চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ডেভিল হান্ট অভিযানে হানিফ মিয়া (৫০) নামে এক যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হয়েছে।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে আখাউড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত হানিফ মিয়া আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি উপজেলার রামধননগর গ্রামে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় উপজেলার রামধননগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হানিফ মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হানিফ আখাউড়া থানার একটি বিস্ফোরক মামলার আসামী।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে টানা ৫ দিন। এরপরেই রয়েছে লক্ষ্মীপুজা। দুর্গাপুজা ও লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন বন্ধ থাকবে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে এসময় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশেন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে দু’টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম ও ফোরকান আহমেদ খলিফা স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি সকল সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানী-রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুজা উপলক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৪ অক্টোবার মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ও ২৮ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত সকল প্রকার আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে ২১-২৪ অক্টোবর এবং লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে বুধবার ও বৃস্পতিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। রবিবার থেকে যথারীতি আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে সরকার। আজ ১৬ মে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহ অফিসার অংগ্যজাই মারমা। প্রথম দিন চার জন কৃষকের কাছ থেকে ১০ মেঃ টন ধান কেনা হয়। প্রতি কেজি ধানের মুল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। প্রতি মন ধান ১ হাজার ২০০ টাকায় ক্রয় করবে সরকার। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ মেঃ টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে।
এবছর ধান সংগহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬৬ মেঃ টন। যে কোন কৃষক ধান সরকারি মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন্নাহার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই গণহত্যাসহ সকল হত্যার বিচারের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় গণসমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। আখাউড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকালে পৌর শহরের সড়ক বাজার মুক্ত মঞ্চের সামনে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মোঃ গোলাম ফারুক।
সমাবেশে কয়েক’শ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ ইকবাল হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মোঃ সানাউল্লাহ, জেলা জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আতিকুল ইসলাম, আখাউড়া পৌর জামায়েতের আমির মোরশিদ আলম, পৌর জামায়েতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহমান কাশগরি, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ আজিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ সিফাত উল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা লগি বৈঠা দিয়ে পৈশাচিক ভাবে পিটিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। লাশের উপর নৃত্য করেছিল। কথিত বিচারের নামে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। ২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে আলেম ওলামাসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হাসিনার নির্দেশে অসংখ্য ছাত্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দিন খান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আজ ২২ মার্চ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপকারভোগী ৭’শ জন কৃষকের হাতে এসব কৃষি উপকরণ হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম সাফিক, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়ায় পৌরসভায় ৫০ জন, উত্তর ইউনিয়নে ১০০ জন, দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৯০ জন, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নে ১৫০ জন এবং ধরখার ইউনিয়নে ৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যের সার ও বীজ দেওয়া হয়। প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি উন্নত জাতের উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।