অনলাইন ডেস্ক :
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার পোনা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খান জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ফাল্গুনী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা যাচ্ছিল। এসময় বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার পোনা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী বিপরীতমুখী একটি কাভার্ড ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বাস ও কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেলে একজন নিহত ও অন্তত ১১ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মারাত্মক আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। তবে এখন পযর্ন্ত নিহতের নাম পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ৮ ঘণ্টা পর এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের পর ২ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ফেরত আসা ব্যক্তিদের পরিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারপাড় সীমান্তের ৮২৫ নম্বর সাব-পিলারের কাছ থেকে রিমন ও সাজেদুল ইসলাম নামের ওই দুইজনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। রিমন পাটগ্রামের মোস্তাক হোসেনের ছেলে এবং এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সাজেদুল বগুড়া শহরের সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং সম্পর্কে রিমনের মামা।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মূল খুঁটির ১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে, কাঁটাতারের বেড়ার বাংলাদেশ অংশে অবস্থিত একটি ভারতীয় চা বাগানে রিমন ও সাজেদুল টিকটকের ভিডিও তৈরি করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে। ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিজিবি দ্রুত বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করে। ফলস্বরূপ, উভয় পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে ফেরত আনা সম্ভব হয়।
ফেরত আসার পর রিমন ও সাজেদুল জানান, দেশে পৌঁছানোর পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য তারা বিজিবিকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারও বিজিবির এই তড়িৎ পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, বিজিবি ভারতীয় বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানালে, বিএসএফ ইতিবাচক সাড়া দিয়ে তাদের হেফাজতে থাকা দুই শিক্ষার্থীকে রাতেই ফেরত দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৩ গ্রাম গাঁজা সরবরাহ করতে গিয়ে কারারক্ষীদের হাতে এক ব্যক্তি ধরা পড়েছেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার মো. কামাল হোসেন কুমিল্লা নগরীর কাপ্তানবাজার পাক্কার মাথা এলাকার মো. আবদুর রবের ছেলে।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন জানান, আসামি কামাল হোসেন এক দর্শনার্থীর সাথে দেখা করতে আসেন। এ সময় দুই কারারক্ষীর সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার দেহ তল্লাশি করলে গাঁজা পাওয়া যায়। তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক মাসের সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার লাকসামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের আয়োজনে ‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় উপজেলা সদরের দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসায় মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লুৎফুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাফসান ইসলাম।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সভাপতি ফয়সাল ইসলাম বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিখির বক্তব্য রাখেন- দৌলতগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মো. আবদুল হান্নান, হেড মুহাদ্দিস মাওলানা ড. আবদুল হালিম, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার কবির রাতুল, তন্ময় ইসলাম, লাকসাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ফারুক আল শারাহ, সামাজিক ব্যক্তিত্ব আজিজুর হক মজুমদার সুইট। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরি অব হিউম্যানিটি অরগানাইজেশনের সাধারণ জহিরুল কাইয়ুম অনিক।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ ডিসেম্বর রোববার ২০২৪ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ২৪ মে ১৯৭২ সালে কলকাতা হতে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয় এবং তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডিস্থ ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কবিকে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং একই বছরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। জীবনাবসানের পর কবিকে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার এলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস, ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারি’ এবং ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টাগণ কবিকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। কাজী নজরুল ইসলাম সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত হলেও তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে সরকারিভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বীকৃত এবং যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করেয সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রত্যাশা করে, সেহেতু তার ঢাকায় আগমনের তারিখ হতে (৪ মে ১৯৭২) জাতীয় কবি ঘোষণাপূর্বক গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব গত ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়েছে, সে কারণে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হলো এবং ইহা সকলের অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হলো।