চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দেশের মৎস সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল জব্দের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চরশিবপুর-শান্তিপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন বাঞ্ছারামপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় পৌনে ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ৩৫টি চায়না দুয়ারী ম্যাজিক জাল জব্দ করা হয়। পরে জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ সময় উপজেলা মৎস কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো ভয় নেই, ভয় আছে বিএনপি-জামায়াতের, যারা সন্ত্রাস করবে তাদের। তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি পালন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য ও এক সুতোয় গাঁথা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকেই বোঝা গেছে তিনি মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। তিনি পাকিস্তানের অন্যায়, অবিচার, জুলুমসহ ধ্বংসাত্মক সকল কার্যক্রম বাঙালি জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জীবনভর আন্দোলন করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সকল অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনভর সংগ্রাম করে গেছেন। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থান বঙ্গন্ধুরই স্বপ্ন ছিল।
এই সোনার বাংলা বিনির্মাণে তারই সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
বিশ্বশান্তি কামনায় ১৯৭৩ সালে ২৩ মে বিশ্বনেতারা জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি কাজী আতিকুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল আজিজ, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন সায়েদুল ইসলাম ভূইয়া বকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন জলি আক্তার, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র মো. তফাজ্জল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উজানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক স্যামুয়েল আহম্মেদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম এমপি অন্য একটি অনুষ্ঠানে ৬১টি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে একটি করে ল্যাপটপ তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, এদেশের মাটির মালিক দেশের জনগণ, ক্ষমতায় আসতে হলে জনতার কাছে যেতে হবে। প্রবাসে বসে আর টকশোতে কথা বলে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। জাতির জনকের কথায় রক্ত দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। আর তারই সুযোগ্য কন্যা মামনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে দেশ।
তিনি আরো বলেন, ১৫, ২১ আগষ্ট যারা ঘটিয়েছে তারা নির্বাচনে আসতে ভয় পায়, কিন্তু ষড়যন্ত্রে তারা নাম্বারে এক। আগামী নির্বাচনে ষড়যন্ত্রকারীদেরকে জনগণ ভোট দিবে না, জনগণ শেখ হাসিনাকেই আবার নির্বাচিত করে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসিন করবে।
আজ ২১ আগস্ট সোমবার বাঞ্ছারামপুর ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ২১আগষ্ট গ্রেনেড হামলার আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মহি উদ্দিন আহমেদ মহি, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুুুবুর রহমান উজ্জল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমূদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা শ্রমিকলীগ আহ্বায়ক সৈয়দ আ. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমএস রানা, সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে বাচ্চু মিয়া হত্যা মামলায় ভায়রা ভাইকে মৃত্যুদণ্ড ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাড়াইলচর গ্রামের তুজু মিয়া মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমকে। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়। রিনা বেগমকে ফের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বড়াইলচর গ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে পেঁয়াজ, রসুন ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়ার লাশ খল্লা গ্রামের কলাবাগানে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বাচ্চু মিয়ার ভাই আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার তদন্ত করে।
তদন্ত শেষে আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) উল্লেখ করা হয়, রফিকুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বাচ্চু মিয়াকে একটি মোটরসাইকেলে করে নির্জনস্থানে নিয়ে প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাচ্চু মিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। মূলত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগমের সঙ্গে রফিকুল ইসলামের পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। রফিকুল ইসলাম রীনা বেগমের খালাতো বোনের জামাই।
পরকীয়া চলা অবস্থায় রিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রফিকুল। তখন রিনা জানান বাচ্চুকে খুন করতে পারলে তাকে বিয়ে করবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রফিকুল এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং ঘটনার পর অন্যদের মতো বাচ্চু মিয়াকে খুঁজতে থাকে। এলাকার লোকজন সন্দেহবশত ওই দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামীসহ একাধিক মামলার ২জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। ১৬ অক্টোবর বুধবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভাদুঘর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ অলিউল্লাহ (৬৬) এবং রূপসদী গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ কামাল মিয়া- (৫৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। যৌথ বাহিনীর দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বুধবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের জমি সংক্রান্ত মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ অলিউল্লাহকে গ্রেফতার করে।
একই সময়ে যৌথ বাহিনীর অপর একটি টিম বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামী ও সন্ত্রাসী মোঃ কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৫টি রাম দা, ৩টি টেটা, ২টি ছুরি, ৩ টি বল্লম, ৪৫০ ইউরো, ১২২ ইউএস ডলার ও নগদ ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮শত টাকা উদ্ধার করা হয়।