চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সুমন মিয়া (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নুরপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দীন জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে সুমন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর আখাউড়া থানায় দায়ের হওয়া নাশকতা মামলায় তিনি এজাহার নামীয় আসামি। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখার লক্ষ্যে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসন। সমাবেশে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইমাম-পুরোহিত সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক’ শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী, ধরখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ্বজিত পাল বাবু, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা কাজী মাইনুদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের সার্ভার সচল হয়েছে। ২৭ ঘন্টা পর আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দিলে সাময়িক সময়ের জন্য যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১টার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। এসময় প্রচুর যাত্রী আটকা পরে। হাতে লিখে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করতে অনেক পরিশ্রম হয় ইমিগ্রেশন কর্মীদের। তবে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে আসে।
জানা যায়, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে ৩টি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এরমধ্যে ২টি ডেস্কে বহিঃগমন এবং ১টি আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে সার্ভারে জটিলতা দেখা দিলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী আটকে পরে। এতে নারী শিশু সহ রোগীরা বেশি কস্ট করে। তীব্র গরমের অতিষ্ঠ হয়ে পরে যাত্রীরা। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় ও বসার মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় বেশি। পরে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে রাতেই ইঞ্জিনিয়ার এসে সার্ভার মেরামতের কাজ শুরু করে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সার্ভারে জটিলতার বিষয়টি অবগতি করি। রাতেই ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার কিছু পরে সার্ভার সচল হয়। উল্লেখ্য, আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার পর্যটক আসা-যাওয়া করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের সব কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। ২০ মে শনিবার যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ও জেলা যুবলীগকে না জানিয়ে ঘোষণা করা পাঁচ ইউনিয়ন কমিটি বাতিল করে পূর্বের কমিটি পুনর্বহাল করা হয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রের অনুমতি ব্যতীত গঠনতন্ত্র বিরোধী, ভিত্তিহীন, অনৈতিক ও আখাউড়া পৌরসভা, উত্তর ইউনিয়ন, দক্ষিণ ইউনিয়ন, মনিয়ন্দ, মোগড়া ও ধরখার ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলা যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অবগত নন।
গঠনতন্ত্রের ২৩ ধারা মোতাবেক যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে আখাউড়া উপজেলায় নিয়মবহির্ভতভাবে আখাউড়া পৌরসভা ও পাঁচ ইউনিয়ন কমিটি বাতিল করে পূর্বের কমিটি পুনর্বহাল করা হলো।
এরআগে, ২ মে শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, যুগ্ম-আহ্বায়ক এ কে এম আতাউর রহমান নাজিম ও আব্দুল মমিন বাবুলকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্তসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন মোছাঃ সেলিনা বেগম একজন মামলাবাজ।
বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা ও সাবেক সভাপতি আবুল বাশার ওরফে মোঃ মোবারক হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়ে হয়রানি করছেন তিনি। মামলার মানসিক চাপে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেন গত ১০ জুলাই স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করেছন। বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পড়ালেখার সুুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্ত করে অবিলম্বে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সেলিনা বেগমের বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সেলিনা বেগম কথায় কথায় মামলা করে দেয়। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। মানসিক চাপে মোবারক হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আমিসহ কয়েকজন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা মামলা সামলাবো নাকি পাঠ দান করাবো।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নিহত মোবারক হোসেনের মেয়ে রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা বিদ্যালয়ের একজন ভূমিদাতা। সেলিনা বেগম আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মানসিক চাপে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি সেলিনা বেগমের বিচারচাই।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের তৎকালীন ম্যনেজিং কমিটি বিভিন্ন অভিযোগে গত ৫ জুলাই মোছাঃ সেলিনা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এরপর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে। গত সোমবার তিনি বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ দেখায়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
ভারত থেকে ৯৫৮ টন রডের প্রথম চালান আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় নেওয়া হয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে করে রডগুলো আগরতলা স্থলবন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাটা স্টিলের ৯৫৮ টন রড এমভি বোলকার নামের একটি জাহাজে গত ৭ জানুয়ারি কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে লোড করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় জাহাজটি আশুগঞ্জ বন্দরে এসে নোঙর করে। পরে আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে সড়কপথে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এগুলোর সিঅ্যান্ডএফের দায়িত্বে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আক্তার হোসেন জানান, আশুগঞ্জ নৌবন্দরে জাহাজ থেকে ট্রাকযোগে আখাউড়া স্থলবন্দরে আনা হয়। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার দুপুর থেকে রডগুলো ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বন্দরে খালাস করা হয়।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার আগরতলার মেসার্স এসএম করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য রডগুলো নেওয়া হচ্ছে।
আখাউড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম জানান, ইন্দো-বাংলা প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের আওতায় এ পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। বন্দরে রক্ষণাবেক্ষণ বন্দর মাশুলবাবদ ৩০৫ টাকা ২২ পয়সা ট্রাকপ্রতি পাবে।