অনলাইন ডেস্ক :
ফুলবাড়ীতে পিকনিকের বাস উল্টে ১৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউনয়নের পূর্ব মহেশপুর (ব্রহ্মচারী) নামক এলাকায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রবিবার নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার গনেশপুর গ্রাম থেকে ৬০জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস পিকনিকের উদ্দেশ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফুলবাড়ীর পূর্ব মহেশপুর (ব্রহ্মচারী) এলাকায় পৌঁছালে সেখানে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে একই দিক থেকে যাওয়া একটি মাইক্রো এবং একটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় সামনের চাকার হুইলসেল ভেঙে যায়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাসটি সড়কের পার্শ্বে ফসলি জমিতে উল্টে পড়ে যায়। এসময় যাত্রীবাহী পিকনিকের বাসে থাকা ১৬ জন যাত্রী আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এর মধ্যে বারিকুল ইসলাম ( ২৮) এবং আকরাম হোসেন (৩৯) নামে দুইজন যাত্রী গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএকেএম খন্দকার মুহিব্বুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনায় কিছু লোক আহত হয়েছে। তবে কেউ নিহত হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চালক ও তার সহযোগি পালিয়ে গেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
স্ট্রোকের রোগী নাজমা বেগমের (৫০) শরীরে পরপর চারটি ইনজেকশন দেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে এ ঘটনার পর আক্তার হোসেন ও ইদ্রিস চৌধুরী নামে দুই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এদের মধ্যে আক্তার হোসেন নাজমা বেগমের সাবেক স্বামী। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আক্তার হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশদনা গ্রামে। অপর ব্যক্তি ইদ্রিস চৌধুরীর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। তারা দুইজন চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় থাকতেন। ইদ্রিস নিজেকে পল্লী চিকিৎসক দাবি করে নাজমার শরীরে ইনজেকশনও দিয়েছিলেন। যদিও তিনি এ সংক্রান্ত কোনো সনদ পুলিশকে দেখাতে পারেননি।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি নাজমা স্ট্রোক করার পর তার শরীরের একপাশ অচেতন হয়ে যায়। পরে তার বর্তমান স্বামী সাহাব উদ্দিন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর চিকিৎসকের পরামর্শে নাজমা হাসপাতাল ছেড়ে যান। এরপর থেকে তিনি ফৌজদারহাটে তার বোনের বাড়িতে থাকছিলেন।
শনিবার দুপুরে আক্তার হোসেন ইদ্রিস চৌধুরীকে নিয়ে নাজমার বোনের বাড়ি যান। এরপর চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া ইদ্রিস চৌধুরী নাজমার শরীরে পরপর চারটি ইনজেকশন পুশ করেন। পরে নাজমার মৃত্যু হলে স্থানীয়রা অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নিহত নাজমার স্বামী সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। নাজমার লাশ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অনলাইন ডেস্ক :
নেত্রকোনা-মদন সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে কামরুজ্জামান কামাল (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে আটপাড়া উপজেলার অভয়পাশা চৌরাস্তা কৃষ্ণপুর এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুজ্জামান কামাল আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের শ্রীরামপাশা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সা পাঁচজন যাত্রী নিয়ে মদন দিকে যাচ্ছিলো। এ সময় মদন থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রীরা আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দু’জন হাসপাতালে ভর্তি।
আটপাড়া থানার ওসি মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে, চালক পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় আজ ২৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বাসচাপায় এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর লিচুবাগান গ্রামের মো. আবদুল হোসেনের ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নামাতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক মারা যান। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ড্যাব সিরাজগঞ্জ জেলা শাখর উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং জিয়া পরিষদ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা উদ্যোগে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে এ কর্মসুচি তিনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সহধর্মিনী সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ। এসময় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, শ্রী অমর কৃষ্ণ দাস, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ড্যাব সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা: আব্দুল লতিফ, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা নোমান আলাল ও সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সেরাজসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
প্রতিযোগিতা ও রক্তদান কর্মসূচিতে শতাধিক যুবক ও শিশু-কিশোর অংশগ্রহন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাঙামাটি রিজিয়ন টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে ভোলকান ক্লাব বিজয়ী হয়েছে। রাঙামাটি রিজিয়নের পৃষ্টপোষকতা ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় মারি স্টেডিয়ামে আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ২টায় এ টুর্ণামেন্টে বিজয়ীদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেন রাঙামাটি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শওকত ওসমান।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ’র সভাপতিত্বে এতে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমীন, রাঙামাটি সদর সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্ণেল এরশাদুল হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের লে. কর্ণেল মো. মাহাতাব, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ মামুন ও রাঙামাটি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি রিজিয়ন টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টকে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত করে মোট- ২০ দল অংশগ্রহণ করেন। এরই মধ্যে ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভোলকান ক্লাব ও আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ। অবশেষে আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ভোলকান ক্লাব। এ সময় চ্যাম্পিয়নদের ট্রফির পাশাপাশি নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। একই সাথে রানার আপদের দেওয়া হয় ট্রফিসহ নগদ ৪০ হাজার টাকা।
এছাড়া সেরা বোলারকে ৫ হাজার, সেরা ব্যাটসম্যানকে ৫ হাজার ও ম্যান অব দ্যা সিরিজকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।