চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার পীর সৈয়দ বাহাউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উঠান বৈঠক আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভিডিও কলে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে, ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে পীর সৈয়দ বাহাউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, শাহপীর কল্ল্যা শহীদ (র.) উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ গিয়াস উদ্দিন, পীর সৈয়দ বাহাউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হাসিনা আক্তার, পীর সৈয়দ বাহাউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শামসুউদ্দিন, পীর সৈয়দ বাহাউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফায়জুন্নেসা, পীর সৈয়দ বাহাউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরজু বেগম, সমাজ সেবক ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ আমিরুল ইসলাম, ছাত্র প্রতিনিধি মোনালিসা আক্তার, সাফিয়া আক্তার সহ প্রায় তিন শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করে অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা খুশি। উপজেলা প্রশাসন, খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজীব কাউসারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুন নাহার, উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মশিউর রহমান প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলায় মোট ৫৪৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য ধরা হয়েছে ৩২ টাকা।
৭৬৬ জন কৃষক থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ চলবে। প্রত্যেক কৃষক তিন টন করে ধান দিতে পারবেন।
ধান দিতে আসা কৃষক তোতা মিয়া জানান, তিনি বেশ খুশি। খুব সহজেই সরকারের কাছে তিনি ধান বিক্রি করতে পেরেছেন। দামও ভালো পেয়েছেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়ায় প্রকৃত কৃষক থেকে সরকারি মূল্যে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম রাশেদুল ইসলাম।
এ বছর আখাউড়া উপজেলায় ৩৮৮ মেঃ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রতি কেজি ৩৬ টাকা দর। ধান সংগ্রহের মেয়াদ ২৪ এপ্রিল থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা (এলএসডি) মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাছলিমা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, জনতা ব্যাংক ম্যানেজার বশিরুল আলম সিদ্দিকী।
চলারপথে রিপোর্ট :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার আশপাশের সীমান্তবর্তী কয়েক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ ১ জুন রবিবার সকালে দেখা যায়, স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া হাওড়া নদী দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে পানি ঢোকার কারণে তলিয়ে যাচ্ছে ওইসব গ্রামের রাস্তা-ঘাট। এতে করে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগতরাত থেকে এসব নদী, খাল দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে করে এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, গতরাত থেকে পানি ঢুকছে। বন্দরের আশপাশে পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত রফতানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে পানি যেভাবে বাড়ছে এতে করে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে দুইদেশের বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, হাওড়া নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০/৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বিপদসীমা পার করেনি। বিপদসীমা থেকে ২ মিটার নিচে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই বছরের হাবিবকে বিছানায় রেখে মা ঘরের বাইরে যান। এ সময় জানালা ধরে খেলা করছিল সে। এরই মাঝে জানালার ছিটকিনি খুলে আসে তার হাতে। অবুঝ শিশু হাবিব সেই ছিটকিনি মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে। এরপরই শুরু হয় পেটব্যথা ও যন্ত্রণা। পরিবারও কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশেষে দুইদিন অবজারভেশনে রেখে শিশু হাবিবের খাদ্যনালী থেকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করা হলো জানালার সেই ছিটকিনি। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত হাবিব।
হাবিব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে। জুয়েল মিয়ার ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে হাবিব কনিষ্ঠ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে হাবিব সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাবিবের মা পাখি বেগম বলেন, আমার ছেলেটি অনেক চঞ্চল। ২ আগস্ট বুধবার সকালে তাকে আমি নাস্তা করিয়ে বসিয়ে রেখে একটু ঘরের বাইরে যাই। এসে দেখি তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তার মুখ খুলে প্রথমে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পরে গলায় সাদা ধরনের কিছু একটা দেখা যায় এবং মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এই অবস্থায় তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে হাবিবের এক্স-রে করে দেখে গলায় কিছু একটা আছে। সেখান থেকে দ্রুত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি। আসার পর এক্স-রে করে চিকিৎসকরা দেখেন পেটের ভেতর একটা ছিটকিনি। চিকিৎসকরা তাকে দুইদিন অবজারভেশনে রাখেন। এর দুইদিন পর শুক্রবার রাতে আমার ছেলেকে অপারেশন করে খাদ্যনালী থেকে একটি ছিটকিনি বের করেন ডা. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও হাবিবের অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. আবু সাঈদ জানান, এক্স-রে রিপোর্টে শিশুটির পেটের খাদ্যনালীতে ছিটকিনি দেখা যায়। পেটের ভেতরে খাদ্যনালী প্রায় ২০ ফুট লম্বা থাকে। অস্ত্রোপচারের সময় খাদ্যনালীর ভেতর থেকে খুঁজে বের করা হয়েছে ছিটকিনিটি।
তিনি জানান, শিশুটির খাদ্যনালী কেটে ছিটকিনিটি বের করা হয়েছে। তা কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তাকে আরও দুইদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তবে সে এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা পুলিশের পৃথক দু’টি মাদক বিরোধী অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার আখাউড়া থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ৩৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দু’জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশে পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশের অভিযানে ১৮০০ ইয়াবাসহ আবু সালাম (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সালাম উপজেলার শিবনগর গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র। পুলিশের অভিযানে ২০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মো: ইয়াছিন মিয়া (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মাদক মামলা হয়েছে। আজ গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন জানান, মাদকের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা অনুযায়ী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।