চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বোর্ডিং মাঠ) এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার। মো: ইউনুছ মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, এটিএন নিউজের পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান ও দৈনিক সরোদের সম্পাদক পীযূষ কান্তি আচার্য, একাডেমিক সুপারভাইজার পাপিয়া আক্তার, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক মো: হেলাল উদ্দিন, বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো: আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাহমিনা আক্তার বলেন, একটি নতুন প্রতিষ্ঠান হয়েও যেভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে তা অনুকরনীয়। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশ গ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন আলেম-ওলামারা।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের কাউতলি এলাকায় এ অবরোধ করেন তারা। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরায় মহাসড়কের দুইপাশে যানজট তৈরি হয়। তবে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এবং জনদুর্ভোগ বিবেচনায় তিন ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬ ও ২০২১ সালে পৃথক সহিংসতার ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় ৭৫টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় ৩ হাজারেরও বেশি হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীসহ আলেম-ওলামাদের আসামি করা হয়। এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন আলেম-ওলামারা। এর ফলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। সরকারের তরফ থেকে আজকের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে অবরোধ চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন অবরোধকারীরা।
জেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া ণমাধ্যমকে জানান, ৫ আগস্টের পর অনেক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাদের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় করা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। আজকের মধ্যে মামলাগুলো প্রত্যাহারের ঘোষণা না এলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আলেম-ওলামাদের অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উৎপাদন খরচ ও স্থানীয় চাহিদা বিবেচনা করে মূল্য নির্ধারণ করার কথা থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন আড়ৎ ও খামারে ডিম ক্রয়-বিক্রির ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। ফলে পাইকারি ও খুচরা ডিমের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ১৪ অক্টোবর সোমবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা শহরের আনন্দ বাজারে অভিযান চালায়। এই সময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিম বিক্রি করায় তিতাস পোলট্রি ফার্মকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে বাজার মূল্য নির্ধারণ করার কথা থাকলেও তারা অতিরিক্ত দামে ডিম বিক্রি করছিল। প্রতিটি ডিম খামার পর্যায়ে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করছিল। এছাড়া বিগত সময়ের ক্রয়-বিক্রয়ের প্রমাণ সংরক্ষণ করেনি। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে অপর ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত সমন্বয়করা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে ক্যম্পাসে ফিরতে চাই। এখন দেশে একটা অরাজকতা পরিস্থিতি চলছে এই জন্য শিক্ষার্থীরা আইন শৃঙ্খলা সাময়িক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিকের দায়িত্ব এবং বাজার মনিটরিং এর দায়িত্ব পালন করছে। তবে দেশের অবস্থা ঠিক হলে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো। আমরা চাই দেশে আর কোনো দূর্নীতি অনিয়ম না থাকুক, যেখানে দুর্নীতি হবে সেখানেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করবে। লেজুর বৃত্তিক রাজনীতির বিরোধিতা করে তারা বলেন আমাদের ক্যম্পাসে কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের আধিপত্য চাই না। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থ ধারার ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সানিউর রহমান, ফাহিম মুনতাসির, শাহ আলম পালোয়ান, মানজারুল হাসান মকবুল হাসান মারুফ, মুনিয়া, নিশো, তিশা রাণী পোদ্দার, জান্নাত, রেজুয়ানুল ইসলাম রাতুল, রূপম ধর, বসির, তাজিম, মুনিয়া মাহিন উদিচী, আসাদ প্রমুখ।
এসময় সম্বনয়কারীরা সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের ফরিদ মোল্লার ছেলে জহির উদ্দিন রানা।
মা-বাবার একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটাতে ১৯ বছর আগে পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সেখানকার বেলকম শহরে তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
কথা ছিল, ঈদের পর বাড়ি এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে চলছিল প্রস্তুতিও। তবে সব স্বপ্নই ধূলিসাৎ করে দেয় সেদেশের সন্ত্রাসীরা।
গত ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই নিহত হন জহির উদ্দিন।
আর একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ফরিদ মোল্লার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহির উদ্দিনের বাবা-মা।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার রাতেই জহিরের পরিচিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা তার বাবার নম্বরে ফোন করে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। এরপর থেকে পরিবারে চলেছে শোকের মাতম।
নিহত জহির উদ্দিনের বাবা ফরিদ মোল্লা ও মাতা আছিয়া খাতুন জানান, তাদের একমাত্র ছেলে জহির উদ্দিন। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান প্রায় দুই দশক আগে। মাঝখানে ১০ বছর আগে একবার দেশে এসেছিলেন। পরিবারকে বলেছিলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুছিয়ে এসে এবারের ঈদের পরই বিয়ে করবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে নিয়ে প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় এখন পরিবারটির সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ জহিরের মা-বাবার একটাই দাবি, প্রিয় সন্তানের মরদেহ যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনা হয়।
নিহত জহির উদ্দিন রানার পরিবারে মা-বাবা ছাড়া তার একটিমাত্র বোন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দক্ষিণ জগৎসার থেকে ৩০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাতনামা নারীর ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ।
আজ ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজকে সকালে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার বাজারের শাহজালাল টিন এন্ড হার্ডওয়্যারের দোকানের সামনে থেকে এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করি। ওই মহিলা রাধিকা ও জগৎসার গ্রামে ভিক্ষা করতো এবং ওইখানে থাকতো। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ওই নারীর লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পিবিআই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়েছেন। তারপরও পরিচয় শনাক্ত হয়নি।
এদিকে, আজকে মঙ্গলবার বাদ আসর বেওয়ারিশ লাশের দাফনকাজ করা হবে বলে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আজহার উদ্দিন।