হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন’স ডে। গোটা বিশ্বের প্রেমিক-প্রেমিকারা এদিন মেতে ওঠেন আনন্দ উৎসবে।
উপহারের দোকান, কফি শপ, শপিং মল সর্বত্রই এই দিনে উৎসবের আমেজ পাওয়া যায়। নতুন প্রজন্মের কাছে ভ্যালেন্টাইনস ডে বছরের ক্যালেন্ডারে এক জরুরি দিনও বটে। ভালোবাসার রঙে রঙে তারা রাঙিয়ে তোলেন ভ্যালেন্টাইনস ডে’কে।
নিউইয়র্কে আনন্দঘন পরিবেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তবে প্রবাসে অনুষ্ঠানের চেয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সরব থাকেন তারা। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী তাদের রঙিন ছবি দিয়ে রাঙিয়ে তোলেন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
ভালোবাসা দিবসকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসবও বলা হয়। একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়। প্রথম দিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন অথবা দুজন খ্রিস্টান শহীদকে সম্মান জানাতে খ্রিস্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকলেও বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।
অনলাইন ডেস্ক :
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক এ আদেশ দেন। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারক জন কফেনর এই আদেশের ফলে ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তবে আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও লড়ার কথা জানিয়েছে।
আদালতে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, যখন নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তখন আইনজীবীরা কোথায় ছিলেন। আইনজীবীদের কেউ একজন এই আদেশকে সাংবিধানিক দাবি করবেন এটা আমাকে বিস্মিত করেছে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেই একরাশ নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন ট্রাম্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল নথিপত্রহীন অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার সংক্রান্ত একটি আইন বাতিল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে দেশটির ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া সবার নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, দুটি শহর এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেশ কয়েকটি সংগঠন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভরতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। আর মেক্সিকোতে জন্ম নেওয়া ১৯ কোটির বেশি মানুষ আজ পর্যন্ত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে চীন। সেই দেশে জন্ম নেওয়া ২ কোটি ২ লাখ মানুষ বিগত দিনে মার্কিন নাগরিত্ব পেয়েছিলেন।
এদিকে, রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য। এদিকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৯০ হাজার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের গ্রিন কার্ড বা লিগ্যাল পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (এলপিআর) ছিল। তারা যোগ্য ছিলেন মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য বাইসাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের ৮ জন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস স্মরণে বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছেন তারা।
চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী প্রদেশের চন্দননগর থেকে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট দর্শনা হয়ে আলমডাঙ্গা দিয়ে কুষ্টিয়া প্রবেশ করেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দর্শন করে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট হয়ে নদীপথে প্রবেশ করেন জেলা শহর পাবনাতে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকে পাবনার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে কাজিরহাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরবেন নিজ দেশে। ইন্দবাংলা বাইসাইকেল র্যালি নামে এই সংগঠন বাংলাদেশে চতুর্থ বারের মতো ভ্রমণ করছে।
১০ দিনের এই বাইসাইকেল ভ্রমণকালে বিভিন্ন জেলা শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনসহ সাধারণ মানুষের সাথে তারা সংযোগ স্থাপন করবেন। ভ্রমণের দল প্রধান হিসাবে রয়েছেন দলের একমাত্র নারী সদস্য মহুয়া ব্যানার্জি। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন তার স্বামী শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি। এছাড়া যারা এসেছেন তাদের মধ্যে দুইজন ব্যবসায়ী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। যে সকল সদস্য এবারের এসছেন তারা হলেন, শিক্ষক শ্রীকান্ত মন্ডল, শিক্ষক প্রণব মাইতি, শিক্ষক প্রসনজিৎ সরকার, শিক্ষক রমজান আলী, ব্যবসায়ি অঞ্জন দাস ও সত্যব্রত ভান্ডারী।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমান। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র গতকাল দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অংশগ্রহণ করছেন না। তবে ওই অনুষ্ঠানে তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান যোগ দেবেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই মুহূর্তে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যের বাসায় অবস্থান করছেন। সেখানে থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় তারেক রহমান মাকে রেখে কোথাও যেতে চাইছেন না।
এ কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানেও যাবেন না তিনি। তবে ওই অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত হতে না পারলেও তার প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ে জায়মা রহমানকে পাঠাচ্ছেন।
জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে জায়মা রহমানের ভিসা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটিই হবে এ ধরনের বৈশ্বিক কোনো আয়োজনে জায়মা রহমানের প্রথম অংশগ্রহণ।
এর আগে, গত ১২ জানুয়ারি বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানটি ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এবং এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সিনেটর, কংগ্রেস সদস্য, ব্যবসায়ী ও ১০০টিরও বেশি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। অনুষ্ঠানটি একটি নির্দলীয় সংস্থা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক অভিজাতদের একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার এবং একত্রে প্রার্থনা করার জন্য একটি বিশেষ ফোরাম।
উক্ত ফাউন্ডেশন মার্কিন নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের জান্তানিয়ন্ত্রিত তেল-গ্যাস কোম্পানি মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (মগে) ওপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থবিষয়ক ট্রেজারি বিভাগ।
এর আগে দেশটির সামরিক শাসক ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ আরোপ করলেও এবারই প্রথম দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থার ওপর সরাসরি আঘাত হানল ওয়াশিংটন।
সেনাশাসিত দেশটির বৈদেশিক রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে জ্বালানিবিষয়ক এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ট্রেজারি বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হবে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস এন্টারপ্রাইজের বেশ কিছু আর্থিক পরিষেবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ট্রেজারি বিভাগ। এসব পরিষেবার মধ্যে আছে— ঋণ, অ্যাকাউন্ট, বিমা, বিনিয়োগ ও অন্যান্য পরিষেবা।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জান্তা সরকারের বৈদেশিক আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হলো তেল ও গ্যাস রপ্তানি।
জান্তা সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধু এই খাত থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ থেকে ছয় মাসে ১৭২ কোটি ডলার আয় করেছে সেনা সরকার। দেশটির তেল ও গ্যাস শিল্পের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মগে।
বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমারের এই এন্টারপ্রাইজকে মনোনীত প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ দেবে ওয়াশিংটন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকেও বের করে দেওয়া হবে মগেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এর বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর মিয়ানমারের মুখপাত্র ইয়াদানার মাউং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মগের বিরুদ্ধে মার্কিন আর্থিক পরিষেবা বন্ধের ঘোষণা তেল ও গ্যাস খাত থেকে জান্তার তহবিলে বিশাল অর্থের প্রবাহকে ব্যাহত করবে।
জান্তা সরকারের বৈদেশিক অর্থ ও অস্ত্রের প্রধান উৎস মগের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা উচিত। এ সময় তিনি মগের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান।