চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে জিওবি খাতের আওতায় “শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামুলক প্রচার কার্যক্রম” (জানুয়ারি – মার্চ ২০২৫) প্রান্তিকে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখাউড়া উপজেলার বনগজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বনগজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবু জাফর।
উপস্থিত ছিলেন বনগজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস বলেন, জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কোন কারণে যদি রাষ্ট্রের জনগণ মাদকের দিকে আসক্ত হয় তাহলে সে রাষ্ট্র ধ্বংস হওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই। তিনি আরো বলেন, অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই ও রাহাজানি ইত্যাদি তার মূলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চায়, তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত উঠান বৈঠক অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৫০ লাখ টাকার বেশি ভারতীয় আতশ বাজি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে পৌর এলাকার তারাগন থেকে এসব বাজি উদ্ধার করা হয়।
এ সময় পাচার কাজে ব্যবহার হওয়া একটি পিকআপ ভ্যানও জব্দ করা হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন আখাউড়া কোম্পানি সদর বিওপি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডর কাজী ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালানোর সময় ভোররাত পৌণে চারটার দিকে একটি পিকআপকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। এ সময় পিকআপ ফেলে এর চালকসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে নম্বরবিহনী ওই পিকআপ থেকে ২৪ বস্তায় থাকা ৭৮ হাজার ৭০ পিস ভারতীয় আতশ বাজি উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য প্রায় ৫১ লাখ টাকা। উদ্ধার হওয়া আতশ কাস্টমসে জমা দেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গত ২৪ ঘণ্টায় মাদক ব্যবসায়ী, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকা ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তসহ ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে মাদক ব্যবসায়ী ৩ জন, গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ৩ জন ও আবাসিক হোটেল থেকে ৩ জন রয়েছেন। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫৫ বোতল স্কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে, থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জের মাধবপুরের পিয়াম গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আলম, আখাউড়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে তিশা আক্তার, ময়মনসিংহের ফুলপুরের ছোট শুনোই গ্রামের রুকন মিয়ার স্ত্রী শান্তা, উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত আওয়াল মিয়ার স্ত্রী রওশনা বেগম, উত্তর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত হামদু মিয়ার ছেলে মো. সোহেল মিয়া, পৌর এলাকার দুর্গাপুরের শামীম মিয়ার ছেলে মো. আরিফ মিয়া, তারাগন এলাকার শিপন মিয়ার স্ত্রী রুমা আক্তার, মনিয়ন্দ এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আবুল বাশার ও একই গ্রামের মৃত অলেক মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের মাধ্যমে গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল হাসিম বলেন, বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্তসহ ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে। যেকোনো মূল্যে অপরাধ নির্মূল করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া খড়মপুরের প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ্ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ্য শাহ্পীর কেল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের ৭ দিনব্যাপী বাৎসরিক ওরশ মোবারক আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে।
১৪ আগষ্ট সোমবার দিবাগত রাত ১২ টায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ আগস্ট ওরশের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
উরশ উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত চলবে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
এছাড়া মাজার শরীফে আগত ধর্মপ্রাণ মানুষ ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটান। আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া পাঠ করেন। ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় মাজার এলাকায়। প্রতিদিন ভক্ত-আশেকান মেহমানদের মাঝে তবারুক বিতরণ করা হয়।
মাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরেরও ন্যায় এবছরও শান্তিপূর্ণ ভাবে ওরশ উদযাপনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। মাজার শরীফের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। নৌপথের নিরাপত্তায় নৌকা যোগে পুলিশ টহল দিবে। মাজার সংলগ্ন রেল লাইনে রেলওয়ে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
প্রায় ২’শ খাদেম যুবকরা স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে ভক্ত-আশেকানদের খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। তাৎক্ষনিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য থাকবে মেডিকেল টিম। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে ওরশকে কেন্দ্র করে মাজার এলাকায় মাস ব্যাপী মেলা বসেছে। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেতের আসবাবপত্র, কসমেটিক্স, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম (মিন্টু) বলেন, সুষ্ঠুভাবে ওরস উদযাপনে সব ধরনের প্রস্তটি নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ওরশ উদযাপনের লক্ষ্যে নিরাপত্তামূলক সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অফিসারসহ ৬শতাধিক পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিবে। নিরাপত্তার কোন ঘাটতি হবে না। আশা করি বিগত বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে উরশ সম্পন্ন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে স্মরণসভায় রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজলা পারভীন রুহির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাতবরনকারী শিশু জাবিরের বাবা কবির হোসেন ভূইয়া, চোখে গুলিবিদ্ধ আহত ছাত্র সামি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো: হিমেল খান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জয়নাল আবেদীন আব্দু, পৌর বিএনপির আহবায়ক মো. সেলিম ভূঁইয়া, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো: ইকবাল হোসেন, সেক্রেটারী মো: বোরহান উদ্দিন হান্নান খাদেম, আলহাজ্ব মো: বিল্লাল হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগ এবং তাদের পরিবারের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন আসলে ‘ছাত্র-জনতার এই আত্মত্যাগ জাতির জন্য হলো একটি অনুপ্রেরণা। তাদের স্মরণে আমাদের প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির জাতীর কল্যাণে সমাজের জন্য কাজ করতে হবে।
শহীদদের স্মরণ করতে হবে। তাদেরই যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ জাবেরের বাবা তুলাই শিমুল গ্রামের কবির হোসেন ভূইয়া তার ছেলের স্মরণে আখাউড়া থেকে তুলাই শিমুল পর্যন্ত শহীদ জাবিরের নামে সড়কের নাম করণ করার দাবি জানান।
পরে জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুথানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও আহদদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করে মাওঃ কেফায়েত উল্লাহ।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
লাইসেন্স দেখাতে না পারায় ৮ স্বর্ণ ব্যবসায়িকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফয়সল উদ্দিন।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন জানায়, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পৌরসভার সড়ক বাজার এলাকার স্বর্ণের দোকান গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় ডিলিং লাইসেন্স দেখাতে না পারায় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ি রঞ্জিত বনিক, অসিম কুমার বিশ্বাস, রঞ্জিত পাল, আসিম পাল, কাজল চন্দ্র দাস, সুমিত বনিক, প্রদীপ সাহা, নান্টু বনিক নামে ৮ জন ব্যবসায়িকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফয়সল উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ব্যবসায় অনিয়ম ধরা পড়লে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।