চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় হয়েছে ঐতিহ্যবাহী প্রীতি কাবাডি খেলা। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলার মুন্ডপাশা আনোয়ারা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় উজিরপুর পৌরসভা একাদশ ও শিকারপুর একাদশ অংশ নেয়। এতে ১-০ পয়েন্টে উজিরপুর পৌরসভা একাদশকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে শিকারপুর একাদশ। উপজেলার মুন্ডপাশা একতা তরুণ সংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ খেলা উপভোগ করতে হাজির হয় কয়েক হাজার দর্শক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী সুজা। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপুর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মাহবুব ধলু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরকারি শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি কাজী এমদাদুল হক মিলন, বরিশাল জেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ও উজিরপুর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান লিখন, উজিরপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. পনির খান।
হাডুডু টুর্ণামেন্ট পরিচালনা করেন শিকারপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মো. মহাসিন হাওলাদার।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সর্দার সিদ্দিকুর রহমান।
খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে ফ্রিজ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অভিযানে গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) প্রায় একশত পঞ্চাশ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান মাদক ও বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৮৬ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ.এম. জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে বিজিবির মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ১শত ৪৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মাদক ও বিভিন্ন প্রকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। একই সময় এসব মাদক ও চোরাচালানীর সাথে জড়িত ৮৬ জনকে গ্রেফতার এবং ২০ জন পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে হুইস্কি ১০৭৭১ বোতল, বিয়ার ১৭০৮ পিস, ইস্কফ সিরাপ ৩৯১৩ বোতল, গাঁজা ৩৯২০.৯ কেজি, ফেন্সিডিল, ৩৪১৪ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট- ৪৬,০৬৮ পিস, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার শাড়ি ১৭১৬৬ পিস, গরু ৩৩৩ টি, বিভিন্ন প্রকার মোবাইল ফোন ১৯৪৮ টি, মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে ৪৫০৪০ টি, বাসমতি চাল ৩৭৩১৮.৫ কেজি, চিনি ১০,৯৫,৬৭০.৫ কেজি, নেহা মেহেদী ২১৫৮১৫ পিস, জিরা ১৫৬২ কেজি, বিভিন্ন প্রকার চকলেট ১১৭৯৯৮ পিস, বিভিন্ন প্রকার তালা ১৪,২৩৪ পিস, বিভিন্ন প্রকার বাঁজি-৬৩,৯০,০০৯ পিস, বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ ঔষধ সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার কাপড়, কসমেটিক্স সামগ্রী, খাদ্য সামগ্রী, যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশ, মোটর সাইকেল, সিএনজি, বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মাছ ইত্যাদি। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিরাসার দক্ষিণপাড়া সাহেব বাড়ি যুবকবৃন্দের উদ্যোগে বিরাসার দক্ষিণপাড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার পবিত্র ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ দাঃ বাঃ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকবেন উজানী পীর হযরত মাওলানা মুফতী এহতেরামুল হক (উজানী)। প্রধান বক্তা থাকবেন হযরত মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়েমী, ঢাকা। বিশেষ অতিথি থাকবেন নাটাই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওঃ মুফতি বদরুল আলম, বিরাসার দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা ফায়জুর রহমান, বিরাসার ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ। এছাড়াও উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে আরো বহু উলামায়ে কেরামগণ তাশরীফ আনিবেন। উক্ত মাহফিলে উপস্থিত হয়ে দ্বিন ও আখেরাতের অশেষ নেকী হাসিল ও দোয়ায় শরীক হওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন বিরাসার দক্ষিণপাড়া সাহেব বাড়ি মাহফিল পরিচালনা কমিটি।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোরে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সমাপনী শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান। নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় টিএফ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ফরমান খান চৌধুরি ওরফে সৈকত চৌধুরী জেলার মোট এক’শ ২০ জন অংশগ্রহণকারী হাফেজকে নিয়ে ২১ জানুয়ারি থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেন। বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলী দ্বারা পরিচালিত তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতায় বাছাই শেষে ২০ জন অংশগ্রহণকারী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেন।
আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সমাপনী প্রতিযোগিতায় চূড়ান্তভাবে প্রথম বিজয়ী হয় লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হাফেজ ইয়াছিন আলী।
পুরস্কার হিসেবে পান ৫০ হাজার টাকাসহ আকর্ষণীয় আরো পুরস্কার। এছাড়া দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ১০ হাজার টাকা।
অন্যান্য অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য ছিলো ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পুরস্কার।
পরে সমাপনী প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ও প্রধান অতিথী মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
টিএফ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সভাপতি ফরমান খান চৌধুরির সভাপতিতে অনুষ্ঠানে ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান খান চৌধুরি বাবুল ও নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজি আহমদ রফিক বাবসহ জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপারও আলেমগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চার প্রজন্মের ধারাবাহিকতায় নুরুল আবছারও ছিলেন স্কুুল কর্মচারী। তার প্রপিতামহ বাদশা মিয়া, দাদা ছেরাজুল হক, বাবা মুন্সি মিয়া, এরপর নুরুল আবছার কর্মচারী হিসেবে ১২ বছর বয়সে যোগ দেন মিরসরাই উপজেলার শতবর্ষী জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৪৮ বছরের পথচলায় নুরুল আবছার বিদ্যালয়ের শেষ ঘণ্টা বাজিয়ে কর্মজীবনের সম্পাপ্তি ঘটান। শিক্ষার্থীরা তাকে ‘আবছার কাকু’ বলে সম্বোধন করেন, অন্যদিকে শিক্ষকরা ডাকতেন ‘আবছার ভাই’ বলে।
প্রায় পাঁচ দশকের কর্মজীবন শেষে অবসরজনিত কারণে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেন তিনি। একজন কর্মচারীর বিদায় অনুষ্ঠান রাজকীয় হয়ে উঠল বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট সবার মায়া, মমতা, ভালোবাসা আর আন্তরিকতায়। বিদায় সব সময়ই বেদনার। সেই বিদায় বেদনা ছাপিয়ে কখনো কখনো স্মরণীয় হয়ে ওঠে।এই স্কুুলের ইতিহাসে স্মরণীয় এক বিদায় সংবর্ধনা পেলেন নুরুল আবছার।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক নিতাই দাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম, আছিউর রহমান, রেজাউল করিম, তারেক নিজামী, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য আবু সুফিয়ান চৌধুরী, শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, মারিয়া আক্তার, কাজী জান্নাতুল ফেরদৌস হাবিবা, মেহেদী হাসান, তাহসিনা তাবাচ্ছুম তানিশা, বিবি ফাতেমা, ওবায়দুল ইসলাম চৌধুরী।
এ সময় অনুভূতি ব্যক্ত করেন সংবর্ধিত স্কুল কর্মচারী নুরুল আবছারও। তিনি তার বক্তব্যে এমন আয়োজনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংবর্ধনার পূর্বে ঘণ্টা বাজিয়ে নিজের কর্মজীবনের সমাপ্তি ঘটান তিনি।
এরপর স্কাউট দলের সদস্যরা তাকে কাঁধে তুলে সংবর্ধনাস্থলে নিয়ে যান। এক সময় শিক্ষকদের পাশাপাশি এক সারিতে অনুষ্ঠানে বসার সুযোগ না হলেও আজ অনুষ্ঠানের মধ্যমনির আসন অলংকৃত করেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনায় সহকর্মী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অনেকে তার কর্মময় জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন, সবাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
নানা উপহার সামগ্রী, অর্থ সহায়তা দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে সবার মুখে মুখে একটি কথাই ফুটে উঠে, নুরুল আবছার একজন সৎ ও ভালো মানুষ ছিলেন। ভালো আমানতকারী ছিলেন। যুগযুগ ধরে তিনি মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন। কাজের ক্ষেত্র যতই ছোট হোক না কেন, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে মানুষের অপার ভালোবাসা লাভ করা যায় সেটাই প্রমাণ করলেন নুরুল আবছার।
সংবর্ধনা শেষে অনেকটা বরের সাজে নুরুল আবছার ঘোড়ার গাড়িতে করে বিদায় নেন প্রিয় শিক্ষাঙ্গন থেকে। স্কাউট দলের সদস্যরা বাদ্যের তালে তালে এবং বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে তাকে জোরারগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে বাড়ি পৌঁছে দেন। এ সময় অন্য রকম এক আবহ সৃষ্টি হয়।
সকলের ভাষ্য, একজন কর্মচারীর বিদায়ও ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার আবরণে রাজকীয় হতে পারে। তা তার নিজ কর্মগুণেই তিনি অর্জন করেছেন। সমাজের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সেই নুরুল আবছাররা আজীবন বেঁচে থাকুক আমাদের সমাজে।
সংবর্ধিত স্কুুল কর্মচারী নুরুল আবছার বলেন, ‘১৬০ টাকা বেতনে এই স্কুুলে চাকরি শুরু করি। এরপর এক পর্যায়ে ৩ মাস মিলে সরকারিভাবে ৩৬০ টাকা বেতন পেতাম। আজ আমার বিদায়ের মধ্যদিয়ে আমাদের ৪ প্রজন্মের কর্মচারী হিসেবে চাকরি জীবনের সমাপ্তি হলো। আমার চাকরি জীবনে অনেক শিক্ষক, কর্মচারী এই স্কুলে চাকরি করেছেন, চাকরি ছেড়েছেন। তবে আমাকে যেভাবে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে তা আমি আগে কখনো দেখিনি। আমি বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলমসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের স্কুলের সকলের প্রিয় নুরুল আবছার ভাই তার জীবনের বেশির ভাগ সময় এই স্কুুলের জন্য দিয়ে গেছেন। তিনি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই স্কুুলের প্রতিটি ধূলিকণা নুরুল আবছারের অবদানকে স্মরণ করবে। তার অবসরকালীন সময় ভালোভাবে কাটুক এ কামনা করি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের কর্মচারী নুরুল আবছার তার জীবনের মূল্যবান সময়টুকু এই বিদ্যালয়ে কাটিয়েছেন। তার বর্ণাঢ্য বিদায় অনুষ্ঠানের মাঝেও আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এখানে শেখার আছে যে বিষয়টি সেটা হলো ভালো কাজ করলে সততার সাথে চললে তার কখনো না কখনো স্বীকৃতি মেলে। অবশেষে নুরুল আবছারও তার ভালোভাবে কাটানো কর্মজীবনের স্বীকৃতি পেলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে নুরুল আবছার এই স্কুলে কর্মচারী পদে যোগ দেন। আমার খুবই বিশ্বস্ত তিনি। তিনি এতটাই বিশ্বস্ত যে বিদ্যালয়ের সব লেনদেন তিনিই করতেন। অনেক সময় ৮-১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতেন আবার বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে ৮-১০ লাখ টাকা তুলে আনতেন। আমি এই বিদ্যালয়ে পাঠদান করছি প্রায় ১৮ বছর। এর মধ্যে তিনি কখনো ১ টাকাও এদিক-সেদিক করেননি। এ রকম বিশ্বস্ত কর্মচারী আমরা আর পাব কি না জানি না। তিনি বেশি শিক্ষিত না হলেও প্রতিটি ফাইলপত্র অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেখভাল করতেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগাতিপাড়া উপজেলার শেখপাড়া এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির একটি নীলগাই উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টার দিকে শেখপাড়ার একটি পেয়ারাবাগান থেকে নীলগাইটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুস সালামের বাড়ির সামনে সেটিকে বেঁধে রাখা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নীলগাইটি দেখতে ভিড় জমায় আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
নাটোরের বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গাইটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। আমরা রাজশাহী বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আসলে আমরা তাদের হাতে তুলে দেব।