চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ৯’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাছির উল্লাহ ভূইয়া (৫৬) নামের এক আওয়ালীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-কসবা সড়কের মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত নাছির উল্লাহ ভূইয়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের মৃত হাসমত আলী ভূইয়ার ছেলে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের পাকা সড়ক থেকে নাছির উল্লাহ ভূইয়া আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে মাদকব্রব্য ৯০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্ধ করা হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত নাছির উল্লাহ ভূইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আজ শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথে প্রথমবারের মত পরীক্ষা মূলক ট্রেন গেল ভারতের আগরতলায়। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাংলাদেশের রেলের ৬ জন স্টাফ নিয়ে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর নব নির্মিত রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৫টি মালবাহী বগি নিয়ে একটি ট্রায়াল ট্রেন আগরতলা নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হওয়ায় আগামী ১ নভেম্বর বুধবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া। উদ্বোধনের পর প্রথম দিকে পণ্যবাহী ট্রেন এবং পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চালানো হবে এই রুটে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশর ট্রেন নিয়ে ভারতের আগরতলায় যাওয়ায় ট্রেন চালক মো. মাফুজুর রহমান বলেন, একজন চালক হিসেবে প্রথম বারের মতো আমাদের ৬ জন স্টাফ নিয়ে আগরতলায় যাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া জানান, এখন উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত আছে রেলপথটি। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এই মেঘা প্রকল্পটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু করে। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলপথের বাংলাদেশ অংশ ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। করোনা মহামারিসহ নানা সংকটে বিলম্ব হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো কসবা উপজেলার হারিয়াবহ গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (৪০), বড়টুবার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আবু কালাম (৪২), ধজনগর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৫৫)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল হাসিমের নেতৃত্বে এস. আই মোবারক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম শুক্রবার দুপুরে জানান, অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিন ব্যাপী সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা আগামী ২০ অক্টোবর শুরু হবে। পুজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন উপলক্ষে আজ ২ অক্টোবর সোমবার দুপুরে আখাউড়া থানা পুলিশের আয়োজনে মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন। থানার হল রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ২৩টি পুজা মন্দিরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর আখাউড়ায় ২৩টি মন্ডপে দূর্গাপুজা উদযাপিত হবে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক, রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের নির্বাহী সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিদু ভুষন বর্মন, সুভাষ দাস, ভজন দেব।
হিন্দু নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে পুজা মন্দিরে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গাপুজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। নির্বিঘ্নে সুন্দর ভাবে পুজা উদযাপন করার আহবান জানানো হয়। প্রতিটি পুজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুবাই থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় হত্যা মামলার এক আসামীকে আটক করেছে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটক ব্যক্তি হলো মোহাম্মদ বাদল রিয়াজ (৪৮)।
তিনি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার আলোচিত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার মামলার ৫নং আসামী। বাদল রিয়াজ তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ত্রিপুরার আগরতলা ইমিগ্রেশন হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। এসময় তার পাসপোর্ট নম্বরটি কালো তালিকাভূক্ত থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তাকে আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মোঃ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আটক ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামী মর্মে ইমিগ্রেশন পুলিশকে অবহিত করেছিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার পাসপোর্টটি কালো তালিকাভূক্ত করা হয়। বিকালে আগরতলা হয়ে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে এলে তাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জেরে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে য্বুলীগ নেতা জামাল হোসেন (৪০) কে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বোরকা পরে একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে।
জামাল হোসেন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। তিনি তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের জিয়ারকান্দি নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তবে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পাহারায় আখাউড়াতে আলাদা কমিটি করবে বিএনপি ও জামায়াত। দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় ওই দুই দলের নেতারা এ কথা জানান। এ বছর উপজেলায় মোট ২৪টি মন্দিরে পূজা উদযাপিত হবে।
সভায় জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত থেকে শুরু করে ছাত্ররা হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘর রক্ষায় কাজ করে গেছে।
পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলে মিলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করবে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের নির্বিঘ্নে পূজা করার আহ্বান জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহির সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার ল্যা. ইফতেখার মাহমুদ, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাসিম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মো. খাইরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন আব্দু, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতের আমির মো. ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারি বোরহান উদ্দিন খান, জাসদ সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালু।
এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাফি উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন ঘোষ, শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তী প্রমুখ।