হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
“সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা বিশ্বময় গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না,”সিলেট বিভাগের চারটি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জকে নিয়ে সিলেট প্রদেশ ঘোষণার দাবিতে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে সাউথ ইষ্ট রিজিয়নের উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ উডেহাম কমিউনিটি সেন্টারে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ নুরুল ইসলাম।
সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং রিজিওনাল সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ও কমিউনিটি সংগঠক কদর উদ্দিন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রেটার সিলেটের প্রেট্রন, কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর, গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোস্তফা, ও কমিউনিটি সংগঠক হাবিবুর রহমান রানা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খান জামাল নুরুল ইসলাম ,আজিজুল আম্বিয়া, সৈয়দ সায়েম করিম, আজম আলী, আব্দুল বাছিত রফি, আব্দুর রহিম রনজু,আব্দুল মুকিত, খালেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালিক, সেরওয়ান আলী, হালিমুল ইসলাম, শাহ আজিজ সাজু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী,তানভীর হোসেন, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, বদরুল হক মনসুর, কামরুল আই রাসেল, আমজাদ হোসেন, ও কবির আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি কমিউনিটি নেতা ও সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন -১৯৪৭ সালে গণভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছিল ।পাকিস্তান আমলে ও বাংলাদেশ আমলে সিলেট বিভাগের তেমন কোন উন্নতি হয়নি ।সিলেট বিভাগ সব সময় বৈষম্যের শিকার ।সিলেটের খনিজ সম্পদ, চা বাগান, রাবার বাগান সহ সকল প্রাকৃতিক সম্পদে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন হলেও সিলেটের সমস্যার এখনও কোন সমাধান হয় নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি দূর্যোগময় মুহুর্তে সিলেটবাসীর অবদান ইতিহাসের অন্তর্গত ।
সংস্কার কমিশন বাংলাদেশে চারটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করলেও সিলেট বিভাগকে প্রদেশ করার কোন প্রস্তাব করেনি। এটা আরেকটি বৈষম্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনর বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মকিস মনসুর সিলেট বিভাগ নিয়ে কোনো টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না,চট্টগ্রামের সাথে সিলেটকে যুক্ত করার চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে বলে উল্লেখ করে বলেন আমরা সিলেট বিভাগ নিয়ে জালালাবাদ প্রদেশ চাই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মতে বাংলাদেশকে যদি কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করতেই হয় তাহলে বৃহত্তর সিলেটের চারটি জেলা নিয়ে একটি প্রদেশ গঠন করা হবে যুক্তিযুক্ত। চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করা হবে অবাস্তব ও অযৌক্তিক। বৃহত্তর সিলেটের ভৌগোলিক অবস্থা ও লে-আউট আলাদা একথা সরকারের বুঝা উচিৎ, সিলেট থেকে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকায় বরং যাওয়া যাবে দ্রুত। তাই চট্টগ্রামের সাথে সিলেট কানেক্ট করে প্রদেশ করলে সিলেট হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত, এরকম হটকারি, অবাস্তব এবং অযৌক্তিক সীদ্ধান্ত কোনো অবস্থাতেই বিশ্বময় বসবাসকারী গ্রেটার সিলেটবাসী মেনে নেবে না।
বিশেষ অতিথি গ্রেটার সিলেট ইউকের সাবেক চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম মাহবুব বলেন ১৯৭১ এর মহাণ মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ণে তথা রাজনৈতিক, সামাজিক,ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা – দীক্ষা, জ্ঞান – গরিমা,সাংস্কৃতিক ইতিহাস ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে এমনকি প্রবাসের মাটিতে ক্যাটারিং সেক্টর ও ব্যবসা বাণিজ্য এবং বিশ্বময় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণে ব্যাপক ভুমিকা রাখা সহ বাংলাদেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে গ্রেটার সিলেটবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।
পাকিস্তান আমল থেকেই দেশে বিদেশে সিলেট প্রদেশ গঠণের দাবিতে আন্দোলন চলছে। তাই অবিলম্বে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবি জানানো হয় ।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সাউথ ইস্ট রিজিওনাল কনভেনর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী হারুনুর রশিদ সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদশালী এলাকা সিলেটের খনিজ তেল, গ্যাস, পাথর, চা শিল্প, পর্যটন ও দেশের রেমিটেন্সের সিংহভাগই আসে প্রবাসী সিলেটবাসীর মাধ্যমে বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন বর্তমান সরকার যদি প্রাদেশিক সরকার গঠন করে তাহলে সিলেটের নাম আসবে সবার আগে।কারণ সিলেটের মানুষের এই দাবি দীর্ঘদিনের।
সিলেটবাসীর ন্যায্য দাবি সিলেট প্রদেশ বাস্তবায়নের ক্যাম্পেইনে দেশে বিদেশে সিলেট বাসীকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন। অনেক সিলেটের জনগণ এবং প্রবাসীরী সংবাদ সংস্থা বলেছেন, ছোট আয়তনের বাংলাদেশে যেখানে বিভাগের ই কোন প্রকার প্রয়োজন নেই, সেখানে প্রদেশ দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। তারা আরো বলেছেন, প্রদেশ কেন হবে? মাতাবারী বিভাগই বাতিল করে শুধু জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন, পৌর সভা এবং সিটি করপোরেশন এই পাঁচ ভাগে লোকাল সরকার থাকার কথা জানিয়েছেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন
‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে শুক্রবার রাতে শামসিয়া অডিটরিয়ামে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশা করেন আগত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এখন টেলিভিশনের সৌদি আরব প্রতিনিধি, রোটারিয়ান জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়ের সঞ্চালনায় সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের সভাপতি, প্রবাস মেলা সৌদি আরব দর্শক ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুল ইসলাম বিলাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও এনটিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি প্রধান ফারুক আহমেদ চান।
রিয়াদ গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরব বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি মাসুদ রানা, নিউজ২৪ টেলিভিশনের রিয়াদ প্রতিনিধি রুস্তম খান, বর্ণ টিভির পরিচালক ফকির আল আমিন , মাইটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি সাদেক আহমেদ, এসএটিভি রিয়াদ প্রতিনিধি ফকির হাকিম, বাংলা ৫২ টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, মোহনা টিভি সৌদি আরব প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, লাব্বাইক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শাহ শাহজালাল ভুট্টু, দৈনিক স্বাধীন পত্রিকার সৌদি আরব প্রতিনিধি মো: ইমন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের ইনচার্জ আবু সায়েদ মো: তারেক, সরকারি মার্কেটিং ডিরেক্টর শওকত উল্লাহ রিপন, সিলেট কুলাউড়া প্রবাসী পরিষদের সভাপতি খালেদ সাহাব উদ্দিন, সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের উপদেষ্টা আবু ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সালেহ আহমেদ ভূঁইয়া সহ বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ২০২৫-২৬ দুই বছরের জন্য আবদুল্লাহ আল মামুন কে সভাপতি ও সানাউল্লাহ আপন তাজকে সাধারণ সম্পাদক করে সৌদি আরব প্রবাস মেলা দর্শক ফোরামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। সবশেষে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা সহ দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া করেন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হাফেজ শামীম মোল্লা।
অনুষ্ঠান সহযোগিতায় ছিলেন সৌদি আরবে একমাত্র বাংলাদেশী স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সানসিটি পলি ক্লিনিক।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
উত্তরন হিউম্যান রাইটস এসোসিয়েশন ফ্রান্সে এবং উওরন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি মমতাজ আলো ফ্রান্স থেকে নিউইয়র্ক আসেন সম্প্রতি। উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ শ্লোগানে প্রবাস মেলা’র ১১ বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয় দেশ ও বিদেশে। এ উপলক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় প্রবাস মেলার সিনিয়র প্রতিনিধি, কলামিস্ট, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ‘উন্নয়নের অংশীদার, প্রবাসীরাও দাবিদার’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আনন্দময় পরিবেশে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একমাত্র মুখপত্র প্রবাস মেলা’র ১১তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মমতাজ আলোর হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার হিসেবে তুলে দেন ।
গণমাধ্যম জগতের একমাত্র প্রিন্ট এবং অনলাইন ভার্সনে প্রবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছে প্রবাস মেলা পত্রিকা। এই পত্রিকাটি প্রবাসীদের সুখ দুঃখের কথা বলছে নানাঘাত, প্রতিঘাত উপেক্ষা করে, আগামীতেও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে প্রবাস মেলা সে প্রত্যাশার কথা বলেন, মমতাজ আলো সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনের কাছে এবং তিনি প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান ।
এসময় ঢাকা থেকে টেলিকনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান প্রবাস মেলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, টিভি উপস্থাপক মামুন ইমতিয়াজ। তিনি পত্রিকাটিকে প্রবাসীদের পত্রিকা হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন পেশাজীবী, শ্রমজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সবার কাছে প্রবাস মেলা পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন মমতাজ আলো। মমতাজ আলো একজন উদ্যোক্তার বটে। তিনি বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক সদস্য। তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ারের সেক্রেটারী,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ফ্রান্সের সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ফ্রান্সের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মমতাজ আলো মানুষের কল্যাণে নিবেদিত ভাবে দেশ ও প্রবাসে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন। ছবিতে মমতাজ আলো হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্যে কপি উপহার দিচ্ছেন প্রবাস মেলার প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র প্রতিনিধি হাকিকুল ইসলাম খোকন। শেষে সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনকে দুপুরের ভোজে আপ্যায়ন করেন।
নিউইয়র্কে বাঙালী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবণ নির্মানের জন্য ফান্ডরেজিং লাঞ্চ ২২ ডিসেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ঈদুল আযহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডে একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এ ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীবৃন্দ মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানে অর্থ প্রদানসহ সার্বিক সহযোগিতায় তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বাংলাবাজার জামে মসজিদের ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলীর সভাপতিত্বে এবং মসজিদের সাধারণ সম্পাদক লালন আহমেদ ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ বদরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য রাখেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ ও বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়া।
তারা মসজিদকে ইবাদত বন্দেগীর সর্বশ্রেষ্ট স্থান হিসেবে উল্লেখ করে কুরআন-হাদীসের আলোকে মসজিদ নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইহকাল-পরকালের কল্যাণে সহীভাবে ইসলাম পরিপালনের দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তারা মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের নিকট অনুরোধ জানান।
মসজিদের সভাপতি ডা. আবদুস সবুর নতুন জায়গায় বহুতল মসজিদ ভবণ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, স্থান সংকুলানের অভাবে বর্তমান মসজিদে জুমার নামাজে দু’টি পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তার পরও স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লীদের বাইরে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। এজন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি মসজিদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
ফান্ডরেজিং কমিটির চেয়ারম্যান আলমাছ আলী ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মসজিদ নির্মাণে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রঙ্কসের ১৩৫১ ওডেল স্ট্রিটে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রস্তাবিত নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, মসজিদের ক্রয়কৃত পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গায় নতুন বহুতল ভবন নির্মান কাজ শুরু করার পর পর্যায়ক্রমে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ঈদুল আজহার দিন প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে বেসমেন্টসহ ৬ তলা বিশিষ্ট ভবণ নির্মান কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
আলমাছ আলী ইউএসএনিউজঅনলাইন.কমকে জানান, অনুষ্ঠানে সুধী ও মুসল্লীরা বাংলাবাজার জামে মসজিদের নতুন ভবণ নির্মানের জন্য অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
ফান্ডরেজিং অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবু সাঈদ।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটি সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, বাংলাবাজার মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা মো. ফখরুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দলা মিয়া ও ডা. মোহাম্মদ শাহ আলম, মসজিদের লাইফ মেম্বার ডা. রুমানা সবুর, ডা মাসুম, ডা. কাদের, ডা. জুয়েল, ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল হাশেম হাসনু ও সামাদ মিয়া জাকারিয়া, মসজিদ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ এ হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক শামিম উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, সহ কোষাধ্যক্ষ সোহেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য আজিজুল হক, ওয়ালিউর রহমান, লাইফ মেম্বার আকশাদ আলী বাবুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটি, মুসল্লীসহ সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মসজিদের কার্যকরী, উপদেষ্টা ও ফান্ডরেজিং কমিটির সদস্যরা।
শেষে বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। মসজিদের জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা : বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক, ১৩৫১, ওডেল স্ট্রিট, ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক – ১০৪৬২, ফোন : ৩৪৭-২৯৩-৫৮৫৮।
বাংলাবাজার জামে মসজিদ ইনক্, চেজ ব্যাংক এন.এ. হিসাব নং : ১৭৮ ৭৩২ ৯০৬, রাউটিং নং : ০২১০০০০২১ এবং gofundme, Zelle.
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী মরহুম আলহাজ গিয়াস উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ব্রঙ্কসে বাঙালীদের অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র স্টারলিং-বাংলাবাজার এলাকায় ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভাড়া বাড়িতে বাংলাবাজার জামে মসজিদের যাত্রা শুরু হয়। পরের বছরের মাঝামাঝি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার মূল্যে মসজিদের বর্তমান নিজস্ব ভবণটি ক্রয় করা হয়। গত ২০২৩ সালে বাংলাবাজার জামে মসজিদের জন্য ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মসজিদের পার্শ্ববর্তী ৫ হাজার স্কয়ারের খালি জায়গা ১.৫২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্রয় করা হয়।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) ভাইস চেয়ারম্যান (Civic Engagement and Voter Participation ) পদে প্রথম মুসলমান প্রার্থী বাংলাদেশী-আমেরিকান ষ্টেট সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান চন্দন ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে বলেছেন, এখনও সময় হচ্ছে নেতৃত্বে আমার মত লোকের আসার। ট্রাম্পের মত লোকেরা বারবার আসছেন এবং চলেও যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মত বাদামি রংয়ের মানুষেরা, মুসলমানেরা কখনোই এদেশ-সমাজ থেকে চলে যাবো না। বিভিন্ন অঞ্চল ও স্টেটের নেতৃবৃন্দের তুমুল করতালির মধ্যে সিনেটর শেখ রহমান চন্দন আরো বলেন, গত নির্বাচনে ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটল হীলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০দিনের মধ্যে বিজয় নির্দ্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করবো। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুনপ্রতিষ্ঠায় কাজ করবো। এটাই সময়ের দাবি। শেখ রহমান চন্দন আরো উল্লেখ করেছেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূর প্রসারি পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্বকারিরা নীতি-নির্দ্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠির আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সরারচরের সম্ভ্রান্ত এক পরিবারের সন্তান শেখ রহমান চন্দন ২০১৮ সাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া লোকাল সরকারের স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটা হচ্ছে তার চতুর্থ টার্মের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারি এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন। সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন। স্পষ্টভাষী শেখ রহমান চন্দনের স্ত্রী আফরোজা এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনী এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদি।
উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পাশাপাশি সিনেট এবং হাউজেরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছে ডেমক্র্যাটরা। অনেক স্টেটের আসনও হারিয়েছে। এহেন অবস্থায় ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতৃত্বে উদ্যমী-কর্মঠ-মেধাবি এবং ধর্ম-বর্ণ-অঞ্চল নির্বিশেষে সকল আমেরিকানের আস্থা রয়েছে-এমন ব্যক্তিগণের প্রয়োজনীয়তা অনুভ’ত হচ্ছে। সে তাগিদ সম্ভাব্য সকল প্রার্থীর মধ্য থেকেই উচ্চারিত হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩দিনের এই জাতীয় সম্মেলন হবে ম্যারিল্যান্ড স্টেটে ন্যাশনাল হার্বারে। পার্টির চেয়ারম্যান, ট্রেজারার, ভাইস চেয়ারসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি। আরো উল্লেখ্য, প্রথম বাংলাদেশী এবং প্রথম মুসলমান প্রার্থী হলেও ষ্টেট সিনেটর শেখ রহমান চন্দনকে ইতিমধ্যেই ৬ টেরিটরি-সহ অধিকাংশ স্টেটের ডেলিগেটরা সাপোর্ট দিয়েছেন। এরফলে তার নির্বাচনের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাইস চেয়ার পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন কংগ্রেসওম্যান (ওহাইয়ো ) জয়েস বীটি, কংগ্রেসওম্যান নিকেমা উইলিয়ামস (জর্জিয়া), বর্তমান কমিটির ভাইস চেয়ার সাবেক স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান (নিউইয়র্ক) মাইকেল ব্ল্যাক প।
সময়ের প্রয়োজনে চার বছর মেয়াদি (২০২৫-২০২৯) ডেমক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সরগরম শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোও। সচেতন ভোটারেরও অধীর আগ্রহে নয়া নেতৃত্ব প্রত্যাশা করছেন। তেমন একটি আকাঙ্খার পরিপূরক কমিটির চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৮ জন। এর অন্যতম হচ্ছেন ম্যারিল্যান্ড স্টেটের সাবেক গভর্ণর এবং সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার মার্টিন ও’ম্যালি, উইসকনসিন স্টেট ডেমক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান বেন উইকলার, বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ার কেন মার্টিন, ইউএস সিনেট প্রার্থী (ম্যারিল্যান্ড) রবার্ট হোটন, এটর্নী ও রাজনৈতিক বিশ্লেক (ম্যাসেচুসেট্স)জ্যাসন পোল, বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ন্যাট স্নাইডার, ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার টিমে দায়িত্বপালনকারি সংগঠক ও লেখক ম্যারিয়েন উইলিয়ামসন এবং টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির এডজাঙ্কট প্রফেসর কুইনটেসা হ্যাথাওয়ে। ট্রেজারার পদে লড়ছেন অলাভজনক একটি সংস্থার সিইও এবং নর্থ ক্যারলিনা ডেমক্র্যাটিক পার্টির ওরেঞ্জ কাউন্টি শাখার সাবেক চেয়ারপার্সন ম্যাট হাজেজ এবং বিদায়ী কমিটির ট্রেজার ভার্জিনিয়া ম্যাকগ্রেগর। সেক্রেটারি পদেও সরাসরি লড়াই হচ্ছে দু’প্রার্থীর। এরা হলেন নিউজার্সি শ্রম দফতরের সাবেক ডেপুটি কমিশনার ম্যারিলিন ডেভিস এবং বিদায়ী কমিটির সেক্রেটারি জ্যাসন র্যা। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স চেয়ার পদে পুনরায় লড়ছেন বিদায়ী কমিটির চেয়ার ক্রিস কর্গ এবং ডেপুটি চেয়ার ক্রিস্টফার লওই।
অনলাইন ডেস্ক :
কানাডার অন্টারিওতে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স অব অন্টারিও (এবিইও) এর নতুন পরিচালনা পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠান ডেনফোর্থ রোডের বিডি ফিউশন রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মির্জা শহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন
পর্তুগালে বাংলাদেশি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত
ইউসুফ তালুকদারকে প্রেসিডেন্ট করে নতুন পরিচালনা পরিষদে রয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফজলুল করীম, পরিচালক যথাক্রমে মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ, অপূর্ব ভৌমিক, ইফাত আরা, মো. আতিকুল ইসলাম, ড. আবুল বাশার, ফারহাত নাইম খান, কাজী বদিউল আলম লিটন, বিপ্লব কর্মকার, শেখ মোহাম্মদ ইসমাইল, শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সোলাইমান দেওয়ান।
ইফাত আরা এবং মো. বজলুর ভূইয়া মারুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। কেক কেটে অভিষেক উদযাপন করা হয়।
আরও পড়ুন
কিশোরি হেনস্থার মামলায় নিউইয়র্কে গ্রেফতার বাংলাদেশি
উল্লেখ্য, তিন সদস্যের নির্বাচন এ বিইওর নতুন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ এলামনাইর প্রতিনিধিবর্গ উক্ত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট ইউসুফ তালুকদার বলেন, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়নে এই সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরমে পরিণত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজাউর রহমান কানাডায় বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে মূলধরায় অধিকতর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।