আবুল কাসেম ফজলুল হককে “সোনালী কাবিন” পদক প্রদান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 February 2025, 338 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান পথিকৃৎ মহাকালের কবি আল মাহমুদ স্মরণোৎসব ২০২৫ এর আজ ছিলো সমাপনী দিন। তিন দিনব্যাপী নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথমবারের মতো এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হককে সোনালী কাবিন পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। যার মধ্যে ছিলো একটি পদক ও আর্থিক চেক।

banner

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সমাপনী দিনে, সকাল ১০টায় স্বরচিত কবিতা পাঠ, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটায় শুরু হয় আলোচনা সভা। সন্ধ্যা ৬টায় সোনালি কাবিন পদক প্রদান করা হয়। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছর সোনালি কাবিন পদক গ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি মহিবুর রহিম। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, কবি মোবারক হোসেন আকন্দ, কবি জয়দুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, নবীনগরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক সরকার। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।

বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক সোনালী কাবিন পদক গ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, আল মাহমুদের কবিতার ভাষা বেশ বিশ্বস্ত। তাঁর কবিতায় জীবন শুধু দুঃখময়ই নয়, জীবন যাপনযোগ্য এবং সৌন্দর্যমন্ডিত। তিনি হতাশাবাদীদের মতাদর্শ গ্রহণ করেননি। এখানেই তিনি স্বাতন্ত্র্য একটি সাহিত্য জগত তৈরী করেছেন। বাংলা সাহিত্য আজ আল মাহমুদকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অবশ্যই দিতে হবে। কারণ তাঁর লেখা ব্যতিক্রম।

তিনি বলেন, নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে একটা সময় আল মাহমুদ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, অথবা তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আমি বলবো আল মাহমুদকে দূরে রাখার প্রবণতাই এজন্য দায়ী। তিনি বলেন, আমাদের উচিৎ তাকে কবি হিসেবে দেখা। আল মাহমুদ অনেক বড় মাপের একজন মানুষ ও কবি। এসময় তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আল মাহমুদের একটা জীবনী রচনা করার দায়িত্ব আজকের তরুণদের নিতে হবে। তাঁর কবিতা ও কবি জীবন নিয়ে লেখা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। আমরা যদি তাঁর একটা রচনাবলী প্রকাশ করি, তবেই আমরা বুঝতে পারবো তিনি কত বড় মাপের কবি ও মানুষ ছিলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের জাতি, রাষ্ট্র ও জনজীবনকে উন্নত করতে হবে। সন্ধ্যায় আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় অংশ নেন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ, সাহিত্য একাডেমি, আবরণী, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সাগর মিউজিক প্লাস এবং নৃত্য পরিবেশন করবেন জিয়া আমিন।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত-৩৫, বিদেশী পিস্তলসহ গ্রেফতার ৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 5 March 2024, 853 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর (বড়গোষ্ঠী ও মহাজোট) লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়েছে।

banner

এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করা হয়।

আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে ৫জন পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫জন আহত হন।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি ককটেল, ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫) সহ ৮ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করে। অস্ত্রধারী মোঃ জসিম উদ্দিন বিরাসার বড় গোষ্ঠীর মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরাসার গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বড়গোষ্ঠীর কাসেম মাস্টার ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর আল-আমিনের সাথে একই এলাকার মহাজোট হিসেবে পরিচিত পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারীর গোষ্ঠী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও সৈয়দ আলী মিয়ার গোষ্ঠীর নূরুল্লাহ ও সুজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়।

এ ঘটনার জেরে সোমবার বিকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র রিভলবার এবং ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ককটেলের বিষ্ফোরনে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। নারী ও শিশুরা ভয়ে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ সময় পুলিশ গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ বড়গোষ্ঠীর মোঃ জসিম উদ্দিন-(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরো ৭ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেলের আঘাতে সময় টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের ব্যুরোচীফ উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোঃ সোহেল সহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়।

আহতরা পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সোমবার সংঘর্ষের বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, বিরাসার গ্রামের কয়েকটি গোষ্ঠী এই সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বড়গোষ্ঠীর নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোঃ বাবুল মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল নাম্বারে-০১৭১১-৪৬৪৪৮৫ চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আনসারী গোষ্ঠীর নেতা মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, মঙ্গলবার সকালে বড়গোষ্ঠীর আহত একজন মারা গেছেন এমন গুজব তুলে বড়গোষ্ঠীর দাঙ্গাবাজরা মহাজোটের লোকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করলে সারা গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষ এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয় এবং ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তলসহ ৫ রাউন্ডগুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন নামে এক অস্ত্রবাজকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটি সভা ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 19 February 2025, 310 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক আয়োজিত জিওবি খাতের আওতায় “শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামুলক প্রচার কার্যক্রম” (জানুয়ারি – মার্চ ২০২৫) প্রান্তিকে আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউপি হিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে কমিউনিটি সভা এবং কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

banner

কমিউনিটি সভায় সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোঃ নোমান মিয়া।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া ঊপজেলার ইউএইচএফপিও ডা. হিমেল খান, বিশিষ্ট ব্যবসাহী সালাউদ্দীন ভুইয়া, বিশিষ্ট ব্যবসাহী ইয়াসিন আলম সিদ্দিকী, সমাজ সেবক নজরুল ইসলাম ভুইয়া, সমাজ সেবক জহিরুল ইসলাম, সমাজ সেবক মোঃ আজাদ হোসেন ভুইয়া, হিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌসী, হিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আকলিমা, সহকারী শিক্ষক মো: কামরুল হক ভূঞা, সহকারী শিক্ষক ফেরদৌসী আক্তার, সহকারী শিক্ষক সুলতানা ইয়াছমিন, সহকারী শিক্ষক ফারজানা আলম জেরিন, সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ ফারজানা বেগম, সহকারী শিক্ষক সুমা আক্তার এবং তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান, কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মেরিনা আক্তার, কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মানজীনা রেজা বেগম ও কর্ণেল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রোজিনা সরকার।

কমিউনিটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ নোমান মিয়া বলেন সফলতার কোন সংক্ষিপ্ত নেই। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। কঠোর পরিশ্রম আর আত্মত্যাগের মাধ্যমেই সফলতা অর্জিত হয়। প্রত্যেক মাকে তার সন্তানের পেছনে সফলতার জন্য সময় ব্যয় করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে সামাজিক সমস্যা গুলো দেখতে পায় যেমন: বাল্য বিবাহ, মাদকাসক্তি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি। এসবের জন্য দায়ি হলো আজ আমাদের মাঝে নৈতিক শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চায়, তাহলে নৈতিক সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।

সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম এর সমাপনী বক্তৃতার মাধ্যমে কমিউনিটি সভা সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

উক্ত কমিউনিটি সভায় তিন শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 27 August 2024, 566 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এর সভাপতিত্বে বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।

অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেল সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি এ.কে.এম কামরুজ্জামান মামুন এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

মাসিক সভার সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি।

সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির বিভিন্ন সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল এইডের প্রাতিষ্ঠানিক প্রচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামূলক সেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতা ও গণশুনানী অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সদস্যদের সন্তানদের এসএসসি পরীক্ষায় সফলতা কামনা করে দোয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 12 February 2024, 912 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের সন্তানদের আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় ১০ জন সাংবাদিকের সন্তান, যারা এসএসসি পরীক্ষার্থী তাদের ফুলেল শুভেচ্ছাসহ পরীক্ষার উপকরণ প্রদান করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। এসময় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা।

প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মো. খান বিটুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সাংবাদিক আবদুন নুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাংবাদিক ও কলেজ শিক্ষক মনির হোসেন ও শাহাদাৎ হোসেন। পরে প্রধান অতিথি পরীক্ষার্থীদের হাতে ফুল ও পরীক্ষার উপকরণ তুলে দেন।
পরে পরীক্ষার্থীদের সার্বিক সফলতার কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া পরিচালনা করেন জেলা সদর হাসপাতাল মসজিদের খতিব সিয়াম ইবনে আনোয়ার।

নন্দনপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 31 December 2024, 402 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরীর ডেকো ফুডস্ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরীর পরিত্যক্ত পণ্য ক্রয় নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন ও বুধল ইউনিয়নের দুই নেতা ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।

banner

৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায়-দফায় এই সংর্ঘষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, নন্দনপুর বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত ডেকো ফুডস্ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরী থেকে দুই থেকে তিন মাস পর পর কারখানার পরিত্যক্ত পণ্য নিলামে বিক্রি করা হয়। এসব পরিত্যক্ত পণ্য মাছের খাদ্য হিসেবে বিক্রি হয়। গত ১দশক ধরে এসব পণ্য কিনতেন সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের পক্ষের ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন এবং কৃষকদল নেতা মোরশেদ হাজারী।

গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর এই পণ্যগুলো ক্রয় করার জন্যে পাশের বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সমর্থক আশরাফুল ইসলাম মাসুম পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আসেন।

সকালে আগের ব্যক্তিদের কাছে পণ্য বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এমন খবর পেয়ে সেখানে দলবল নিয়ে ছুটে যান আশরাফুল ইসলাম মাসুম। সেখানে গিয়ে তিনি নাসির উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হন।

পরে নাসির উদ্দিন ও হারুনুর রশিদের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এসময় ডেকো ফুডস্ ফ্যাক্টরীসহ বেশ কয়েকটি বাড়ী-ঘরে হামলা ও লুটপাট করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় খড়ের গাদা।

এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের পক্ষের মোরশেদ হাজারী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কারখানার রেইট অনুযায়ী কাজটি পায় মেসার্স মোরশেদ এন্ড নাসির খন্দকার নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি পাওয়ার পর বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও তার সমর্থক আশরাফুল ইসলাম মাসুম তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার সকালে তারা ৪০/৫০ জন লোক নিয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ করেন। এতে তাদের পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এসময় বেশ কয়েটি বাড়ী-ঘর ভাংচুর করা হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের পক্ষের আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেন, আমি ইতিপূর্বে এক সময় ওই কারখানায় চাকরি করতাম। সেই সুবাদে কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকে ডেকে নিয়ে পরিত্যক্ত পণ্যগুলো ক্রয় করার অফার দেয়। আমিও তাদের কথামতো পণ্যগুলো ক্রয় করার জন্য কথা বলে আসি। মঙ্গলবার সকালে জানতে পারি এই পণ্যগুলো পূর্বে যারা ক্রয় করতেন, তাদের কাছেই কারখানা কর্তৃপক্ষ গোপনে বিক্রি করছেন।

এমন খবর পেয়ে আমার কয়েকজন বন্ধুকে সাখে নিয়ে সেখানে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্রই সেখানে থাকা সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাছির উদ্দিন ও তার পক্ষের মোর্শেদ হাজারি দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমি সহ আমার সাথে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হয়। আমি এই ঘটনা তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি মোঃ মফিজ মিয়া জানান, বিস্কুট ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত পণ্য নিয়ে দুই ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দলের জন্য বদনাম হয়েছে। তিনি বলেন, এদেরকে থামানো না গেলে দলের আরো বদনাম হবে।

এ ব্যাপারে বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক রোকন উদ্দিন ভূইয়া জানান, ঘটনার পর পরই তিনি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে একাধিকবার চেষ্টা করেও ডেকো ফুডস্ ফ্যাক্টরীর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, সংর্ঘষের খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।

সংর্ঘষে আহদের মধ্যে পাঁচজনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি।