চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় এ আওয়ামী লীগ নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আশুগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন। আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোসনা চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ তারুয়ার নিজ বাড়ি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আশুগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মহিউদ্দিন তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। আটক আওয়ামী লীগ নেত্রী জোসনা চৌধুরীকে আশুগঞ্জ থানার একটি বিষ্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী জোসনা চৌধুরী আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর তিনি এ পদ থেকে অপসারিত হন। এরপর থেকে জোসনা চৌধুরী নিজ বাড়িতে অবস্থান করে একটি বিউটি পার্লার পরিচালনা করে আসছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনকে ‘বি’ গ্রেডে পুনঃবহালসহ ১১ দফা দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে আশুগঞ্জের সর্বস্তরের লোকজন।
২৬ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ রেল স্টেশন চত্বরে “ঐক্যবদ্ধ আশুগঞ্জ”-এর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ গোলাম হোসেন ইপ্টির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা জামায়াত ইসলামির আমির শাহজাহান ভূইয়া, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল খান, চর চারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর খন্দকার, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির সিবিএ সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক সহ আশুগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, আশুগঞ্জ রেলওয়েস্টেশনটি বি-গ্রেড থেকে ডি গ্রেটে নামিয়ে নিয়ে আসায়, সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। পাশাপাশি স্টেশনে যাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা না থাকাই যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। তাই ১১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে স্টেশনটিতে বি-গ্রেডের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। যদি অচিরেই দাবি না মানা হয় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি মানাতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন দপ্তরে এক লাখ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি থেকে এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ২৫ দফা দিক-নির্দেশনা সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রূপকল্প ৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের লক্ষ্যে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে আশুগঞ্জ উপজেলার কলেজ, মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয়সহ ২৮টি প্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার এবং ৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার বিভিন্ন জাতের ওষুধি, ফলজ, বনজ ও ফুল গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়া সব ইউনিয়ন পরিষদ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী ও সব পর্যায়ের সরকারি দপ্তরগুলোতে বাকি ৪৫ হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুর বাড়িতে কুলসুম বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুলসুম বেগম নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের হাজির হাটির গোলাম হোসেনের মেয়ে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫ বছর আগে কুলসুমকে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের লেবানন প্রবাসী কাজল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কুলসুমের স্বামী-শাশুড়ির সাথে মনোমানিল্য চলে আসছিল। একজন অন্যজনকে সন্দেহ করতো। কাজল প্রবাসে থেকেও অন্য নারীকে বিয়ে করতে চাইছিল। পরে এসব বিষয় নিয়ে কাজল ও শাশুড়ির সাথে অভিমান করে কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলসুম মারা যায়। কুলসুমের বাবা গোলাম হোসেনের অভিযোগ করেন, কুলসুমের মৃত্যুর কথা শুনে শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে কুলসুমের লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশার গ্রাম থেকে আশুগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আক্তার হোসেন ওই গ্রামের মৃত সৈয়দ হোসেনের ছেলে। তিনি তালশহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, আটক আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আশুগঞ্জ গোল চত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওইদিন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হন। পরে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর আহতরা বাদী হয়ে বিষ্ফোরক আইনে ৫টি পৃথক মামলা দায়ের করে। আক্তার হোসেন এসব মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছিল।