চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেছেন, যারা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যুবকরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার খুব নির্ভুলভাবে জুলাই অভ্যূত্থানে আহত নিহতদের তালিকা করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে হলে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন এর সাথে প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত জুলাই অভ্যূত্থানে সদর উপজেলার শহীদ পরিবার ও আহত এবং অসমর্থ যুবকদের অনুকুলে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে শহীদ পরিবার, আহত ও অসমর্থ যুবকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পাপিয়া আক্তার এবং আহত ও নিহতদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন অভিভাবক আব্দুল রহিম প্রমুখ। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, আহত যুবক ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসকরা কি লিখছেন তা নজরদারী করে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। চিকিৎসকদের চেম্বার থেকে কোন রোগী বের হলেই ১০-১২ জন প্রতিনিধি রোগীকে ঘিরে ধরে রোগীর হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে একের পর এক ছবি তুলতে থাকে। বিষয়টি কি বা কেন তা বুঝতে পারে না রোগীরা। অনেকে ভয় পায় বিব্রত হয়। বিভিন্ন চেম্বারের সামনে দেখা যায় রোগীর চেয়ে প্রতিনিধির সংখ্যা বেশী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ কোম্পানী তাদের ওষুধ লেখার জন্য চিকিৎসকদের নানা উপঢৌকন দেয়। পরনের পোষাক, বেল্ট, সুগন্ধি, টিভি, ফ্রিজ, গাড়ি, খাতা কলম, এমনকি নগদ অর্থ উপঢৌকন হিসেবে দেয়া হয়। এর বিনিময়ে চিকিৎসকরা সে সব কোম্পানীর ওষুধ লিখে কিনা তা দেখতেই রোগীর কাছ থেকে ব্যবস্থা পত্র নিয়ে টানাটানি হয়।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের বিপরীতে ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে এমনি এক দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় এক রোগীরা অভিযোগ করেন, হাত থেকে ব্যবস্থা পত্র টেনে নেয়ার ঘটনায় প্রথমে ভয় পেয়ে গেছি, বেশ কিছুক্ষণ দাড়াতে হয়েছে বিষয়টি বিব্রতকর।
ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি এরোস্টাফার্মার মোঃ শাহীনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা চিকিৎসকদের আমাদের কোম্পানীর ওষুধ লিখার জন্য অনুরোধ করি, সেটা লিখেছে কি না, তা দেখতে ছবি তুলেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ২৭ নভেম্বর অবিস্মরণীয় ৪১তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলন এবং এ আন্দোলনের চূড়ান্ত পূর্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহুত সর্বাত্মক সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে অবরুদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে ১৯৮৪ সালের তৎকালীন (এরশাদ) সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শাহাদাৎ বরণকারী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী দিবস।
উল্লেখ্য, মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত করার দাবিতে বিগত ১৯৮৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে কয়েক মাস ব্যাপী পর্যায়ক্রমিক আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ২৭ নভেম্বর হরতাল চলাকালে জেলা সদর ছিল ঊর্মিমূখর শ্লোগানে মুখরিত। জনতা রেলওয়ে স্টেশন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। যার ফলে, রেল ও সড়ক পথে পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ ছিল সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। পলু নিহত হওয়ার খবরে জেলা সদরের সর্বত্র জনজীবনে স্তব্ধতা নেমে আসে। পলুর লাশ নিয়ে জনতার সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। বিভিন্ন এলাকায় ট্রেন এবং যানবাহন আটকা পড়ে। পরে বিষয়টি এরশাদ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে অবগত হলে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিজাত হয়। এর সিদ্ধান্ত অনুসরণে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলনে উবায়দুর রউফ পলু নামে ১জন ছাত্র শাহাদাৎ বরণের প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের ৪৫টি মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলো এবং বিদ্যমান ১৯টি সহ দেশে মোট জেলার সংখ্যা ৬৪টিতে উন্নীত করা হয়।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতির লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের গঠিত উপ কমিটির প্রস্তুতি সভা ১৯ নভেম্বর রবিবার দিবাগত রাতে আহবায়ক মোহাম্মদ আমির হোসেন ফারুক এর সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য সচিব জিয়া কারদার নিয়ন এর উপস্থাপনায় কর্মসূচি প্রণয়নের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, মোঃ হারুন আল রশীদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ২৭ নভেম্বর সকাল ৮টায় কালোব্যাজ ধারণ, শেরপুরস্থ শহীদ উবায়দুর রউফ পলু’র কবর জিয়াত, তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ, বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকল মসজিদে দোয়া এবং সন্ধ্যায় বাদ মাগরীব শহরের পূর্ব পাইকপাড়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে বিশেষ দোয়া ও আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আলোচনা সভায় আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। উদ্বোধন করবেন দিবস উদযাপন উপ কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আমীল হোসেন ফারুক।
সভায় আগামী ২৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন ও উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী দিবসের সকল কর্মসূচি নির্ধারিত সময়ে সফল করার জন্য জেলা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহরের একটি বহুতল ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের বনিকপাড়া স্টেশন রোড এলাকায়। নগদ সাত লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।
ওই ভবনের চার নম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন মঈন জানান, তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালায়। পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন। গত এক সপ্তাহ তিনি পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। আজ বিকেলে ফোন পান তার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এসে দেখেন সব এলোমেলো।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আলমারি ভেঙে নগদ আড়াই লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, একটি ট্যাব, মোবাইলফোন, দুটি ইন্টারনেট রাউডার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
দ্বিতীয়তলা ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হুমায়ুন খালেদ বলেন, ‘আমি পেশায় ঠিকাদার। দুপুরে দাওয়াত খেতে রুমে তালা লাগিয়ে গিয়েছিলাম। এসে দেখি দরজা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।’
ষষ্ঠতলার এক প্রবাসীর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রসাধনী নিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মনিটরিং করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান বিজয়ের মাস ব্যাপক কলেবরে উদযাপনের লক্ষ্যে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শহরের হালদারপাড়াস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, সৈয়দ মিজানুর রেজা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শেখ মো. আনার, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, সেলিম রেজা হাবিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন (ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান), বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ওয়াসেল সিদ্দিকী, গাজি রতন মিয়া, আবু হোরায়রাহ, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, মো. মনির হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।