চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী খাদিজাকে (১৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার আটকের পর তাকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার এক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কিশোরী সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশন দেন। গ্রেফতারকৃত খাদিজা কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ছয়গ্রাম হাজী বাড়ির মনির হোসেনের মেয়ে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। খাদিজা তার পরিবারের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা ওরফে জুঁইয়ের সহযোগী ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে তারুণ্য উৎসব উপলক্ষ্যে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বিকেল তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনের শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী খাদিজাকে আটক করে। পরে তাকে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সদর থানা পুলিশ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার এক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান।
১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মীর মোহাম্মদ এমদাদুল হক তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে পিঠা উৎসব চলছিল। সেখানে খাদিজা আক্তার গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নজরে পড়েন। পরে খাদিজাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা। খাদিজা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়ায় মুক্তির পথ যুব সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল শুক্রবার ইফতারির সময় আতকাপীর মাজার মসজিদে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে মুক্তির পথ যুব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো: ফরহাদ সিদ্দিকী সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন, এড. মফিজুর রহমান বাবুল, সংগঠনের উপদেষ্টা মো: মানিক মিয়া, মোঃ সাদেকুল ইসলাম, মো হানিফ মিয়া,মো জামাল মিয়া(কবিরাজ) মো: এনামুল হক এনাম, মো: নাদিম মিয়া, মো: আজমল সিদ্দিকী, সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. মোঃ মাসুদ পারভেজ, সংগঠনের স্থায়ী সদস্য মো: দিদার মিয়া, মো: আরাফাত খন্দকার মিল্লাত, অ্যাড. শাহ মো: কাউসার, দলিল লেখক মো: রুবেল মিয়া, মো: খোকা মাহমুদ, মো: হানিফসহ কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য বৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মিয়া।
ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন আতকাপীর জামে মসজিদ খতিব হযরত মাওলানা আল আমিন সাদী। এই সময় দেশ ও জাতির কল্যাণে ও কাজীপাড়াসহ সকল কবর বাসীর মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে প্রতিন্দ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতা ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এফসিডিওর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবুল বাশার। বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম সহ-সভাপতি আবু কাউসার খান, মো. মনির হোসেন, শামীমা বাছির স্মৃতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, মহিলা পরিষদ নেত্রী নেলী আক্তার, পৌর কলেজ সহকারি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন ভূঞা, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল। সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মামুন ও সদস্য আফরিন ফাতিহা জুঁই।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের উদ্যোগে গড়ে উঠা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ম্যাপ) সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চাকে ধরে রাখতে ম্যাপ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সুসংহত করেছে। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি দল থেকে আসা ম্যাপ এর সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান, রাজনীতিতে নারী ও যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সম্প্রতিকে উৎসাহিত করতে ম্যাপ-এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব উদ্যোগে তারা সমাজের সদস্যদেরকেও সম্পৃক্ত করছে।
এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সনে ইউএসইআইডি’র সহযোগিতায় পরিচালিত এসপিএল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সম্প্রীতির লক্ষ্যে গঅঋ সমাজ পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষা পরিবারের আয়োজনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি ডা. খালেদা আখতার, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি শুভাশীষ পাল, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য কবি দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ। এ সময় পরিচিত সভায় নবনিযুক্ত সভাপতি মো: রাশেদ কবির আখন্দ, প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ আবু জামাল, অভিভাবক প্রতিনিধি মমিনুল হক সরকার, শিক্ষক প্রতিনিধি মনিরুল আলম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নবনিযুক্ত সভাপতি রাশেদ কবির আখন্দকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবো কিভাবে আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও পড়াশোনার গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে পারবো। পড়াশুনার মাধ্যমে একটি জাতিকে এগিয়ে যেতে হয়। পড়াশোনা ছাড়া একটি জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। এডহক কমিটি তার কার্যক্রম পরিচালিত করবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ও মানোন্নয়নে।
নবনিযুক্ত সভাপতি রাশেদ কবির আখন্দ বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বজায় রাখার জন্য এবং শিক্ষার পরিবেশ সুন্দরভাবে পরিচালিত করার জন্য আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর এবং কমিটির সকলকে নিয়ে সুন্দরভাবে আমার কাজ পরিচালিত করবো ইনশাআল্লাহ। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন তোমাদের কাজ পড়াশুনা করা। তোমরা পড়াশুনায় মনোযোগী হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডিষ্ট্রিক পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহরের কাউতলী এলাকার স্বপ্নতরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিপিএফ সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু মিয়া।
আলোচনায় অংশ নেন ডিপিএফ সেক্রেটারি মোঃ শরীফ উদ্দিন, স্বর্নিভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীন, মিতালী সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব খান, স্বপ্নতরীর নির্বাহী পরিচালক মোঃ তাহের উদ্দিন ভূইয়া, ডিপিএফএর সদস্য সাবেক পৌর কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন, ডিপিএফ সদস্য মেহেদী হাসান রজত প্রমুখ।
সভায় বক্তারা সাধারণ মানুষের সহজে তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ১৩ নভেম্বর বুধবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- ঘাটুরা এলাকার আশরাফ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৪) এবং তর দুই কন্যা রওজা (৫) ও নওরিন (৩)।
নিহতদের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন মিতুল জানান, বিষপান করা এক নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করতে বলার কিছুক্ষণ পর দুই শিশুকে আনা হয়। তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর মাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, স্ত্রী ও দুই শিশুকে নিয়ে স্বামী আশরাফ হাসপাতালে আসেন। তার সাথে থাকা স্বজনরা জানিয়েছেন স্ত্রী তার দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজে বিষপান করেন। তিনজনের মৃত্যু হওয়ার পর আশরাফসহ অন্য স্বজনরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বলে জানান তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটননাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে দুই সন্তানসহ মা বিষপান করেছেন। এ ঘটনায় পলাতক স্বামী ও স্বজনদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।