চলারপথে রিপোর্ট :
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী নেত্রকোনার আয়োজনে আজ সকালে শহরের মোক্তারপাড়া পাবলিক হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ২৮ জন আনসার সদস্যকে সাইকেল, চারজন নারীকে সেলাই মেশিন এবং ৪০ জনকে ছাতা প্রদান করা হয়েছে।
সমাবেশে নেত্রকোনার জারিয়া ২৬ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ আছলাম সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।
এর আগে, প্রধান অতিথি সকলকে সাইকেল, সেলাই মেশিন ও ছাতা উপহার হিসেবে তুলে দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার পৌরসভার সমিতিপাড়ায় অস্ত্রের মুখে ৩ পর্যটককে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ মালামাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৬ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেফতারের পাশাপাশি লুটের মালামালও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার ভবানীপুরের বড় হাতিয়া গ্রামের ফাহিম রাজ (২২) ও স্কুলরোড এলাকার শহিদুল ইসলাম (২২), কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া কালুরদোকান এলাকার শাখাওয়াত বিন কাইয়ুম ওরফে আকাশ (২৭), বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন চৌধুরীপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (১৯), সমিতিপাড়ার সৈয়দ নুর (২০) ও মো. জিসান (১৯)।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া রাস্তারমুখে (বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের পাশে) হৃদয় (২১), তারেক আজিজ (২৩) ও সাজ্জাদ মজুমদার ওরফে শুভ (২২) নামের তিন পর্যটককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সশস্ত্র ছিনতাইকারীদের একটি দল। ওই সময় পর্যটকেরা শহর থেকে সড়কপথে সমুদ্রসৈকতের দিকে যাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে একটি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকে চেপে সেখানে আসেন ছিনতাইকারীরা। সেখানে তাঁরা তিন পর্যটককে জিম্মি করে নগদ ২ হাজার ৭০০ টাকা, একটি আইফোনসহ দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কক্সবাজার মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন পর্যটককে উদ্ধার করলেও ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল, পাইপ রেঞ্জ, চাকু, প্রায় ৬০ ইঞ্চি লম্বা লোহার চেইনসহ একটি ইজিবাইক ও নম্বরবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। সেই সাথে পর্যটকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মুঠোফোন দুইটিও উদ্ধার করা হয়।
ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, গ্রেফতার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। সমুদ্রসৈকতের ঝাউবাগান ও সৈকতে নামার বিভিন্ন সড়কে ছিনতাইকারীরা ওৎ পেতে থাকে। তাঁরা সুযোগ বুঝে পর্যটকদের মালামাল লুট ও ছিনতাই করে।
অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর শিবপুরে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ মামলার আসামী নারায়ণ চন্দ্র পালকে (৬০) গ্রেফতার করেছে র্যাব ১১। আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে নরসিংদীর আলীজান জুট মিলে র্যাবের কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, র্যাব ১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং থানার কংশনগর গ্রামে আসামীর মেয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার নারায়ণ চন্দ্র পাল (৬০) শিবপুর থানার কুন্দারপাড়া এলাকার কুমার বাড়ির মৃৃত সুভাষ চন্দ্র পালের ছেলে।
র্যাব ১১ এর নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম জানায়, গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে শিবপুরের কুন্দারপাড়া গ্রামে মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী বাড়ির পাশে গাছ থেকে আম পাড়তে যায়। এসময় একই এলাকার নারায়ণ চন্দ্র পাল (৬০) ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে পাশের ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরীর চাচী ঘটনা দেখে ফেললে নারায়ণ চন্দ্র পাল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা থানায় মামলা করেন। কিশোরীকে ধর্ষণের পর হতে আসামী নারায়ণ চন্দ্র পাল পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার কংশনগর পশ্চিম বাজার এলাকার মেয়ের বাড়ি হতে নারায়ণ চন্দ্র পালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে শিবপুর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ৯৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পাগলাবাড়ি ক্যানেলপাড় ভাই ডাই চুন কারখানার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৪) ও মোঃ সালমান (২৪)।
পুলিশ জানায়, রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই গাজী মাহতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল থানাধীন পাগলাবাড়ি ক্যানেলপাড় ভাই ডাই চুন কারখানা একালায় অভিযান চালায়। এ সময় রফিকুল ইসলাম ও সালমান নামে মাদক কারবারি দ্বয়কে আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে হেফাজতে থাকা ৯৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে এবং মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি অ্যাপাচি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী তারা মার্কেট এলাকার মোঃ ইসমাইল হোসেনের ছেলে এবং মোঃ সালমান একই থানার মিজমিজি পূর্ব পাড়া এালাকার মোঃ আমিনুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শাহিনূর আলম জানান, ৯৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বন্ধুদের নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে গিয়ে তিন তলা ছাদ থেকে পড়ে এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।নিহত ওই স্কুলছাত্রের নাম ইসতিয়াক হোসেন (১৬)। সে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুর মহল্লার ইকবাল হোসেন বাবুর ছেলে এবং বনপাড়া সেন্ট যোশেফস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর শহরের অফিসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইকবাল হোসেন বাবু জানান, ইসতিয়াক থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের জন্য তার বন্ধু অনির বাড়ি পৌর শহরের অফিসপাড়ায় যায়। সেখানে অনির দাদা শফিউল্লাহ ওরফে শফি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির তিন তলায় বন্ধুদের সাথে গান-বাজনা ও খাবারের আয়োজন করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইসতিয়াক পাশের ছাদে যাওয়ার জন্য লাফ দিলে পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। পরে তার বন্ধুরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সরল মুরমু জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম। এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ঘুষ নেওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে (এস.আই আমিনুল) সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারে ধারণ করা এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন। এই ভিডিওটি ধারণ করেন মামুন হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন