চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপিকর্মী রুবেল হোসাইন নামে একজনের কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে শহরের রেলস্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করা হয়েছে।আহত রুবেল হোসাইন শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকার মৃত হুমায়ন কবিরের ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
আহতের পরিবার ও আহত রুবেল হোসাইন অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার রাতে পৌর শহরের কাজীপাড়া এলাকার আমিনের সঙ্গে কথাকাটি হয়। এর জেরে তারা এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে বিষয়টি সমাধানের কথা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এর মধ্যে ওষুধ কিনতে রেলস্টেশন এলাকায় গেলে সেখানে ফের প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মারধর শুরু করে। আমিন ও ইয়াছিনসহ আরো ২০-২৫ জন লোক নিয়ে হামলা করা হয়। একপর্যায়ে তার কানে আঘাত করলে কান আলাদা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আহত রুবেলের বড় ভাই আজিম মোল্লা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলা প্রত্যাহারের জন্য অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি করেছেন “মাজলুম ওলামায়ে কেরাম” নামে একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আজ ১১ আগস্ট রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম, নবীনগর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল কাইয়ুম ফারুকীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উম্মুল কোরআন মাদরাসার মোহতামিম মুফতি উবায়দুল মাদানী। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পতন হওয়া স্বৈরাচারি সরকার গত ১৬ বছর এদেশে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছেন।
২০১৬ সালে এবং ২০২১ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত ৬৩টি মামলায় জেলার ৬৪জন আলেম দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এ সময় আইন-শৃংখলাবাহিনীর গুলিতে ১৬জন আলেম ও মাদরাসার ছাত্র শাহাদাৎ বরণ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫৬টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি ও আখাউড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে। নেতৃবৃন্দ এসব মামলা সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় ২০২১ সালে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি এবং ২০২১ সালে চাকরিচ্যুত আলেম-ওলামাদেরকে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যার সাথে জড়িতরা যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা নিয়ামুল করিম, মাওলানা মোজাম্মেল হক, মাওলানা আমানুল হক, মাওলানা খন্দকার ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নন্দনপুর বিসিক শিল্পনগরীর ডেকো ফুডস্ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরীর পরিত্যক্ত পণ্য ক্রয় নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন ও বুধল ইউনিয়নের দুই নেতা ও তাদের অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায়-দফায় এই সংর্ঘষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, নন্দনপুর বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত ডেকো ফুডস্ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরী থেকে দুই থেকে তিন মাস পর পর কারখানার পরিত্যক্ত পণ্য নিলামে বিক্রি করা হয়। এসব পরিত্যক্ত পণ্য মাছের খাদ্য হিসেবে বিক্রি হয়। গত ১দশক ধরে এসব পণ্য কিনতেন সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের পক্ষের ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন এবং কৃষকদল নেতা মোরশেদ হাজারী।
গত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর এই পণ্যগুলো ক্রয় করার জন্যে পাশের বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সমর্থক আশরাফুল ইসলাম মাসুম পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আসেন।
সকালে আগের ব্যক্তিদের কাছে পণ্য বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এমন খবর পেয়ে সেখানে দলবল নিয়ে ছুটে যান আশরাফুল ইসলাম মাসুম। সেখানে গিয়ে তিনি নাসির উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের সাথে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হন।
পরে নাসির উদ্দিন ও হারুনুর রশিদের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এসময় ডেকো ফুডস্ ফ্যাক্টরীসহ বেশ কয়েকটি বাড়ী-ঘরে হামলা ও লুটপাট করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় খড়ের গাদা।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিনের পক্ষের মোরশেদ হাজারী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কারখানার রেইট অনুযায়ী কাজটি পায় মেসার্স মোরশেদ এন্ড নাসির খন্দকার নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি পাওয়ার পর বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও তার সমর্থক আশরাফুল ইসলাম মাসুম তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার সকালে তারা ৪০/৫০ জন লোক নিয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ করেন। এতে তাদের পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এসময় বেশ কয়েটি বাড়ী-ঘর ভাংচুর করা হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে বুধল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের পক্ষের আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেন, আমি ইতিপূর্বে এক সময় ওই কারখানায় চাকরি করতাম। সেই সুবাদে কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকে ডেকে নিয়ে পরিত্যক্ত পণ্যগুলো ক্রয় করার অফার দেয়। আমিও তাদের কথামতো পণ্যগুলো ক্রয় করার জন্য কথা বলে আসি। মঙ্গলবার সকালে জানতে পারি এই পণ্যগুলো পূর্বে যারা ক্রয় করতেন, তাদের কাছেই কারখানা কর্তৃপক্ষ গোপনে বিক্রি করছেন।
এমন খবর পেয়ে আমার কয়েকজন বন্ধুকে সাখে নিয়ে সেখানে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্রই সেখানে থাকা সুহিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাছির উদ্দিন ও তার পক্ষের মোর্শেদ হাজারি দলবল নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমি সহ আমার সাথে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হয়। আমি এই ঘটনা তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি মোঃ মফিজ মিয়া জানান, বিস্কুট ফ্যাক্টরির পরিত্যক্ত পণ্য নিয়ে দুই ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দলের জন্য বদনাম হয়েছে। তিনি বলেন, এদেরকে থামানো না গেলে দলের আরো বদনাম হবে।
এ ব্যাপারে বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক রোকন উদ্দিন ভূইয়া জানান, ঘটনার পর পরই তিনি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে একাধিকবার চেষ্টা করেও ডেকো ফুডস্ ফ্যাক্টরীর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, সংর্ঘষের খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য ও র্যাব সদস্যরা ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
সংর্ঘষে আহদের মধ্যে পাঁচজনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাক্তন স্কাউটস সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী কমিটির যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন করা হয়েছে। আজ ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পৌর শহরস্থ নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে প্রাক্তন স্কাউটসদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই উপস্থিত সকল স্কাউট্স দের পরিচয় প্রদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্কাউটার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রাক্তন স্কাউটস সদস্য আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক স্কাউটার মোঃ হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বিশেষ সাধারন সভায় কার্যবিবরনী পাঠ করেন শাহ আলমগীর।
বিগত সাধারণ সভা আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শাহীন, প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্র উপস্থাপন করেন স্মৃতি সাবোন, মোর্শেদ আমিনী মিলি ও ঘোষ। এর পর গঠনতন্ত্রের বিষয়বস্তুর উপর সকল স্কাউটরা আলোচনা করেন।
এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্রীণ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপচার্য সাদমান সাদিক রকি।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাক্তন স্কাউটস যুগ্ন সম্পাদক-১ খশরুজ্জামান খান বাপ্পী, স্কাউটস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমিশনার মোঃ সাহিদুল ইসলাম, স্কাউটাস এস কে শাহীন মাহমুদ, স্কাউটাস রেজাউল কাইউম স্বপনসহ প্রাক্তন স্কাউটস সদস্যবৃন্দ।
উক্ত সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন, নতুন প্রজন্মের স্কাউটদের উৎসাহ, স্কাউটিং আন্দোলন বিকশিত, প্রাক্তন স্কাউটসদের যুক্ত করা এবং সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র ও কার্যবিবরণী নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। প্রাক্তন স্কাউটস সমাজিক কার্যক্রম বাড়ানোর উপর বক্তারা জোড় দেন। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে যদি বাধা আছে তাহলে বাধাদানকারীদের বুঝিয়ে ও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রাক্তন স্কাউটসদের বিশেষ সাধারণ সভায় সংগঠনের সভাপতির পদত্যাগের বিষয়ে অবহিতকরন এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব প্রদান ও সংগঠনের নতুন নামকরণে সাধারন সম্পাদকের নাম প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ এবং বরাদ্দকৃত অর্থ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুষম বন্টনের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জোটের আহবায়ক আবদুন নূর।
জোটের সদস্যসচিব সঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সমাবেশে দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের জেলা সহ সভাপতি ডা. অরুণাভ পোদ্দার, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, আবরণী আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের মুমিনুল ইসলাম বাবু, খেলাঘরের মিনহাজ নবী খান পলাশ, তরী বাংলাদেশের সভাপতি শামীম আহমেদ, নারী নেত্রী ফজিলাতুন্নাহার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে সাংস্কৃতিক জাগরণের প্রয়াসে জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি সময়ের দাবি। তারা বরাদ্দকৃত অর্থ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সুষম বন্টনের ও দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের সমন্বয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্স স্কাউটস (বেশ) এর উদ্যোগে আগামী ১৮ মার্চ ২০২৩ শনিবার ঢাকার মৌচাক জাম্বুরী মাঠে আয়োজিত পূর্নমিলনী সফলের লক্ষ্যে এক সভা ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত সভার প্রথম ধাপে পরিচিতি পর্বে সভাপতিত্বে করেন আলাউদ্দিন মুক্ত স্কাউট দলের স্কাউটার ডাঃ এ এম এম মুসা খান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন তিতাস মুক্ত স্কাউট দলের স্কাউটার মোঃ হাবিবুর রহমান সাজু ।
দ্বিতীয় পর্বে স্মৃতিচারণে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ স্কাউট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু।
প্রাক্তন স্কাউট আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সামসুর রহমান খান মুস্তফা, মোঃ শাহজাহান ওমর ফারুকী শেখ শাহীন মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার সালাউদ্দিন আহমেদ রুমি, এ এফ এম আবদুস সাকির, ইব্রাহিম খান সাদাত, বদরুজ্জামান আলাল, মমিনুল হক বাবু,সাইফুল আলম, প্রবাল বিশ্বাস,অলি আহাদ রতন, মাহিন উদ্দিন, মোঃ সাগর প্রমুখ।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাক্তন স্কাউটদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ১৮ মার্চ মৌচাকে পূর্ণমিলনী সফল করার আহবান জানান হয়। এ ছাড়া প্রাক্তন স্কাউটদের রেজিস্ট্রেশন পক্রিয়া আগামী ৭ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার আহবান জানান হয়েছে। সভায় বক্তারা স্কাউটিং জীবনের সোনালী দিনের স্মৃতিচারণ করেন।