চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ছাত্র-জনতা উদ্যোগে “এসো নবীন রুখে দাঁড়ায়” ধর্ষণকারীর কোন দল নাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে গণহারে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ছাত্র জনতা ব্যানারে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি উপজেলা বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরাইল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষকের কোনো পরিচয় নাই, যে দলের হোক তার টাই বাংলাদেশে হবে না। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্র জনতা সরাইল উপজেলা সারাদেশের বৈষম্যর বিরুদ্ধে ড্রাইরেক অ্যাকশনে গিয়েছি। আমরা যেখানে পাই প্রতিকার চেয়ে প্রতিরোধ করব। এখন আমরা দেখছি যে ধর্ষককারী তার কোন শাস্তি হয় না। কিন্তু যে ধর্ষককারীকে হত্যা করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়। আমরা অতি সত্যে আমাদের উপদেষ্টাকে বলবো আপনারা যদি ছিনতাই, ধর্ষণকারী, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. ইফরান খান, আলিফ মাহমুদ নাহিদ, আল-আমিন, রিয়াদুল ইসলাম, মৃদুল, সাইফুল, আমিরুল, আরাফ, তামিম, সানিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলায় জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরামের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ একরামুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন, সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক আলমগীর মিয়া, সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান মোল্লা, সাংবাদিক আল মামুন খান, সাংবাদিক ফয়জুল কবির, সাংবাদিক রিমন খান প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিন পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি ও জেজেডি ফ্রেন্ডস ফোরামের উপদেষ্টা সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে ইমরানা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী-শাশুড়ি। বুধবার রাত ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে স্বামী-শ্বাশড়িসহ ননদ-ননদী পালিয়ে যায়।
ইমরানা বেগম উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন রানীদিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল কাহারের মেয়ে ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ইমরানাকে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এভাবেই দীর্ঘ ১০ বছর সংসার চলে। গত বুধবার বিকালে তুচ্ছ কথাকাটাকাটি নিয়ে শ্বাশুড়ি, ননদ ইমরানাকে মারধর করে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরানা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যায়।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে বেশ কদিন ধরে নির্বাচনী প্রচার কাজে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই সংসদ সদস্য। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে আজ ২৯ জানুয়ারি রবিবারও জনসভায় অংশ নেন তারা। ওই দুই সংসদ সদস্য হলেন র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও উম্মে সালমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ।
বিকেলে সরাইল উপজেলার অরুয়াইলে উকিল আবদুস সাত্তারের জনসভায় অংশ নেন তারা। আবদুস সাত্তার সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে স্থানীয় কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় সভাপতিত্ব করেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবু তালেব।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমানের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। নির্বাচনী সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর আসনের সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী তার বক্তব্যে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে উকিল আবদুস সাত্তারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাত্তার সাহেব চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তাই নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে এবং আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে সমর্থন করি। তাই আপনাদের পাশের উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে আপনাদের কাছে দাবি নিয়ে এসেছি, আবদুস সাত্তারকে উপনির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, বিএনপি উকিল আবদুস সাত্তারকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তারেক জিয়া তার সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। তার সঙ্গে এখন আর বিএনপি নাই। প্রধানমন্ত্রী তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমর তারা পাশে আছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে সাত্তার সাহেবের পক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নামার জন্য। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এসেছি। তাই ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে আবদুস সাত্তারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সাত্তার সাহেবের অপমানের এবং তারেক জিয়ার বেয়াদবির জবাব দিতে হবে।
তিনি সভাস্থলের পাশের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজ দেখিয়ে বলেন, এ ব্রিজ কে করেছেন? শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনের আরও এক বছর বাকি। তাই সাত্তার সাহেবকে বিজয়ী করলে এলাকার আরো উন্নয়ন হবে।
এভাবে উপনির্বাচনে জনসভায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি আচরণবিধি লঙ্ঘন কিনা- এমন প্রশ্নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, এ ব্যাপারে প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ নাই। তাছাড়া নির্বাচনের সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, স্থানীয় নারী সংসদ সদস্য উম্মে সালমা ফাতেমা বেগম শিউলী আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, সাবেক ছাত্রনেতা ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন গঠিত। দুই উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় রয়েছে ৯টি ইউনিয়ন ও আশুগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৮টি ইউনিয়ন।
উপনির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ এবং আশুগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার। উপনির্বাচনে মোট কেন্দ্র ১৩২টি। এরমধ্যে সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪৮টি ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপনির্বাচন করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনে সংসদীয় আসনে অফিসারসহ এক হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার কথা রয়েছে। এছাড়াও থাকবে ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র?্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩ জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২ জন আনসার, লাঠিধারী ১০ জন আনসার ও ২ জন গ্রাম পুলিশ। উপনির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা ভুলে গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ব্যানার হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া একদল শিশু শিক্ষার্থী এই কর্মসূচি পালন করে। জানা যায়, উপজেলার পল্লী এলাকা পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একাধিকবার হামলা সংঘর্ষ ভাঙচুর ও মামলার ঘটনাও ঘটেছে। রাত দিন ২৪ ঘণ্টাই একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতো গ্রামবাসী। গত ১৮ই এপ্রিল একটি খাস জমির দখলকে কেন্দ্র দু’দল গ্রামবাসী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে যোগ দেয়। আহত হয় শতাধিক নারী-পুরুষ। পুলিশ গ্রেপ্তার করে ২০ জনকে। পরে কয়েকশত লোককে আসামি করে পুলিশ মামলা করে।
গ্রেপ্তার এড়াতে নারী-পুরুষ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। গ্রামে বৃদ্ধ, অসুস্থ ও শিশু ছাড়া আর কাউকে খুব একটা চোখে পড়ে না। মাঝে মধ্যে পুলিশ হানা দেয়। ২-৪ জনকে ধরে আনে। এতে করে আতঙ্কে গোটা গ্রামেই এখন বিরাজ করছে ভুতুড়ে অবস্থা। একটি মাধ্যমিক ও দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গেছে। বিষয়টি ওই গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের মনে দাগ কেটেছে। তারা অনেক ভেবে-চিন্তে গতকাল সাদা কাগজে লেখা ব্যানার নিয়ে গ্রামীণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। এসময় তদের হাতে লেখা ছিল, ‘দাঙ্গা নয়, শান্তি চাই’, ‘ডু নট কোয়ারেল’, ‘দল বেঁধে স্কুলে যেতে চাই’। শিশু শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘরে বাবা নেই, ভাই নেই। মাও লুকিয়ে থাকেন। স্কুলে শিক্ষার্থী নেই। বিকালে ইচ্ছামতো খেলতে পারছি না। এভাবে আর ভালো লাগছে না। আমরা ঝগড়া চাই না। সকলে মিলে গ্রামে শান্তি এনে দেন। সকল মানুষকে গ্রামে এনে দেন।
কলেজের প্রভাষক মো. এলাই মিয়া বলেন, ওই শিশুদের আকুতি ও মনের চাওয়া আমাদের বুঝতে হবে। তাদের চাওয়াটাকে পাওয়ায় পরিণত করতে কাজ করতে হবে। শিশুরা শান্তি চায়। গ্রামের সকল সরদার মাতব্বরকে মন খুলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রয়োজনে পাশের গ্রামের লোকজনকে কাজে লাগিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে অগ্নিকান্ডে একটি মার্কেটের ১১টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। আজ ১০ মে শুক্রবার ভোরে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় গেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সরাইল উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার রিয়াজ মাহমুদ জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সরাইল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ সময় ১১টি দোকান পুড়ে যায়। এর মধ্যে হার্ডওয়্যার, সেলুন, মোবাইল বিক্রয় ও সার্ভিসিং সহ বিভিন্ন দোকান ছিল।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।