চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যখন যানজটে অনেকটাই নাকাল অবস্থা শহরবাসী। তখন তারা এই অবর্নীয় দুর্ভোগ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চান এবং তার জন্য প্রশাসনের কার্যকর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে “যানজট নিরসনে নাগরিক প্রস্তাবনা শীর্ষক” গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে এই আহবান জানানো হয়। মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এই গোল টেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেতা আবু কাউছার, তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নেত্রী শামীমা বাছির স্মৃতি ও মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম, কুমিল্লার বিভাগীয় রেজুওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার। সাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌসি, অ্যাডভোকেট খালেদা আক্তার মুন্নী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক, ইয়াং ফেলো সাঈদ হাসান সানি প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমির চক্রবর্তী।
সভায় বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি সমৃদ্ধ জেলা। প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রচুর মানুষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আসেন। বর্তমানে শহরের একটি প্রধান সমস্যা যানজট। শহরের অবৈধভাবে রিকসা ও অটোরিকসা চলাচলের কারণে শহরে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এই যানজটকে আরো দুর্বিসহ করে দেয় দিনের বেলা শহরে পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকে।
বক্তারা শহরের যানজট নিরসনে অবিলম্বে অবৈধ রিকসা ও অটোরিকসার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়ানো, ফুটফাত গুলো হকার মুক্ত এবং শহরের বিভিন্ন মার্কেটের দোকানের ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের দোকানের মালামাল রাস্তায় না রাখেন, দিনের বেলায় যাতে শহরের ট্রাক বা ভারী কোন যানবাহন প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়।
হাসপাতালের শহীদ ডাঃ মিলন হলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা বিএম’র সভাপতি ডাঃ এফ. জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ,উপ-পরিচালক, পরিবার পরিবল্পনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, উপ-পরিচালক, সমাজসেবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বিশিষ্ট নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, পৌর কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াছমিন, বিশিষ্ট নারী নেত্রী নন্দিতা গুহ প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান।
সভায় হাসপাতালের আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ১০ শয্যার কিডনী ডায়ালাইসিস ইউনিট চালু, হাসপাতাল ভবন থেকে টিকেট কাউন্টার ভবনের বাইরে নেয়া, রোগীদেরকে অনলাইনে টিকেট দেয়ার বিষয়ে, হাসপাতালের নিজস্ব ওয়েব পোর্টালটি নিয়মিত আপগ্রেড করা (চিকিৎসকদের নাম ও প্রতিদিন হাসপাতালে থাকা রোগীদের সংখ্যাসহ), হাসপাতালের সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য বাগান করা, হাসপাতাল চত্বরে সোনালী ব্যাংকের বুথ স্থাপন, একটি মেডিকেল বর্জ্য শোধানাগার স্থাপন, হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ক্যামিকেল রি-এজেন্ট, এক্সরে ফিল্ম, হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যা উন্নীত করন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন, হাসপাতালের কোয়ার্টারে বসবাসরত মোঃ আমিনুল ইসলামের বাসা বরাদ্ধ বাতিলের আদেশ বাস্তবায়ন ও হাসপাতালের মর্গের (ডোম) অনিয়ম বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে র. আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, হাসপাতালে সেবা নিতে এসে কোন রোগী যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য ও মেডিকেল সার্টিফিকেট দেয়ার বিষয়ে চিকিৎসকদের আরো সর্তক হওয়ার আহবান জানান। সভায় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসকগনসহ কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা আজ ২৯ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ শামিমা সুলতানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ মোঃ ইমরান ভূইয়া ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূইয়া।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের কোন নাগরিক পিছিয়ে থাকবে না। যে চাকরিতে পেনশনের সুযোগ নেই, সে চাকরির প্রত্যেককে পেনশনের আওতায় আনা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম।
তিনি আরো বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানের শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদা দাতা স্কিমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতেপ্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন।
তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে।
প্রবাসী স্কিমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন। তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুফল সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহবান জানান।
কর্মশালায় সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারগণ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আবাসন মানুষের কাঙ্খিত বিষয়। দেশের সকল জনগণকে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাউজিং প্রকল্প প্রাঙ্গণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে তাকে দেয়া সংবর্ধনা ও সমিতির বার্ষক সাধারণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত-(গ্রেড-১) কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সভাপতি ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করার সময় এসটিপি (সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) যারা করবে তারাই শুধু ভবন নির্মাণের অনুমোদন পাবেন। এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেয়া হবেনা।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বের এক থেকে তিন নম্বরের ভেতরে থাকে। এই অবস্থায় মানুষ জন আমরা কেউই শান্তিতে থাকতে পারবোনা। তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও একটি বড় অংশ মধ্যবিত্ত। এই মধ্যবিত্তের সুবিধাও চিন্তা করতে হবে। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করছেন। যার কারণে তিনি আশ্রায়ণ প্রকল্প গড়ে তুলেছেন।
তিনি বলেন, তিতাসের পূর্বপাড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে সম্প্রসারিত করা হবে। করুলিয়া খালের দক্ষিণপাড়ে এপার্টম্যান্ট করা হবে। পৌর এলাকাকে বর্ধিত করা হবে। পরিকল্পিত নগরায়ণ করা হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ও পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এর আগে সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।