চলারপথে রিপোর্ট :
নওগাঁর পত্নীতলায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের দাবি, এটি নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা। ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার মধুইল মানসী ও নকুচা এর মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
পত্নীতলা থানার ওসি এনায়েতুর রহমান জানান, প্রায় রাত ১২টার দিকে নওগাঁ-সাপাহার সড়কে গাছ ফেলে সড়ক আটকায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় রাজশাহী থেকে সাপাহারগামী একটি বিআরটিসি বাস আটকায় তারা। সেখান থেকে বেশ কিছু মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়। পরে স্থানীয়দের মারফতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় কাউকে চিহ্নিত করা যায়নি। মামলাও হয়নি। ঘটনার পর পরই সড়কে যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকা পরে কারাভোগ শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরে এসেছে। আজ ১৫ মে বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশী নাগরিকরা। দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হয়ে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৮/৯ মাস কারাভোগ করেছেন তারা।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকৃতরা হলেন কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো: ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমদ্দার, রাজশাহীর মো: আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মোঃ আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ রুহুল আমিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ , আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মোঃ মুখলেছুর রহমান, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মোঃ শিহাবুল হোসেন প্রমুখ।
ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্টেন্ট ওমর শরীফ বলেন, বাংলাদেশী নাগরিক ৭/৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। পরে আমরা জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানাই পাঠাই। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিগকে আমরা প্রত্যাবশনের ব্যবস্থা করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৫৮ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা। আজ ১৯ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত ৩দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত ৩দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭০,৬০০ টি বাঁজি, ৯৪৫ কেজি চিনি, ২৭০ কেজি বাসমতি চাউল, ২৫,২০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১ টি কাভার্ড ভ্যান, ৯৭ বোতল হুইস্কি, ৯৪ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১২৮৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
অসচ্ছল পরিবারের ৪০ কিশোরী পেলেন সেলাই মেশিন। আত্মকর্মসংস্থান ও যৌতুকবিরোধী প্রকল্পের আওতায় অসচ্ছল কিশোরীদের স্বাবলম্বী করার জন্য গাইবান্ধার ৪০ কিশোরীকে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন। দীর্ঘ চার মাস সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তাদের দেওয়া হয় এসব সেলাই মেশিন।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ফোরাম-৮৬’র ইউএসএ অর্থায়ন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্মীরহাতের সহযোগিতায় গাইবান্ধা সদর ও সাদুল্লাপুর উপজেলায় দুটি কেন্দ্রে ৪০ কিশোরীকে কাটিং-সুইং, এমব্রয়ডারি, ব্লক এবং শো-পিস তৈরির চার মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধা-সাদুল্লাপুর সড়কে কর্মীরহাত কার্যালয়ে ওই কিশোরীদের মাঝে সনদপত্র ও নগদ অর্থ সহায়তাসহ সেলাই মেশিন তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথি সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম হুদা।
এ সময় এটিএম ফরাদ হোসেন, জাহিদুল হক লিটন, সাইদুর রহমান বাবু, লতিফ হক্কানি, কে এম রেজাউল হক, আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
‘কিডনি রোগ জীবননাশা- প্রতিরোধই বাঁচার আশা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক কিডনি দিবস পালিত হয়েছে। আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ওয়ারেজ কুরনী। র্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল ক্যাম্পস কিডনি এন্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের মেডিকেল অফিসার ডা. আবিদ আল আজাদ, শাখার সিনিয়র ম্যানেজার মামুন উর রশিদ তালুকদার, শাখা ব্যবস্থাপক মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করে চিকিৎসার মাধ্যমে মরনব্যাধি কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা য়ায়। তাই সকলকেই কিডনি চেক করার আহবান জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রায় জনস্রোত নেমেছে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের তিস্তা সড়কসেতু থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রার জনস্রোত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে পথযাত্রায় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। তিস্তা সেতু থেকে পথযাত্রাটি রংপুরের কাউনিয়ায় আসে। তখন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসার নেতৃত্বে বিএনপির রংপুরের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যানার–ফেস্টুন নিয়ে শিশু, কিশোর, নারী ও পুরুষেরা অংশ নেন।
লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু ইয়াহিয়া ইউনুস বলেন, বৃহত্তর রংপুরের কৃষি অর্থনীতি তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন ভারত পানি দেয় না। যখন প্রয়োজন নেই, তখন পানি ছেড়ে দিয়ে ফসল নষ্ট করে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে রাজপথে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। শুধু একটি রাজনৈতিক দলের নয়, এখানে সর্বদলীয় মানুষ অংশ নিয়েছে।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিন কিলোমিটার দূরে কাউনিয়া উপজেলায় গিয়ে পথযাত্রা পৌঁছায়। সেখান থেকে আবার তিস্তা সেতুর দিকে গিয়ে শেষ হয় এই পদযাত্রা।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে একসঙ্গে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি নদীপারের হাজারো বাসিন্দা কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচিতে যোগ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ গণপদযাত্রা শেষে তিস্তার পানিতে নেমে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও সংগীত পরিবেশন করা হয়। বিকেল পাঁচটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিস্তাপারের ১১টি স্থানে অবস্থান কর্মসূচিতে ভার্চ্যুয়াল যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গঙ্গাছড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদীর নেতৃত্বে একটি গণপদযাত্রা হয়। হাদি বলেন, এটি গণমানুষের দাবি সবাইকে একাত্মতা প্রকাশ করে এ দাবিতে সমনেত হওয়া প্রয়োজন। তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে উত্তরের জীবনমান এমনটাই মনে করেন এই চেয়ারম্যান।