চলারপথে রিপোর্ট :
শ্রীনগরে আদর্শ ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার খাহ্রা-চুড়াইনে আদর্শ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মো. সেলিম খান।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন প্রধান অতিথি ও কলেজের শিক্ষক, আমন্ত্রিত অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শক।
এ সময় অতিথি ছিলেন, কলেজ গভর্নিং বডির বিদোৎসাহী সদস্য আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, দাতা সদস্য গাজী শফিউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান।
প্রতিযোগিতায় ১০টিরও বেশি খেলাধুলা ও অনান্য বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। ‘গোলক নিক্ষেপ ও দৌড় প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল বিশেষ উপভোগ্য।
অনুষ্ঠানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে ২৭ ডিসেম্বর শুক্রবার অচল ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নদী বন্দরের কার্যক্রম। চাঁদপুরে জাহাজে সাত শ্রমিক হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবারও চলছে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের কারণে জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে আটকা পড়েছে মালবাহী কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে পণ্য ওঠা-নামা। এতে বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের শত শত শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বন্দরে সার, রড, সিমেন্ট নিয়ে আসা কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে বিপুল অঙ্কের লোকসান গুনতে হবে।
আশুগঞ্জ নদীবন্দরে প্রতিদিন সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে নদীপথে ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জসহ সারা দেশে যায়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে হরিনা ঘাটের কাছে মাঝেরচর এলাকায় এম. ভি. আল-বাখেরা জাহাজে সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম হত্যাকাণ্ডে মাস্টারসহ সাতজন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার, মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা, সকল নৌপথে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তৈল-গ্যাস, বালুসহ সকল প্রকার পণ্যবাহী নৌযানের শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলার কসবা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।আজ ৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান।
আটককৃতদের মধ্যে তিনজন ভারতে পাচার হচ্ছিল বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। পাশাপাশি পাচারের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়।
পাচার হতে যাওয়ারা হলেন, নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বিজয়পুর গ্রামের উসমান গনির ছেলে সোহাগ মিয়া (২৬), একই জেলার পূর্বধলা থানার বলিয়া কান্দা গ্রামের রহম আলীর ছেলে সাইদুর হক (২৪) ও নেত্রকোনার রানি খং থানার বিজয়পুর গ্রামের উসমান গনির ছেলে মো. হজরত আলী (২৮)।
আটক হওয়া মানব পাচারকারীরা হলো: কুমিল্লার বুড়িচং থানার খারেরা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মো. বিল্লাল (৪৫), একই জেলার বুড়িচং থানার পাহাড়পুর গ্রামের মো. আবদুর সাত্তারের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০)। অভিযানকালে পাচার চক্রের দুই সদস্য পলিয়ে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার রাতে সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ খারেরা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ২০৭১/২ এস থেকে প্রায় ২০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে কুমিল্লার বেলবাড়ী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি অটোরিকশার গতিবিধি সন্দেহ হলে বিজিবির সদস্যরা যানটির গতিরোধ করে। পরে অটোরিকশা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন জন জানান, তারা অবৈধ পথে ভারতে যাচ্ছিল।
লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বুড়িচং থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পলাতক দুই পাচারকারীকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুন্দরগঞ্জে বাদশা মিয়া (৫৫) নামের এক খুচরা সার ব্যাবসায়ীর ঘর থেকে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন পিনুর মোড় থেকে এ সার উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মৃত আবু হোসেনের ছেলে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জসিম উদ্দিন বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। পরে জব্দ হওয়া সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়েছে। ঘর মালিককে না পাওয়ায় কোনো ব্যব্স্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, যতটুকু জানি এ সারগুলো ডিলার ননি গোপাল সরকার এবং মৃত প্রদীপ সরকারের। তাদের গোডাউন সোনারায় ইউনিয়নের ছাইতানতোলা বাজারে এবং আরেকটি গোডাউন রামজীবন ইউনিয়নের ডোমের হাট বাজারে। দহবন্দ ইউনিয়নে কিভাবে এলো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
গাইবান্ধা জেলা বাফার গোডাউনের ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন।
জানা যায়, সারগুলো বিসিআইসি ডিলার ননি গোপাল সরকার উত্তোলন করেন। এরপর ঢাকা মেট্রো ন ১৯-৫৯৮৫ নম্বর ট্রাক যোগে বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়। উদ্ধারকৃত সারগুলো চড়া দামে কালো বাজারে বিক্রি করা হয়েছিল বলে গোপন তথ্যে জানা গেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে ডিলার ননি গোপাল সরকারের ছেলে রিপন বলেন, প্রদীপ চন্দ্র ও আমাদের বরাদ্দকৃত সার একসাথে তোলা হয়। আমাদের বরাদ্দকৃত টিএসপি সার আমরা নিয়েছি এবং প্রদীপ চন্দ্রের বরাদ্দকৃত টিএসপি সার তার ম্যানেজারকে দিয়েছি। সারগুলো এখানে কি ভাবে এলো বিষয়টি প্রদীপ চন্দ্রের ম্যানেজার জয়ন্ত বাবু ভালো বলতে পারবে।
ডিলার মৃত প্রদীপ চন্দ্র সরকারের ম্যানেজার জয়ন্ত বলেন, অন্য কোথাও টিএসপি সার বিক্রি করা হয়নি। তবে আমার গোডাউনে জায়গা না থাকায় পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন দহবন্দ ইউনিয়নের খুচরা সার বিক্রেতা বাদশা মিয়ার ঘরে রাখা হয়েছিলো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল কবির বলেন, বিষয়টি জানার পরে ঘটনাস্থলে যাই। অবৈধভাবে মজুদকৃত ১৩৩ বস্তা টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়। যা এখন আমার জিম্মায় আছে। পরর্বতীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও এ কর্মকর্তা জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তরুণ-তরুণীদের স্বাবলম্বী করতে ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, বান্দরবান ও মৌলভীবাজার জেলার ১৩টি উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল, মুরুং ও মনিপুরী সম্প্রদায়ের ৭৬০ জন অংশ নেন।
৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালকসহ জেলা কমান্ড্যান্ট উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রত্যয়ে দেশব্যাপী চলমান এই প্রশিক্ষণে পূর্বের তুলনায় আরো বেশি সংস্কারমুখী কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে একজন সদস্যকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। নতুন সিলেবাস ও যুগোপযোগী নীতিমালার আওতায় এবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যাতে বাহিনীর সামাজিক উন্নয়নের সকল পদক্ষেপের সুফল হতে কোন জনগোষ্ঠী বাদ না পড়ে।
এতে আরো বলা হয়, দেশের অন্যান্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদেরও এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রশিক্ষণের আওতাধীন সদস্যদের পরে ব্যক্তিগত পর্যায়ে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা এখন থেকে বাহিনীর অন্যান্য কর্মমুখী প্রশিক্ষণ এবং ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক কাজে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মোতায়েন করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে এবার ‘অপারেশনাল হল্ট’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন ইসি কর্মীরা।
কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, আগামী ১৮ তারিখের মঙ্গলবার মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ বাতিল করে এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুর্নবহাল করতে হবে। ১৮ তারিখের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১৯ তারিখ বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপায়ের সকল কার্যালয়ে অর্ধদিবস ‘Operational Halt’ (কর্মবিরতি) কর্মসূচি পালন করা হবে এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবারের মধ্যে আইন বাতিল করে এনআইডি সেবা ইসির অধীনে রাখার বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না পেলে বুধবার তিন ঘণ্টা অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি পালন করা হবে।’
বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অপারেশনাল হল্ট কর্মসূচি চলাকালে এনআইডি সেবা বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান। এর আগে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে সকাল ১১টা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি পালন করছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে আইডিয়া-২ প্রকল্পের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন।
ইসি সচিবালয় ও সারাদেশের অফিসের বাইরেও সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এই কর্মসূচি চলছে। এর ফলে এই দুই ঘণ্টা সারাদেশে বন্ধ থাকছে এনআইডি সেবা।