অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১৯ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ৬টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার দেবরাজ গ্রাম থেকে ইয়াকুব আলী শেখের ঘর থেকে এই পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইয়াকুব শেখের বড় ছেলে শাহ্ আলীর বসবাসের জন্য নতুন ঘর নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাড়ি পাশের জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খনন করছিলেন। বুধবার বিকেলে ওই মেশিনে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি উঠে আসে। পরে ইয়াকুব শেখের ছেলে ও ভাতিজা পাথর ধুয়ে ঘরে রেখে দেয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে কষ্টিপাথর দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন ইয়াকুবের বাড়িতে ভিড় করে। পরে খবর দিলে মূর্তিটি উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে সদর উপজেলার দেবরাজ গ্রামের ইয়াকুব শেখের ঘর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের যোগাযোগ করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
পৌষের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। পৌষের মাঝামাঝি সময়ে ঝেঁকে বসেছে শীত। প্রকোপ শীত বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে দিন মজুর। এছাড়াও চায়ের দোকান গুলোতে বেড়েছে ভিড়। অনেকে খড়কুটো, কাঠ জ্বালিয়ে তাপে শরীর গরমে ব্যস্ত সময় পার করছে। এছাড়াও ব্যাডমিন্টন খেলায় মেতেছে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাশের আদ্রতা ছিলো ৯৩। এ অবস্থা আরও কয়েক দিন থাকতে পারে।
আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে শহর থেকে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এক দিন পর আকাশে সূর্য দেখা গেলেও তাপের তেমন প্রখড়তা ছিলো না। প্রকোপ শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমেছে। আবার অনেক দিন মজুর কর্মহীন হয়ে পড়ছে। চায়ের দোকানেও অনেকেই আড্ডা জমিয়েছে। ফাঁকা জায়গায় অনেককেই ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা যায়।
শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রিকশা চালকা আবেদ আলীর সাথে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার শীত থাকায় শহরে লোকজন কম বের হয়েছে। এতে প্রায় ৪০০ টাকা আয় করতে পেরেছি।
এলজিইডি মোড় এলাকার দিন মজুর জুব্বার মিয়া বলেন, এখন একটু কাজ কম। তারপর শীতের কারনে কাজ আরও কমে গেছে। অনেকেই কাজ না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছে।
সদর উপজেলা গালা গ্রামের উজ্জল মিয়া বলেন, শীত মানেই গ্রামে পিঠার উৎসব চলে বেশির ভাগ বাড়িতে। দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটাসহ বিভিন্ন পিঠার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মতো হচ্ছে। শীতে কষ্টের পাশাপাশি সকলে মিলে আনন্দে উৎসবে কাটানো যায়।
অপর জন রাসেল মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের বাড়িতে চাল গুড়া করার ঢেকি ছিলো। তখন দেখতাম বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গুড়া করতে গ্রামের অনেকেই সিরিয়াল দিয়েছে। শীতে অনেক কিছুই উপভোগ করা যায়।
এ দিকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল হতে টাঙ্গাইল জেলা হাসপাতালের সামনে ৩২০ জন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল হতে ১০ হাজার কম্বল, শীতবস্ত্র কেনার জন্য সরকারিভাবে ১২ উপজেলায় ৬৮ লাখ ৫০ হাজার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১১টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য ২ লাখ টাকা করে, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দেড় লাখ করে ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাজে বিতরণ করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজবাড়ীতে ৬৬টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন এসব মোবাইল হস্তান্তর করেন।
জানা যায়, জেলার পাঁচটি থানার সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে রাজবাড়ী সদর থানায় ২২টি, গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ১৫টি, পাংশা মডেল থানার ১৭টি, কালুখালী থানায় ৯টি ও বালিয়াকান্দি থানায় তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন বলেন, জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষের হারানো মোবাইল উদ্ধারে কাজ করছে। সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল প্রতিনিয়ত মোবাইল ট্র্যাকিং, বিকাশ প্রতারণা ও ফেসবুকে হ্যাকিংসহ নানা সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসব মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিন পর হারানো মোবাইল হাতে পেয়ে অনেকেই আগেবআপ্লুত হয়ে পড়েন। জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ফোনের প্রকৃত মালিকবৃন্দ।
মোবাইল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীবসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাকুরিচ্যুৎ বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল ও কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিডিআর এর নায়েব বদরুল আলম, নায়েব জাহাঙ্গীর, সিপাহী আবদুল মান্নান, নায়েব জাহাঙ্গীর, মাসুদ পারভেজসহ বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
বক্তারা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের দায় বিডিআর সদস্যদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। মূলত তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য বিডিআর বাহিনী ধ্বংস করার জন্য এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করে।
পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্মূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং যে সকল সদস্যর সাজার মেয়াদ শেষ ও খালাস প্রাপ্ত তাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও নির্ভয়ে কাজ করার সুবিধা দেয়াসহ গণহারে গ্রেফতার করে যাদের অন্যায় ভাবে চাকুরিচ্যুৎ করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কলেজ পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগের চেয়ে নৈতিক মূল্যবোধই প্রধান ভূমিকা রাখে’- এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার এ বিতর্ক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে। প্রতিযোগীতায় উপজেলার ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল এন্ড কলেজ ও আফাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মদ মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মডারেটর ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমাদের মনোবল যাতে দুর্বল না হয় এবং দৃঢ়তার সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। মনোবল ঠিক থাকলে সামনের দিকে কোন বাধায় তোমাদেও প্রতিহত করতে পারবেনা। তোমরা একটি উপজেলার সম্মান বয়ে আনতে পারবে।
বিচারক মন্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার শাহীনুর বেগম। প্রতিযোগীতা পরিচালনায় দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শওকত আকবর খান।
প্রতিযোগীতায় কালিয়াকৈর উপজেলার ভাষা শহীদ আব্দুল জাব্বার স্কুল এন্ড কলেজ ৫৪.২ পয়েন্ট পেয়ে বিজয়ী হয় ও আফাজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ ৫৩.২ পয়েন্ট পেয়ে পরাজিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজশাহীর বাঘার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চপল আলীকে ১১ জানুয়ারি শনিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বাঘা থানার আলাইপুর নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ নিজ বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
১১ জানুয়ারি দুপুরে র্যাব-৫ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার বাঘা থানাধীন আলাইপুর নামক এলাকায় এক মাদক ব্যবসায়ী নিজ বসতবাড়ীতে অবৈধ মাদকদ্রব্য মজুদ রেখে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
পরবর্তীতে র্যাবের আভিযানিক দল আসামীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং গভীর রাতে একটি চৌকস আভিযানিক দল মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তার বসতবাড়ি তল্লাশী করে নিজ শয়ন কক্ষের এটাস বাথরুম এর লো কমোডের ভিতর থেকে অভিনব কায়দায় লুকায়িত ১৬১ বোতল ফেন্সিডিল ও ৫০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে।
চপল আলী এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। যার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও হত্যাচেষ্টাসহ সর্বমোট ৮ টি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক অজ্ঞাত স্থান হতে সংগ্রহ করে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল।
তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে বাঘা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।