অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে তিনি পদত্যাগের কথা জানান।
নাহিদ ইসলাম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তরুণদের নেতৃত্বে যে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হচ্ছে সেই দলের আহ্বায়ক হতে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামও বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন পদত্যাগ করেই তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন। আজকে তার পদত্যাগের মধ্যদিয়ে সে পথ অনেকটা সুগম হলো। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ছাত্রদের পক্ষ থেকে নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হবে।
রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। নতুন এ দলের নাম না জানা গেলেও এর নেতৃত্বে নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব হবেন আকতার হোসেন থাকবেন বলে জানা গেছে।
নতুন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠক পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম থাকার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষ পদগুলোতে নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ থাকবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, নাহিদ ইসলামকে ট্যাগ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সারজিস আলম দুপুরে ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার। রাজপথে স্বাগতম সহযোদ্ধা।’
অনলাইন ডেস্ক :
১৩০ দিন পর আজ খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এবার মসজিদের ৯টি দানবাক্স বা সিন্দুকে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা।
আজ ২০ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মসজিদের ৯টি সিন্দুক খোলা হয়। এরপর টাকাগুলো বস্তাবন্দি করে নেওয়া হয় মসজিদের দোতলায়।
টাকাগুলো ভরতে ২৭টি বস্তার প্রয়োজন হয়। পুরো কাজে তত্ত্বাবধান করছেন জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট।
এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল মসজিদের সিন্দুকগুলো। তখন পাওয়া গিয়েছিল ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
এবার দানের পরিমাণ সেই টাকাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের সিন্দুকে পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তারও আগে ৬ মে মসজিদের সিন্দুকে মিলেছিল পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ সাত হাজার ৬৮৯ টাকা। জানুয়ারি মাসেও পাওয়া যায় চার কোটিরও বেশি টাকা।
স্থানীয়রা জানান, এ মসজিদের দানবাক্স খুললেই পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। এ কারণে মসজিদের দানবাক্সে কী পরিমাণ টাকা পাওয়া গেল, তা নিয়ে লোকজনের থাকে অনেক কৌতূহল। তাই গণনা শেষে জানিয়ে দেওয়া হয় টাকার অঙ্ক।
তবে স্থানীয়রা অনেকে বলেছেন, স্বচ্ছতার স্বার্থে আয়ের পাশাপাশি মসজিদের টাকা-পয়সা ব্যয়ের হিসাবটাও জনসম্মুখে নিয়মিত প্রকাশ করা উচিত। ইদানীং মসজিদে দানের প্রবাহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
স্থানীয়রা জানান, মুসলমানসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন এ মসজিদে দান করে। এখানে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয় এমন বিশ্বাস থেকে তারা ছুটে আসে পাগলা মসজিদে। দান করে মোটা অঙ্কের টাকা। তবে এ মসজিদের দানবাক্সে যে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়, তা জেলার আর কোনো মসজিদে মেলে না। টাকার সঙ্গে সোনা-রুপার অলঙ্কারসহ থাকে বিদেশি মুদ্রাও। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি, ফলফলাদি, মোমবাতি ও ধর্মীয় বই দান করে লোকজন।
তা ছাড়া আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় দানবাক্সে পাওয়া চিঠিপত্র। এসব চিঠিতে লোকজন তাদের জীবনে পাওয়ার আনন্দ, না-পাওয়ার বেদনা, আয়-উন্নতির ফরিয়াদ, চাকরির প্রত্যাশা, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের আশা ও রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে আকুতি প্রকাশ করে। এমনকি শত্রুকে ঘায়েলের দাবিও থাকে কোনো কোনো চিঠিতে।
দানবাক্স বা সিন্দুক খোলার সময় মসজিদে নেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বড় দল টাকা-পয়সা গণনার তত্ত্বাবধান করে থাকেন।
সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিন্দুকের টাকা-পয়সা বস্তাবন্দি করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। পরে বস্তাগুলো ধরাধরি করে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপেক্ষমাণ গণনাকারীদের সামনে ঢেলে দেওয়া হয় টাকাগুলো। এভাবেই শুরু হয় গণনার কাজ।
পাগলা মসজিদের টাকা জমা হয় রূপালী ব্যাংকে। তাই এই ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদের কর্মচারী ও কমিটির লোকজন, মাদরাসার ছাত্রসহ সব মিলিয়ে দুই শতাধিক লোক সারা দিন টাকাগুলো গুনবে।
মসজিদ পরিচালনা, এর অর্থ-সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ২৯ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে জেলা প্রশাসক ও কিশোরগঞ্জ পৌর মেয়র।
জানা গেছে, মসজিদের দানের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে। আর ওই টাকার লভ্যাংশ থেকে গরিব অসহায় লোকদের আর্থিক সহায়তা, ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্তদের আর্থিকভাবে অনুদান দিয়ে মসজিদটি আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছে। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদান দেওয়া হয় মসজিদের তহবিল থেকে। এইসব সেবামূলক কর্মকাণ্ড সারা বছরই করে থাকে পাগলা মসজিদ।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শুধু মুসলমান নয়, অন্য ধর্মের লোকজনও পাগলা মসজিদে বিপুল অঙ্কের টাকা-পয়সা দান করে। সব সম্প্রদায়ের মানুষ পাগলা মসজিদ পরিদর্শনে আসে। যা প্রকৃতপক্ষে অসাম্প্রদায়িকতার বিরল এক দৃষ্টান্ত।
মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দানের টাকায় মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। মসজিদ ঘিরে এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি দৃষ্টিনন্দন বহুতল ইসলামী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ থাকবে আরো বিভিন্ন আয়োজন। এ প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শেষের পথে। এখন সব কিছু গুছিয়ে আনা হচ্ছে। খুব শিগগিরই হয়তো কাজে হাত দিতে পারব আমরা।
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদ গড়ে উঠেছিল। সময়ের সঙ্গে আজ পাগলা মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে খ্যাতিও।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চে উঠতে গিয়ে নারী-শিশুসহ ৫ যাত্রী বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সবাই। আজ ৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এ ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধারে নেমে পড়েন। পরে লঞ্চের রশি বেয়ে সবাইকে একে একে উপরে টেনে তোলা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই যাত্রীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত চাপের কারণে সদরঘাটে লঞ্চে ওঠার সময় ধাক্কাধাক্কিতে ওই পাঁচজন যাত্রী বুড়িগঙ্গায় পড়ে যান। পরে ঘটনার পরপরই দ্রুত স্থানীয় কয়েকজন পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং তলিয়ে যাওয়ার আগেই সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদে উপরে তোলেন। একপর্যায়ে লঞ্চের রশি ও ঘাটের সিঁড়ি ব্যবহার করে সবাইকে উদ্ধার করা হয়। তারা প্রত্যেকে সুস্থ রয়েছেন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিআইডব্লিউটিএ বা নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
উন্নয়নমূলক কার্যক্রম মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ২৮ জুলাই রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাসিক এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। মন্ত্রী উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে আবশ্যিকভাবে মন্ত্রণালয়ে পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি যথাসময়ে দফতর ও সংস্থার অনুকূলে অর্থ ছাড় এবং যাদের গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে সেসব দফতর ও সংস্থার গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে মানসম্মত দেশীয় পণ্য বিশেষ করে লিফটসহ দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয়ের জন্য মন্ত্রী নির্দেশ প্রদান করেন।
সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে প্রচলিত আর্থিক বিধিবিধান বিশেষ করে পিপিআর- ২০০৮ ও ফিন্যান্সিয়াল রুলস যেন যথাযথভাবে মেনে চলা হয় সে ব্যাপারে তিনি সবাইকে সর্তক থাকতে বলেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য মোট ৬০৮১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা গত বছর একই সময়ে ছিলো ৮৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে এ বছর জাতীয় অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আশরাফুল আলম, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হকসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সব দফতর ও সংস্থার প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল আজ ১২ সেপ্টেম্বর রাতে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর পুরাতন গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ তোজাম্মেল হক (৩৭) (মূলহোতা), পিতা- মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, ২। মোঃ মাসুদ রানা (৪৫), পিতা- মৃত লায়েস উদ্দিন, উভয় সাং-বাজিতপুর (পুরাতন গ্রাম) , থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জদ্বয় কে ১০০(একশত) গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় উল্লেখিত আসামী মোঃ তোজাম্মেল হক মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদক বহন করে অন্যত্র যাচ্ছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব এর একটি চৌকস আভিযানিক দল শিবগঞ্জ থানার বাজিতপুর গ্রামে ফাঁকা রাস্তায় তাকে আটক করে।
আটকের পরে জিজ্ঞাসা বাদে সে জানায় যে, সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মোঃ মাসুদ রানা এর বাড়ীতে হেফাজতে রাখে। আভিযানিক দলটি তাকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করে তার ঘর থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে এবং তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানা যায় যে মো: তোজাম্মেল হক প্রায়শঃই মাদক ক্রয় করে উক্ত ব্যক্তির কাছে হেফাজতে রেখে তার মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত।
উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। র্যাব-বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হামলা, সংঘাত ও সংঘর্ষের প্রতিটি ঘটনার তদন্তে আবারও জাতিসংঘ (ইউএন) ও অন্যান্য দেশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাদের দক্ষতার মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই প্রত্যেকটি জিনিসের তদন্ত হোক। কারণ, এর পেছনে কী কীভাবে, কী কী ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তে বেরিয়ে আসুক। আমি জাতিসংঘের কাছেও আবেদন করেছি, তারা যেন তাদের বিশেষজ্ঞ পাঠায়, অন্য কোনো দেশ যদি চায়, তারাও যেন বিশেষজ্ঞ পাঠায়। কারণ, আমি চাই এই ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে–ই দায়ী থাক, আমাদের তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথাগুলো বলেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষক লীগ (বিকেএল) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সাম্প্রতিক সহিংসতায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের আড়ালে জঙ্গিরা তাদের হিংসার দাঁত দেখিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর সহ্য করা হবে না। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গড়ব আর তারা সব ধ্বংস করে, লন্ডভন্ড করে দেবে, আমার দেশের মানুষকে কষ্ট দেবে, মানুষ ভুক্তভোগী হবে, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা, এটাই তো আমি দেখি তাদের সব থেকে বড় জিনিস।’
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই বলে নিজের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন, জামায়াত ও শিবির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে এবং নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে এ লক্ষ্যে সতর্ক থাকতে হবে এবং আমি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন ধ্বংসস্তূপে রূপ নেওয়ার আগে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ করেছে। তারা মিছিল করে যেখানে যেতে চেয়েছে, তাদের সেখানে যেতে দিয়েছে। তিনি নিজেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদরত শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ওপর সরকারি সংস্থার হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকায় যেভাবে মেরেধরে শিক্ষকদের রাস্তার ওপর ফেলে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে হার্ডলাইনে গিয়ে আন্দোলন দমন করেছিল, তাঁর সরকার সে পথে যায়নি এবং শক্তিও প্রয়োগ করেনি; বরং তাদের দাবি মেনে নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী মিথ্যা অপপ্রচার সমানে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি ক্ষমতায় থেকে মানুষের জীবন নেব, সেটা তো কখনো হতে পারে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারপরও আজ বাংলাদেশে এতগুলো প্রাণ যে ঝরে গেল, এর দায়দায়িত্ব কার? একটা জিনিস গেলে আবার গড়ে তোলা যায়, কিন্তু জীবন গেলে তো আর ফিরে পাওয়া যায় না।’
এ জন্যই আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানের পাশাপাশি ঘটনাগুলোর তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট বিচার বিভাগীয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদ ও সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।