অনলাইন ডেস্ক :
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সারাদেশে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন কম্বাইন্ড পেট্রোল’। এই অপারেশনের অংশ হিসেবে রংপুর মহানগর তাজহাট থানা এলাকা থেকে রাতে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা পুলিশ। এছাড়াও ডেভিল হান্ট অপারেশন ও নিয়মিত অপারেশনে বিভিন্ন মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পেজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেফতার ২ ছিনতাইকারীরা হলেন-নগরীর বাবুপাড়া সাজাপুর এলাকার মোহাম্মদ নান্নু মিয়ার ছেলে চান মিয়া (২২) ও আনসারী মোড় নোঙ্গরখানা এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মাহিম (২০)।
এদিকে, রংপুর মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা এবং চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধকল্পে রাতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরীর বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি করা হয়। এসময় সন্দেহভাজন হলে বাইকার ও অন্যান্য গভীর রাতে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত ‘অপারেশন কম্বাইন্ড পেট্রোল’ এর আওতায় সারারাত চেকপোস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নগরীর অলি-গলি টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও বাইক পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, মোবাইল পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী মামলা ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
কক্সবাজার পৌরসভার সমিতিপাড়ায় অস্ত্রের মুখে ৩ পর্যটককে জিম্মি করে নগদ টাকাসহ মালামাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৬ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের গ্রেফতারের পাশাপাশি লুটের মালামালও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার ভবানীপুরের বড় হাতিয়া গ্রামের ফাহিম রাজ (২২) ও স্কুলরোড এলাকার শহিদুল ইসলাম (২২), কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া কালুরদোকান এলাকার শাখাওয়াত বিন কাইয়ুম ওরফে আকাশ (২৭), বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন চৌধুরীপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (১৯), সমিতিপাড়ার সৈয়দ নুর (২০) ও মো. জিসান (১৯)।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়া রাস্তারমুখে (বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের পাশে) হৃদয় (২১), তারেক আজিজ (২৩) ও সাজ্জাদ মজুমদার ওরফে শুভ (২২) নামের তিন পর্যটককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সশস্ত্র ছিনতাইকারীদের একটি দল। ওই সময় পর্যটকেরা শহর থেকে সড়কপথে সমুদ্রসৈকতের দিকে যাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে একটি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকে চেপে সেখানে আসেন ছিনতাইকারীরা। সেখানে তাঁরা তিন পর্যটককে জিম্মি করে নগদ ২ হাজার ৭০০ টাকা, একটি আইফোনসহ দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কক্সবাজার মডেল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন পর্যটককে উদ্ধার করলেও ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি চাইনিজ কুড়াল, পাইপ রেঞ্জ, চাকু, প্রায় ৬০ ইঞ্চি লম্বা লোহার চেইনসহ একটি ইজিবাইক ও নম্বরবিহীন একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। সেই সাথে পর্যটকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মুঠোফোন দুইটিও উদ্ধার করা হয়।
ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, গ্রেফতার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। সমুদ্রসৈকতের ঝাউবাগান ও সৈকতে নামার বিভিন্ন সড়কে ছিনতাইকারীরা ওৎ পেতে থাকে। তাঁরা সুযোগ বুঝে পর্যটকদের মালামাল লুট ও ছিনতাই করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন সময়ে মাদকসহ বিভিন্ন আলামতের নিস্পত্তিকৃত মামলার পৌনে ৪কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন আলামত কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
৮ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় কুরুলিয়ার পাড়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মুখে আধুনিক চুল্লি এবং ভারী যান (ভোল্ডোজার) ব্যবহার করে বিভিন্ন মাদক ও আলামত ধ্বংস করা হয়।
এসময় আলামত ধ্বংস কমিটির চেয়ারম্যান অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও নাজির সুমনময় চৌধুরী এবং মালাখানার দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ উপ-পরিদর্শক যোবাইদুল হাসান ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ধ্বংসকৃত মাদক ও আলামতের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১শত ৪ কেজি ১৩০ গ্রাম গাঁজা, ৫২ হাজার ৮শত ৪৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২শত ৯২ বোতল ফেন্সিডিল, ২হাজার ৩শত ১৯ বোতল স্কফ সিরাজ, ৪শত ৯৮ বোতল বিদেশী মদ, ৩১ লিটার চোলাইমদ, ৪টি বিয়ার ক্যানসহ অন্যান্য ১০৪পিস।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগাতিপাড়া উপজেলার শেখপাড়া এলাকা থেকে বিরল প্রজাতির একটি নীলগাই উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ২টার দিকে শেখপাড়ার একটি পেয়ারাবাগান থেকে নীলগাইটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আব্দুস সালামের বাড়ির সামনে সেটিকে বেঁধে রাখা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নীলগাইটি দেখতে ভিড় জমায় আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
নাটোরের বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গাইটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। আমরা রাজশাহী বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আসলে আমরা তাদের হাতে তুলে দেব।
অনলাইন ডেস্ক :
শহরের একটি বাসা থেকে আমিনুল ইসলাম (৩০) নামে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের নিউটাউন এলাকায় ভাড়াবাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হামিদের ছেলে আমিনুল। তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের শ্যালক ইয়াসিন মিয়া জানান, ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে সর্বশেষ মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন আমিনুল। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা কিশোরগঞ্জের পুলিশকে জানালে তারা গিয়ে বাসার দরজা বন্ধ পান। ডাকাডাকি করেও তার সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতর প্রবেশ করে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও তার ৪ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। ৭ দিন থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়িতে রেখে আবারও কর্মস্থলে ফিরে আসেন আমিনুল।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য:
রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন (নবীন বরন) ১৫ জুন রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এর সচিব ডা. মো: সরোয়ার বারীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের সাথে অনলাইনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
সেন্ট্রাল ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম সমাপ্ত হবার পর কলেজ ক্যাম্পাসে নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ উত্তম কুমার পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী এর পক্ষে হাসপাতাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী।
বক্তব্য রাখেন- হসপিটাল এর পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) অধ্যাপক ডাঃ এ কে মাহবুবুল হক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ভূঁইয়া।
বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের ভালো চিকিৎসক হবার পাশাপাশি ভালো মানুষ হবার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকগণ নবাগত দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এরপর শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডাঃ ফজলুল করিম এবং একাডেমিক পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ফেজ কো-অর্ডিনেটর গণ অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস প্রফেশনাল পরীক্ষায় (নভেম্বর ২০২৪) অনার্স মার্ক অর্জনকারী ৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়- ধীরাজ স্ট্যানলি (ভারত), সানজিদা কবির ঐশী (বাংলাদেশ), সোনিকা থাপা (নেপাল) ও ওয়ানিমা তাবাসসুম (বাংলাদেশ)।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকগণ নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার বিতরণ করা হয়।