অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি সৈকত দিয়ে ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছিলো ফ্লোরিডার এক বাসিন্দা। তিনি পথে দুই ব্যক্তিকে দেখতে পান। তার কাছে মনে হয়েছিল, ওই দুইজন ফিলিস্তিনি। ট্রাক থামিয়ে নেমে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে তিনি ওই দুই ব্যক্তিকে গুলি করেন। পরে জানা যায়, যে দু’জনকে গুলি করা হয়েছে, তারা আসলে ইসরায়েলি পর্যটক। ভুক্তভোগী দু’জন হলেন অ্যারি রাভে ও তার বাবা। ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও টাইমস অব ইসরায়েল তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
খবরে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে। ফ্লোরিডার এই বাসিন্দার নাম মর্দেচাই ব্রাফম্যান। বয়স ২৭ বছর। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত রবিবার ব্রাফম্যানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। মিয়ামি বিচ পুলিশ বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন ব্রাফম্যান।
গ্রেফতারের নথি অনুসারে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নজরদারি ভিডিওতে দেখা যায় যে ২৭ বছর বয়সী ব্রাফম্যান তার ট্রাক থেকে নেমে একটি গাড়ির দিকে আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাচ্ছেন। ব্রাফম্যান ১৭ বার গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে একজনের বাম কাঁধে এবং অন্যজনের বাম বাহুতে আঘাত লেগেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডব্লিউপিএলজিকে দেয়া সাক্ষাতকারে গুলিতে আহত হওয়া আরি রেভে বলেন, তারা ট্রাকের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চালক তাদেরকে লক্ষ্য করে উন্মুক্ত গুলি চালায়।
ব্রাফম্যানের পক্ষের কোনো আইনজীবী বা প্রতিনিধিকে তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পায়নি বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বলছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ, ফিলিস্তিনিবিদ্বেষ ও ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, টাইমস অব ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে কর্মরত একডজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব কর্মকর্তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অংশ ছিলেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের কয়েক ডজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে ছুটিতে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ প্রতিপালন করতে চেয়েছিলেন না। এই ছুটির সময় তাদের পূর্ণ বেতন ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সংস্থা এবং ২০২৩ সালে এটি ৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন আরো তিনটি নির্বাহী আদেশে সই করার পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে সামরিক বাহিনীতে থাকা ট্রান্সজেন্ডারদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত। এছাড়া, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণে যেসব সেনা সদস্য বাদ পড়েছিল, তাদের পুনর্বহালের বিষয়ে একটি আদেশ আসতে পারে। ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছেন এবং রোববার অন্তত এক হাজার অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ফোনালাপ
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সাথে ফোনে বৈঠক করেছেন। তারা বৈশ্বিক নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় তারা দুই দেশের বিশেষ সম্পর্কের গভীরতার প্রতি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং চীনের অশুভ প্রভাব নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে তারা আলোচনা করেন।
ট্রেজারি সেক্রেটারির মনোনয়ন নিশ্চিত
যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট স্কট বেসেন্টকে অর্থমন্ত্রী বা ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত করেছে। তাকে গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যা কর নীতি, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন, শুল্ক আরোপ এবং নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত। তার মনোনয়ন পক্ষে ৬৮ ভোট ও বিপক্ষে ২৯ ভোট পড়ে। এছাড়া, ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিকেই ট্রাম্পের সমর্থক হিসেবে তার নাম উঠে আসে।
গুগল ম্যাপে ‘মেক্সিকো উপসাগর’ নাম পাল্টানোর সিদ্ধান্ত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়েন্ট গুগল জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে অফিসিয়াল সিস্টেমে মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে ‘আমেরিকা উপসাগর’ রাখবে। তবে, এই পরিবর্তন শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। মেক্সিকোতে ‘মেক্সিকো উপসাগর’ নামই বজায় থাকবে। আর অন্যান্য দেশের ব্যবহারকারীরা দুটি নামই দেখতে পারবেন। এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসন থেকে এই নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছিল।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঘোষণা ট্রাম্পের
ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ বাতিল করার কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে দাস প্রথা বাতিল করার সময় জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে এই প্রথা যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খায় না।
ফ্লোরিডায় রিপাবলিকানদের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, এই সংশোধনী ছিল শুধুমাত্র দাসদের জন্য, কিন্তু বর্তমানে এটি আর প্রযোজ্য নয়।তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে মহান চার বছর’ আসবে এবং এর জন্য তারা একযোগে কাজ করবে। এছাড়া, ট্রাম্প তার সামরিক বাহিনীতেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন।
কলম্বিয়ার বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন, কারণ কলম্বিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের বহনকারী দুটি সামরিক বিমানকে অবতরণ করতে দেয়নি। ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন, কলম্বিয়া থেকে আসা সব পণ্যের ওপর অবিলম্বে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্প বলেছেন, আমরা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছি বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছে, তাদের অভিবাসীদের ফেরত নিতে হবে, নাহলে তাদের বড় অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হবে। সূত্র: বিবিসি
অনলাইন ডেস্ক :
মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় তাবাসকো রাজ্যে একটি বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। দুর্ঘটনার কিছু ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব ছবিতে দেখা যায়, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৮ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ট্যুরস আকোস্টা নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সি এই বাসটির মালিক। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাসটি ক্যানকুন থেকে তাবাসকো যাচ্ছিল। এতে মোট ৪৮ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর বাসটি আগুনে পুড়ে যায়। তারা আরও জানায়, বাসটি স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। এসকারসেগার কাছাকাছি পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষে হয়। সংঘর্ষের পরেই বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
তাবাসকো রাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছে এবং উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
ট্যুরস আকোস্টা ফেসবুকের এক পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছে, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এ ঘটনার জন্য আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মেক্সিকোর কাম্পেচে প্রদেশের কান্দেলারিয়া শহরের প্রসিকিউটরের অফিসে এ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হবে। নিহত যাত্রীদের লাশ নিতে স্বজনদের এই অফিসে যেতে হবে।
তাবাসকো সরকারের সেক্রেটারি রামিরো লোপেজ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আমরা মৃতদের সংখ্যা ও পরিচয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করব।’
স্থানীয় কাউন্সিল প্যালাসিও মিউনিসিপ্যাল দে কমালকালকো জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ স্থানান্তরের জন্য তারা সহায়তা করবে।
সূত্র: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তদন্তে নাম এসেছে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকেরও। এ ঘটনায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ বলছে, বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক শক্তি প্রকল্প থেকে নিজের পরিবারকে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করতে সহায়তা করার অভিযোগে মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় ও নৈতিকতা দল মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
টিউলিপ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেয়া। তবে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে তার খালা ও বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য রাশিয়ার সাথে একটি দুর্নীতির চুক্তিতে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে।
অবশ্য টিউলিপ সিদ্দিককে গত বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও খবরটি সামনে এসেছে ২২ ডিসেম্বর রবিবার। অভিযোগ অনুযায়ী, রূপপুরের এই প্রকল্প থেকে চার বিলিয়ন পাউন্ড সরিয়ে নেয় শেখ হাসিনার পরিবার ও তার মন্ত্রীরা।
টেলিগ্রাফ বলছে, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সামনে আসার পর টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দলের (পিইটি) প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হন। গত বৃহস্পতিবার পিইটি’র ওই কর্মকর্তা টিউলিপ সিদ্দিকের অফিসে যান। পরে ওই কর্মকর্তার কাছে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন টিউলিপ।
উল্লেখ্য, শেখ রেহানা-কন্যা টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বাংলাদেশে একটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে নেতিবাচকভাবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে তিনি সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন গত ১৯ ডিসেম্বর। তবে এবারই প্রথম না, চারবারের নির্বাচিত এমপি ও বর্তমান সরকারের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ ব্রিটিশ গণমাধ্যমে এর আগে আরো বেশ কয়েকবার হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান প্রশাসনে হোয়াইট হাউস মিডিয়া নীতিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার থেকে প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধি—যেমন পডকাস্টার, ব্লগার এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীদেরও সংবাদ ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। গতকাল নিজের প্রথম সংবাদ ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ২৭ বছর বয়সী কনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ জনগোষ্ঠী এখন প্রচলিত টেলিভিশন এবং পত্রিকার পরিবর্তে পডকাস্ট, ব্লগ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদ গ্রহণ করছে। এই পরিবর্তনকে বিবেচনায় রেখে হোয়াইট হাউসের বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।
তিনি আরো জানান, ব্রিফিং রুমে ‘নিউ মিডিয়া আসন’ নামে একটি নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে, যেখানে হোয়াইট হাউসের প্রচলিত প্রেস স্টাফের আসন থাকত। এখন থেকে নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধি এই আসনগুলোতে বসবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে বাতিল হওয়া ৪৪০টি প্রেস পাস পুনর্বহাল করবে বলে জানিয়েছে। একই সাথে, হোয়াইট হাউসের নতুন ওয়েবসাইট (whitehouse.gov/newmedia) থেকে নতুন মিডিয়ার প্রতিনিধিরা প্রেস ক্রেডেনশিয়াল আবেদন করতে পারবেন।
ক্যারোলিন লেভিট আরো জানান, আমাদের লক্ষ্য, বৈধ সংবাদ তৈরির কাজ যারা করেন, তাদের জন্য মাধ্যম নির্বিশেষে সমান সুযোগ তৈরি করা। হোক সেটা টিকটকের ভিডিও, ব্লগ বা পডকাস্ট। যদি সংবাদবিষয়ক কনটেন্ট হয়, তবে সবাই আবেদন করতে পারবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রথম প্রশ্নটি তিনি কনজারভেটিভ সংবাদমাধ্যম ব্রেইটবার্টের একজন প্রতিনিধিকে করার সুযোগ দেন, যা প্রচলিত ধারা থেকে একটি নতুন পদক্ষেপ। তিনি আরও জানান, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও প্রতিদিনের ব্রিফিংয়ে তাদের জায়গা পাবে।
লেভিট বলেন, আমরা প্রথম সংশোধনী (First Amendment) রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এটি নিশ্চিত করা হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি বৈধ সংবাদমাধ্যম হোয়াইট হাউসে প্রতিনিধিত্ব পায়।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমান ডিজিটাল যুগের সংবাদ গ্রহণের ধরনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালী এবং স্বাধীন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সুযোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা প্রচলিত সংবাদমাধ্যমের বাইরেও নতুন মিডিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার দ্বার খুলে দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচার করার চেষ্টার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম তাঙ্গারাজু সুপিয়াহ। তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে গাঁজা আনার চক্রান্ত করেছিলেন তিনি।
তবে, এ মৃত্যুদণ্ড যেন কার্যকর করা নয় সেজন্য তার পরিবার, মানবাধিকার কর্মী এমনকি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল।
তাঙ্গারাজুর পরিবার জানিয়েছে আজ ২৬ এপ্রিল বুধবার ভোরে চাঙ্গি কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, গাঁজা পাচারের সঙ্গে তাঙ্গারাজুর সম্পৃক্ততা খুবই কম ছিল এবং তিনি যথাযথ আইনি অধিকার পাননি। তবে সিঙ্গাপুরের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই তাঙ্গারাজুর দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তাঙ্গারাজুর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তিনি কখনো ওই মাদক স্পর্শ করেননি এবং তার কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়াও যায়নি। তবে আদালতের বিচারক জানান, তদন্তে পাওয়া গেছে তাঙ্গারাজু এরসঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ফোন কলের ইতিহাস ঘেটে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে।
মাদক নিয়ে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে কঠোর আইন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর অন্যতম। দেশটির দাবি, মাদককে ঠেকাতে এমন আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
গত বছর মাদক বিষয়ক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। যার মধ্যে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হেরোইন পাচার করেছেন।
সিঙ্গাপুরে মাত্র এক কেজি গাঁজা পাচারের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও, দেশটির প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে উল্টো গাঁজার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়। সিঙ্গাপুরের আরেক প্রতিবেশী মালয়েশিয়া মাত্র এক সপ্তাহ আগে মৃত্যুদণ্ডের বিধানই বাতিল করে দেয়।