিখিত নির্দেশনা পাইনি। তাই নির্বাচন করতে আমার কোন বাঁধা নেই।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস বলেন, চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে রক্ত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এক যুবক। নিহত ওই যুবকের নাম মো. ইয়ার হোসেন (৩৩)।
গতকাল ১৭ জুন শনিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা নামকস্থানে ওই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়ার হোসেন কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার পাকদেওড়য়া গ্রামের নবাব মিয়ার ছেলে। ইয়ার হোসেনকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিক্সাটি সড়ক নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ‘রোলার গাড়িতে’ ধাক্কা লাগলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুঘটনায় আরো দু’জন আহত হয়েছেন।
কসবা থানা, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, ইয়ার হোসেন একজন নিয়মিত রক্তদাতা ও ব্লাডব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়নের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, রাত পৌনে আটটার দিকে খাড়েরা এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
নিহত ইয়ার হোসেনের কাছে ব্লাড ব্যাংক অব আন্দিকুট ইউনিয়ন নামে একটি সংগঠনের আইডি কার্ড রয়েছে বলেও জানান তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি, সাবেক সচিব ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান বলেছেন, যে আওয়ামীলীগ এতদিন বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে মেরেছে। যাদের জন্য বিএনপির নেতা কর্মীদের চাকরী হয়নি, কাজ পায়নি। তারা এখন আমাদের আপন হতে চাইবে। আমাদের (বিএনপি) ঘাড়ে চরে ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসবে। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। বহু কষ্টের পরে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তা যেন নস্যাত না হয়। আজ ২১ সেপ্টেম্বরশনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় কয়েক হাজার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ বছর বিএনপির নেতা কর্মীরা অনেক কষ্ট করেছে। তারা চাকরী পায় নাই। আমাদের কথা বলার সুযোগ ছিল না। আমরা কথা বলতে পারতাম না। ছাত্র-জনতা গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদেরকে কথা বলার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আজ আমরা স্বাধীন। গত ১৫ বছর বিএনপির বহু নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মৃত্যু বরণ করেছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মুশফিকুর রহমান আরো বলেন, গত ১৫ বছর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে তা আপনারা দেখেছেন। উনাকে তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সরকার। বিদেশে যেতে দেয়নি। আল্লাহর রহমতে জনগণের ভালোবাসায় তিনি বেঁচে আছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে আছে। দেশে আসতে পারছেনা। আল্লাহর রহমতে এই অত্যচারী সরকার চলে গেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আজকে স্বাধীনতা এসেছে। এখন আমাদেরকে ঐকবদ্ধ হয়ে দেশ গড়তে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। কাজের প্লাট ফরম হলো বিএনপি। বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে।
এসময় তিনি বহুদিন পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসতে পেরে আনন্দিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আখাউড়া-কসবা ছাড়া আমার আর কোথায়ও যাওয়ার জায়গা নাই। অন্য কোথায়ও যাওয়ার ইচ্ছা নাই।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি বিল্লাল খন্দকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রধান উপদেষ্ঠা সৈয়দ শাহ আমানুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন প্রমুখ।
সভা শেষে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ১৫০ টি পরিবারের মাঝে ১টি তোষক ও ২টি করে বালিশ উপহার দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ১১ টায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমান। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীরা শুভেচ্ছা জানান।