চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ১শ ৩০ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করেছে কসবা থানা পুলিশ। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় এসব গাঁজা।
এ সময় বস্তাভর্তি গাঁজা ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় মাদককারবারিরা। এ ঘটনায় পাচারে জড়িত তিন মাদক কারবারিকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
আজ দুপুরে এক প্রেস বিপ্ততিতে জানায় কসবা থানা পুলিশ। জানা যায়, বুধবার রাতে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় ও খুড়াইসার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আসা গাঁজার বড় চালান পাচার হওয়ার সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাচারের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ দেখতে পায় মাথায় করে তিন মাদককারবারি বস্তাভর্তি গাঁজা নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে গাঁজা ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে ফেলে যাওয়া গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, আজ ভোররাতের দিকে পাচারের সময় এসব গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কসবা উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আজ ৭ মে রবিবার বিকেলে উপজেলার আকছিনা ও শাহপুর রাস্তার জোড়া ব্রীজের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জিন্নাত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক জিয়া বিল আবারো হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। গতকাল মঙ্গলবার সকালেই বিলটির ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনি এলাকার নেতা কবির আহমেদ ভূঁইয়া।
ঐতিহাসিক এই বিলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের কৃষি ও ঐতিহ্যের দীর্ঘ ইতিহাস। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে মান্দারপুরে খাল খনন করেছিলেন। খালের পানি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজে ধান কেটে এই বিলের উদ্বোধন করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ শুধু একটি খাল খননের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি কৃষকদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার স্মরণে স্থানীয় জনগণ খালটির নামকরণ করেন ‘জিয়া খাল’ এবং বিলটির নাম হয় ‘জিয়া বিল’।
তবে কালের বিবর্তনে এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খালটির একটি বড় অংশ ভরাট হয়ে যায়, যা সেচ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই ঐতিহাসিক স্থানের পুনরুজ্জীবন এবং কৃষকদের মধ্যে নতুন উদ্যম জাগানোর জন্য ধান কাটার এই কার্যক্রম শুরু হয়।
আজকের ধান কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব মো. আইয়ুম খান এবং উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন, বাদৈর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের খেউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসরাফিল (১৮) খেউড়া গ্রামে গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে।
আজ ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ঘাতক ফুফাতো ভাই বাবু মিয়া (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি একই গ্রামের মজলু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসরাফিলের অটো গ্যারাজে তার ফুফাতো ভাই বাবু মিয়াকে বিভিন্ন সময় অটোরিক্সা মেরামতের কাজ করাতেন। ইসরাফিল মেরামত কাজের ৫শ টাকা বাবুর কাছে পাওনা ছিল। কিন্তু তা পরিশোধ না করায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার ঘাতক বাবু স্থানীয় গ্রাম্য মেলা উপলক্ষে ইসরাফিলের গ্যারাজের সামনে দোকান বসায়। এ নিয়ে বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে বাবু ইসরাফিলকে মারধর করেন। পরে ইসরাফিল তার বাবাকে নিয়ে মারধরের বিষয়টি জানাতে ফুফুর বাড়িতে গেলে তাকে দেখে ক্ষুব্ধ হন বাবু। একপর্যায়ে বাবু কাঠ দিয়ে ইসরাফিলের বুকে আঘাত এবং বেদম মারধর করেন। এতে ইসরাফিল গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘাতক বাবু মিয়াকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।