অনলাইন ডেস্ক :
কুমারখালীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব। তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে কুমারখালী পৌর শিশুপার্কের সবুজ চত্বরে নাট্য উৎসবের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি। বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান। উদ্বোধন শেষে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কে এম আলম টমের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আলী প্রমুখ।
আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুখের নাটক মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তারুণ্যের উৎসব এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সন্ধায় নাটক “রক্ত গন্ধা জুলাই” মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শুরু হবে নাট্যোৎসব। এদিন রাতেই মঞ্চায়িত হবে সামাজিক নাটক”এ পৃথিবী টাকার গোলাম”। এছাড়াও দ্বিতীয় দিন বুধবার একই মঞ্চে ঐতিহাসিক নাটক: “কোহিনূর” মঞ্চায়িত হবে।
আগামী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে: “সুখের সংসার” নাটক মঞ্চায়িতর মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ নাট্য উৎসব।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুয়াকাটা সংলগ্ন পশ্চিম সাগর মোহনা ও লেম্বুরবনে কোস্টগার্ড ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১৬ পাচারকারীকে আটক করেছে। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের ষ্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তানভীর আজবাল হৃদয় প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, কোস্টগার্ড ও র্যাব বুধবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় একটি নামবিহীন ট্রলারে অভিনব কায়দায় জালের মধ্যে লুকিয়ে সমুদ্রপথে পাচারকালে ১ লাখ পিসসহ ১৬ পাচারকারীকে আটক করে। একই সময় লেবুরবন অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি বস্তায় থাকা আরো ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
অটককৃতরা হলেন নবি হোসেন, মনির উদ্দিন, সোয়দ আলম, মোফাচ্ছেল হোসেন, মোবারক হোসেন, ছবুর আহম্মদ, সেলিম মাঝি, ওমর ফারুক, তহিদুল আলম, আবু তালেব, আব্দুল নবী, ফজলে করিম, মোস্থাক আহম্মদ, আব্দুল খালেক, আলফাত ও খলিল আহম্মদ। এরা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ চক্রটি সমুদ্র পথে দীর্ঘদিন ধরে এ মাদক পাচারের সাথে জড়িত বলে কোষ্টগার্ড সদস্যরা জানান। তবে এ চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃত ১৬ মাদক পাচারকারী, জব্দ ট্রলার ও উদ্ধার করা ৪ লাখ পিস ইয়াবা মহিপুর থানায় হন্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের এ ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
হবিগঞ্জে প্রায় ডজনখানেক ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামি জুয়েল মিয়া (৪০) কে ৬০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের অন্তর্গত গন্ধরাবপুর-আহমদপুর হাই স্কুল এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার সাথে থাকা অন্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত জুয়েল মিয়া মাধবপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আউশ মিয়ার পুত্র। অভিযানে নেতৃত্বদেন ডিবি পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও এএসআই আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে একটি টিম।
এসআই মাহমুদুল হাসান জানান- জুয়েল মিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী। সকালে সেসহ তার সহযোগীরা ওই এলাকায় দিয়ে মাদক পাচার করছিল। এসময় গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যান্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন- মাদক কারবারি জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ও ডাকাতিসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে। সে বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার তিনদিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর বিল এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওহাবকে গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এ গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামি তার ব্যক্তিগত সহকারী রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুজানগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর স্কুল মাঠে পুলিশের গাড়ি থেকে কর্মী-সমর্থকরা আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আজাহার আলী বাদী হয়ে আব্দুল ওহাবকে প্রধান আসামি একটি মামলা করেন। এতে ওহাবসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো কয়েকশত জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৬ জনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক নারীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকে পুলিশ ও যৌথবাহিনী তাকেসহ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রেখেছিলো। এরই অংশ হিসেবে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযানে মথুরাপুর বিল এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকেসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট টেঁটা ও বন্ধুক যুদ্ধে ২ জন নিহত ও অন্তত প্রায় ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি নিহত ও আহতদের নাম।
আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে রাতুল ও আশরাফুল সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে বিগত দিনে এ দু’দলের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছিল। এরই জেরে আজ সকাল থেকেই উভয় গ্রুপের সমর্থকর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে দু’দলের ২ জন নিহত ও প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ জানান, নিহতের সংখ্যা ২ বা ৩ কিনা সঠিক বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হয়ে জানাতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে রেলওয়ের জায়গার একটি পুকুরের দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইদ্রিস মিয়া নামে এক ব্যক্তির হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্নসহ দু’পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। ২২ জুন রবিবার দুপুরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর এলাকার চানপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত ইদ্রিস মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ মো. ইছামউদ্দিন তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও ছেলে আমিনুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চানপুর গ্রামে রেলওয়ের একটি পুকুরের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের ইছাম উদ্দিনের সাথে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। উভয় পক্ষের দাবি তারা পুকুরের লিজ নিয়ে রেখেছেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে দুপুরে চানপুর গ্রামে রেললাইনের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের লোকজন। সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইদ্রিস মিয়ার হাত থেকে কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় তার ছেলে মেহেদী ও তার পক্ষের হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ মো. ইছামউদ্দিন তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও ছেলে আমিনুল ইসলামও আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে ইদ্রিস মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় এবং অন্যান্য আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, রেলওয়ের একটি পুকুরের লিজ নেয়ার দাবি ও দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একজনের হাতের কবজি বিচ্ছিন্নসহ পাঁচ থেকে ছয় জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।