চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নাসিমা আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক ছেলে সিয়ামকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে সে হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নাসিমা তার ছেলে সিয়াম ও নাতি ওমর ফারুককে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়। শুক্রবার সকাল নাসিমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পায় ঘরের লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের এক পর্যায়ে নাতি ওমর ফারুকের কাছ থেকে জানতে পারে তার মামা সিয়াম মাকে ধারালো অস্ত্র চেহাইট দিয়ে আঘাত করে খুন করে। পরে পুলিশ সিয়ামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মাকে খুন করেছে বলে জানায়। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে মাকে সে হত্যা করেছে বলে সে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত বটিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, নিহত নাসিমার সাথে তার ভাইয়ের একটি মামলা চলমান রয়েছে যার রায় হবে আগামী রবিবার। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যাকাণ্ড কি না অথবা এর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তার তদন্ত চলছে। মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা মিয়া আবদুল মতিনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী ও কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্মৃতি বিজরিত স্থান আখাউড়া উপজেলার ঘাগুটিয়া এলাকায় একটি পর্যটন ছাউনী নির্মাণ করা হবে। সেই ছাউনীর নাম করন ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিনের নামে করা হবে। এছাড়াও জেলার আরো চারজন ভাষা সৈনিকের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করবে জেলা পরিষদ।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৯১ বয়স বয়সী ভাষা সৈনিক মিয়া আবদুল মতিন বলেন, তখন আমি আখাউড়ার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। মায়ের ভাষা তারা কেড়ে নিতে চায় বিষয়টি শোনার পর আর স্থির থাকতে পারিনি। পরে আখাউড়ায় আন্দোলন শুরু করি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমার বাড়ি থেকে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসি। এই আন্দোলনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট ও প্যান্ট উপহার দেন।
এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অতিথিরা তাকে বিদায় জানানোর সময় অনেকের চোখেই পানি চলে আসে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মিয়া মতিনের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়া আবদুল মতিনের বাড়ি আখাউড়া ফেব্রুয়ারি টনকী গ্রামে। তিনি ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য আটজনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি উপজেলার মোগড়া বাজার ও গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা প্রদিক্ষণ করে। পরে তাদের এই আন্দোলনটি গণবিক্ষোভে রূপ নেয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস কারাবরণ শেষে জেলখানা থেকে তিনি ছাড়া পান। ১৯৫৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মতিনসহ আরো কয়েকজনকে ঢাকায় ডেকে পাঠান ও সাহসিকতার জন্য তাদের উপহার দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রাস্তায় মোটর সাইকেল পার্কিং করে সাধারণ জনগণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার দায়ে ১৫টি মোটর সাইকেলের মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে পৃথক দুটি আদালত প্রত্যেক মোটর সাইকেল মালিককে ৫০০ টাকা করে ৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী। আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরে আলম। আদালত সূত্রে জানা যায়, শহরে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় নির্ধারিত স্থানে গাড়ি না রেখে রাস্তায় অবৈধ পার্কিং করার দায়ে ১৫ মোটর সাইকেল মালিককে জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন, রাস্তা পরিস্কার জন্য সড়ক পরিবহন আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে রাস্তায় গাড়ি রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ১৫টি মোটর সাইকেল মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
৩ টা কেমু দিয়েছি। টাকার জন্য আর দিতে পারছি না। ডাক্তার আরও কিছু পরীক্ষা দিয়েছে। তাও করাতে পারছি না। সারা শরীর ব্যাথায় অস্থির হয়ে যায়। বালিশ চাপা দিয়ে শুয়ে থাকি। টাকার অভাবে ওষুধ খেতে পারছি না। স্বামী নাই। ছেলেও নাই। আয় রোজগার করার মত কেউ নাই।
এভাবে নিজের অসহায়ত্বের কথাগুলো বলছিলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত পঞ্চাশোর্ধ জোসনা বেগম। তিনি আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের দরুইন পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আরু মিয়ার মেয়ে। বিগত ২ বছর ধরে জটিল ক্যান্সার রোগে ভুগছেন। প্রতিবেশি ও দুই ভাইয়ের সহযোগিতায় কোন রকমে দিনাতিপাত করছেন।
বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। সমাজের হৃদয়বান মানুষের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে আছেন এই অসহায় নারী।
সরজমিনে সোমবার সকালে দরুইন গ্রামে গিয়ে দেখা যায় দু’চালা ছোট্ট একটি টিনের ঘরে শুয়ে আছেন জোসনা বেগম। শরীর অনেকটা শুকিয়ে গেছে। মাথার চুল কমে গেছে। চুলের রং লালচে হয়ে গেছে। বুকের হাড় গুলো যেন শরীর ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
জোসনা বেগম বলেন, নোয়াখালির দুলাল মিয়ার সাথে বিবাহ হয়। স্বামী সাগরে মাছ ধরার কাজ করতো। স্বামীর সাথে চট্টগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ছোট্ট দুটি মেয়ে নিয়ে সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। ৩০ বছর আগের কথা। হঠাৎ একদিন জাহাজ ডুবে স্বামী মারা যায়। স্বামীর লাশটি খোঁেজ পাইনি। স্বামী মারা যাওয়ার পর শশুর-শাশুড়ী ঘর থেকে বের করে দেয়। ছোট দুটি মেয়ে ও গর্ভের একটি সন্তান নিয়ে অথৈ সাগরে পরে যাই। বাসা বাড়িতে কাজ করেছি। গার্মেন্টস্-এ চাকরি করে ৩টা মেয়েকে লালন পালন করেছি। গত ৩ বছর আগে করোনার সময় কাজ কাম চলে যাওয়ায় বাড়িতে চলে আসি। এর কিছু দিন পর আমার ক্যান্সার ধরা পরে। এরপর থেকে অসুস্থতায় ভুগছি।
কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, বহু কষ্ট করে বাবা হারা মেয়েগুলোকে বড় করে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমার কপালে সুখ সয় না। ছোট মেয়ের জামাই একটি সন্তানসহ তাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করেছে। এখন মেয়ে ও নাতি আমার সাথেই থাকে। নিজেই খেতে পারি না। তারমধ্যে দুটি মানুষ আমার উপর। আমি অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না।
তিনি বলেন, আল্লাহ ছাড়া দুনিয়ায় আমার আর কেউ নাই।দরুইন গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ অহিদ মিয়া বলেন, জোসনা বেগম ক্যান্সার আক্রান্ত। তার চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নাই। সে খুব অসহায় অবস্থায় আছে। হৃদয়বান মানুষ যদি তাকে আর্থিক সহযোগিতা করে পাশে দাঁড়ান। তাহলে হয়তো তিনি চিকিৎসাটুকু করতে পারবে।
জোসনা বেগমের মেয়ে ঝর্ণা বেগম বলেন, বাবা নাই। নানা-নানিও নাই। একটি শিশু সন্তান নিয়ে মায়ের কাছে আশ্রয় নিয়েছি। মায়ের কিছু হয়ে গেলে কোথায় যাবো। তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেন। তার বিকাশ নম্বর ০১৮৭৮৮৬২৭১১
আখাউড়া প্রতিনিধি :
১০ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় আখাউড়ায় বিএনপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, লবন, আটাসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্বি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি। এসব দাবির প্রতিবাদে আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে পৃথক স্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। এদিকে একই সময়ে প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে গাজীর বাজার-হীরাপুর সড়কে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পদযাত্রা কর্মসূচিতে দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জহিরুল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ খান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মহসিন ভূঁইয়া, জাহের ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, মনির মুন্না প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আল আমিন ভূঁইয়া।
এদিকে দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাজীর বাজারে উপস্থিত হয়ে শান্তি সমাবেশ করে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অহিদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ছাদেকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক লুৎফুর রহমান সজিব প্রমুখ।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আজ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজা ও শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দুই দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ওই দুই দিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।