চলারপথে রিপোর্ট :
‘সমৃদ্ধি কর্মসূচির ভুক্ত কৈশর ও যুব কার্যক্রমের আওতায় মেধা বিকাশ উদ্যোক্তা মেলা ২০২৫’ এর ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার অন্নদা সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে পল্লী কর্মী সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় ও সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্রাকটিসেস (সিদীপ) এর আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ এর পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভিসি প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ সামছুদ্দিন আহমেদ, পিকেএসএফ এর উপ ব্যবস্থাপক পরিচালক ডক্টর ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, সিদীপের নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক এমদাদুল হাসান, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের কার্যকরী সদস্য ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আশেক মান্নান হিমেল প্রমুখ। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যাডমিন্টন খেলা প্রদর্শনী করে।
বক্তারা বলেন, এ ধরনে খেলা এবং উদ্যোক্তা মেলার আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যেই হলো শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো । শিক্ষার্থীরাই হলো আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের মানুষিক বিকাশ ভীষণ জরুরি।
এ সময় অতিথি ও উপস্থিত দর্শকরা খেলা উপভোগ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগীতার উদ্বোধনকালে মোকতাদির চৌধুরী এমপি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগীতা ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০টায় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে খেলা উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, খেলাধূলার প্রতি শেখ কামালের অবদান ছিলো অবিস্মরণীয়। আমরা আশা করি শেখ কামালের আর্দশকে ধারণ করে তরুণ সমাজ মাদক থেকে সরে আসবে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিন ক্রীড়ার ক্ষেত্রে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে নতুন প্রজন্মের তরুনেরা। তিনি বলেন, আশাকরি একদিন অলিম্পিক খেলাতেও দেশের হয়ে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলে-মেয়েরা অংশ নেবে।
দিনব্যাপী প্রতিযোগীতায় জেলার ৯টি উপজেলার ৪শতাধিক শিক্ষার্থী ৩২টি ইভেন্টে এ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামী ধরতে গিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে নারীর কপালে ঠেকানোর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগে প্রবাসীকে ধরতে গিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এমন ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্য দিবসে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নূরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে সদর থানায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের মামলা হয়। এতে অভিযোগ আনা হয়, নূরুল আলম সৌদি আরব থেকে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তির স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি।
এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন। গত শুক্রবার বিকেল ৫টার প্রবাসী নূরুল আলমকে গ্রেপ্তারের জন্য সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস.আই রেজাউল করিমসহ আরো কয়েকজন। এ সময় নূরুল আলমের বাড়িতে তার ভাতিজার সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান চলছিল।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে একদল লোক নূরুল আলমকে খুঁজতে আসে। তারা তাকে না পেয়ে আক্রমানাত্মক হয়ে উঠে। এসময় অনুষ্ঠানে আসা বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তারা নূরুল আলমের স্ত্রী, সন্তান, পিতাসহ পরিবারের লোকজনকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে এস.আই রেজাউল প্রবাসীর স্ত্রী বন্যার কপালে দিকে প্রকাশ্যে পিস্তল তাক করে। পাশাপাশি পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘরে থানা নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা তখন তারা গোয়েন্দা পুলিশ নাকি ডাকাত বুঝে উঠতে পারিনি।
ঘটনার সময় উপস্থিত নুরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম অভিযোগ করেন, সাদা পোশাকে যাওয়া লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করেই তার ভাইকে খোঁজ শুরু করে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা মানতে নারাজ। এ সময় সাদা পোশাকে আসা লোকজন নুরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করে।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণ নিয়ে মামলা হয়েছে। স্বর্ণ আমার ভাই আনেনি। আমার ভাইকে ধরতে হলে কেন আমাদের বাড়িতে এভাবে হামলা হবে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করব। তিনি বলেন, সাদা পোশাকে আসা লোকজন পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসাও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে খোসা কার।
এ ব্যাপারে নূরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বলেন, প্রবাসে আব্দুল কুদ্দুসকে ব্যবসায়ীক অংশীদার না করায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার দিন আমাদের বাড়িতে সুন্নতে খাৎনার অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় ৫/৬ জন সাদা পোশাকে এসে ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে আলমারির চাবি নেয়। এ সময় তারা তল্লাশি করে কিছু পায়নি। কিন্তু আমাদের ঘরে থাকা প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি দেখে চিৎকার করায় শিশু নিশাতের মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। প্রতিবাদ করায় তারা আমার কপালে পিস্তল ঠেকায় এবং ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এস. আই রেজাউল করিম বলেন, বাদী পক্ষ বিষয়টি আমাদেরকে জানালে প্রথমে পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোফাজ্জল আলী একজন কনস্টেবলকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমি যাই। দূর থেকেই ওই বাড়ি চিল্লাফাল্লা শুনছিলাম। আমি যাওয়ার পর তারা খারাপ আচরণ করে। আসামীকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। আমার হাতে পিস্তল ছিলো। তবে কারো দিকে তাক করিনি। কাউকে মারধর করা হয়নি। আমাদের টার্গেট যেহেতু আসামী ধরা সেহেতু সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি। যে কারণে তখন আমরা অ্যাকশানে যাইনি। সদর উপজেলা বিশ্বরোড এলাকার বাদী এসে বাড়িতে আসামীর অবস্থানের কথা জানালে সেখানে যাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। যারা প্রবাসীর বাড়িতে গিয়েছিলেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তদন্ত কাজ শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দিব।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো অফিসার যদি আসামী ধরতে গিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। আমরা বিষয়টির গভীরভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্য দিবসে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে এর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের আধুনিকায়ন মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সুফিয়ান, ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন, সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সারওয়ার আলমসহ চিকিৎসকগন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, মেডিকেল পড়াশুনার জন্য যুগোপযোগী সকল কিছু অপরিসীম। আধুনিকায়ন ব্যতীত মেডিকেল কার্যক্রমে অসমাপ্তি রয়ে যায়। তাই সকল বিভাগের আধুনিকায়নই একান্তই প্রয়োজন। এ সময় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান বলেছেন, সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা। সময় কিন্তু আমাদের জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। সময়কে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বেশি বেশি পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আয়োজিত দিনব্যাপী সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মরত সহায়ক কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আত্মোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পেশাগত বা ব্যক্তিগত জীবনে একটি লক্ষ্যে থাকতে হবে। আমরা এ লক্ষ্যেকে ভয় না করে জয় করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আজকে যারা প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তারা প্রশিক্ষণের জ্ঞানকে ব্যবহার করে বিচার প্রার্থী জনগণের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের একটাই উদ্দেশ্যে। আমরা চাই বিচার প্রার্থী কোন ব্যক্তি আমাদের মাধ্যমে যেন অবহেলিত না হয়। আমরা অফিসের শৃংখলাকে বজায় রেখে কাজ করে যাবো।
এসময় সরকারি চাকুরী আইন, সরকারি কর্মচারী শৃংখলা ও আপিল বিধিমালা এবং সরকারি কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিতি নিয়ে সকল প্রশিক্ষণার্থী উদ্দেশ্যে বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিউল আলম, ফৌজদারি মামলার বিধিমালা নিয়ে বক্তব্যে রাখেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এবং মাদক সেবনে বিভিন্ন রোগব্যাধি নিয়ে বক্তব্য রাখা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী ও রোকেয়া আক্তার। এ সময় কর্মরত সহায়ক কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ মিনিটের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করেন। পরীক্ষায় বেঞ্চ সহকারী আলমগীর চৌধুরী ১ম স্থান, তুলনা সহকারী কাউছার আহমেদ ভূঁইয়া ২য় স্থান, প্রধান তুলনা সহকারী রায়হানা খানম ৩য় স্থান, মোঃ শহীদুর রহমান ৪র্থ স্থান এবং ডেসপাস সহকারী মোঃ মহিবুর রহমান ৫ম স্থান অর্জন করেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৮তম শিশু মেধাবৃত্তি ও শিশু মেলা আজ ০১ মার্চ বুধবার অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, বুদ্ধিজীবী ও ইতিহাসবিদ, সাবেক সচিব সিরাজ উদদীন আহমেদ। মেলা উদ্বোধন করেন বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডঃ আবদুল মান্নান চৌধুরী।
চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সভাপতি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিশু মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোঃ ইকবাল হোসেন। বক্তব্য রাখেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন ও কসবার ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব সিরাজ উদদীন আহমেদ বলেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের দেশের কর্ণধার। তারাই দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই শিশুদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি প্রতিযোগীতা দেশের একটি মডেল। তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে তৈরী করতে পারবে। তিনি এই মেধাবৃত্তি চালু করায় আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা শেষে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির নগদ টাকা ও সাটিফিকেট তুলে দেয়া হয়। চিনাইর শিশু মেধাবৃত্তি ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭৭৮ জন শিক্ষার্থী (প্রথম শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনী) মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৯৮জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়। এদের মধ্যে ৫৭জন ট্যালেন্টপুলে, ১৩৬জন সাধারণ গ্রেডে ও উপজেলা কোটায় ৫জন বৃত্তি পায়।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে নগদ ৩ হাজার টাকা, সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তদেরকে নগদ ২ হাজার ৫০০টাকা ও উপজেলা কোটায় বৃত্তিপ্রপ্তদেরকে নগদ ১হাজার ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।