চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এ‘র আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উঠান/উন্মুক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলার সহকারী উপজেল শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ কবীর হোসেন, প্রধান শিক্ষক সমরেন্দ্র রায়, সহকারী শিক্ষক আব্দূল হক, সহকারী শিক্ষক অনিতা রাণী মজুমদার, সহকারী শিক্ষক তানজিনা আক্তার, সহকারী শিক্ষক রোকসানা পারভীন ও সহকারী শিক্ষক রায়হানা বেগম-পূর্বভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সভাপতির বক্তব্যে দীপক চন্দ্র দাস বলেন ডেঙ্গু, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দান, শিশু ও নারীর অধিকার, শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্যোগকালীন নারী- শিশুর সচেতনতা, জেণ্ডার সমতা ও নিরাপদ মাতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
উক্ত উঠান বৈঠকে বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকিস্বরুপ। অনুষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দ ও আগত শ্রোতা প্রায় তিন শতাধিক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন-২০১৩ ও এর বিধিমালা-২০১৭, মায়ের দুধের উপকারিতা ও গুড়াঁ দুধের অপকারিতা শীর্ষক অবহিতকরণ সভা আজ ৩ মার্চ রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম সঞ্চালানায় অনুষ্ঠিত বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা, এম আই এম পুষ্টিবিদ ডাঃ তোফায়েল ও জাতীয় পুষ্টি ইনস্টিটিউটের ট্রেইনার ডাঃ মিঠুন দেবনাথ।
সভায় উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অবহিতকরণ সভায় “মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহার ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ (মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন-২০১৩) বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়। তিনি দোয়াত-কলম প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
আজ ৩ মে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরে তার বাসায় (প্রদীপ কুমার রায়) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনি অসুস্থ। তিনি নির্বাচন করবেন না এবং নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। তিনি বলেন আমার শারিরীক অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। সে জন্য ভোটারদের কাছে বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ডাক্তারসহ পরিবার ও এলাকাবাসীর পরামর্শক্রমে আমি চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। তবে আমি আমার আদর্শিক রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবো না। আপনারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তা এ জীবনে ভুলবার নয়। আমার জন্য দোয়া করবেন দ্রæত চিকিৎসা নিয়ে আপনার কাছে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারি। আমার সকল ভোটার ও স্বজনদের কাছ থেকে দোয়া চেয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিদায় নিচ্ছি।
উল্লেখ্য তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে প্রচারণার শুরু থেকে মাইকিং, পোস্টারিং, গণসংযোগ ও বিভিন্ন উঠান বৈঠক করছিলেন।
গত ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকালে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বড়ইউড়ি গ্রামে উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেয়ার সময় বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হলে প্রথমে তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫ দিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার নিজ এলাকায় আসেন এবং নিজের অসুস্থতা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসীসহ পারিবারিক সিদ্ধান্তে নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা আজ দুপুরে সাংবাদিকদের জানান তিনি। তবে তিনি কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেননি।
নাসিরনগরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রদীপ কুমার রায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের সর্বশেষ জনসভায় জনতার বাঁধভাঙ্গা স্রোত।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশিষ্ট শিল্পপতি (সিআইপি) সৈয়দ একে আনোয়ারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, লন্ডন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হক, সির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম (গরীবুল্লাহ সেলিম), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহীন, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সকল ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি বিজয়ী হলে আজীবন আপনাদের কল্যানে কাজ করব। তিনি বলেন আমি বিজয়ী অনুকরণীয় নাসিরনগর প্রতিষ্ঠা করবো। হয়রানিমূলক মামলা নিরসনসহ নাসিরনগরের বিশ্বমানের হাসপাতাল নিমার্ণ ও শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক যুবতীকে চাকরির ব্যবস্থা করবো।
তিনি বলেন এবারের নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার সারা বিশে^র কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ^ দরবারে নির্বাচন নিয়ে হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার বলভদ্র নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত (৪০) এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বড়িশ্বর ইউনিয়নের বলভদ্র নদীর ঢালা নামকক এলাকা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার হয়।
জানা যায়, শনিবার দুপুরে বড়িশ্বর বলভদ্র নদীতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তির পড়নে একটি প্যান্ট ছাড়া কিছুই ছিল নেই। আনুমানিক ৪/৫ দিন পূর্বে মারা গেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, ওই ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় বাড়িছাড়া প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। প্রতিপক্ষরা তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে গরু, হাঁস, পাকা ধান, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। অবশ্য লুট হওয়া ২২টি গরু উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ফেরত দিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু তারা বিপাকে পড়েছে ধানি জমি নিয়ে।
বছরের এ সময়টায় পাকা ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করেন পরিবারের সবাই। পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্ক আর প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়িছাড়া হওয়ায় সময় মতো কাটতে না পারায় ৬০টি পরিবারের ৪০০ বিঘা জমির পাকা ধান নষ্ট হচ্ছে জমিতেই। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন। আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার গ্রামবাসীকে নিয়ে ধান কাটার জন্য গঠন করা হয়েছে ১১ সদস্যের সম্প্রীতি কমিটি।
এর আগে পাকা ফসল জমিতে নষ্ট হওয়ায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভলাকুট ইউনিয়নের বীর মুক্তিযুদ্ধা কার্তিক চন্দ্র দাস। পরে সংসদ সদস্য, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিবাদ এড়িয়ে দ্রুত আসামি পক্ষের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেন।
সরেজমিন খাগালিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, বিশাল এলাকাজুড়ে পাকা ধান পড়ে আছে। আর কয়েকদিন গেলেই সেগুলো আর কাটা যাবে না। ফলে পাকা ধান ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জরিফা বেগম জানান, কৃষিই আমাদের আয়ের একমাত্র ভরসা। সারা বছরের মধ্যে শুধু ধান চাষ করেই আমাদের পেট চলে। কিন্তু এবার যদি ধান না কাটতে পারি আমরা আগামী এক বছর কিভাবে চলবো।ইউএনও স্যার এসে কমিটি গঠন করে দিয়ে গেছে। আশা করছি, দ্রুতই পাকা ধান কাটতে পারবো।
সম্প্রীতি কমিটির প্রধান ও ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া বলেন, আমি এ পর্যন্ত ২২টি লুট হওয়া গরু উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। পাকা ধান কাটার জন্য একটি সম্প্রীতি গঠন করা হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয় কৃষক ধান কাটতে না পারার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। বিষয়টি সমাধানে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ফখরুল ইসলাম বলেন, মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় কৃষকের পাকা ধান কাটার অনিশ্চিয়তার বিষয়ে আলোচনা হয়। শনিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে ধান কাটার বিষয়ে একটি সম্প্রীতি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। আশা করছি, পাকা ধান কাটতে সমস্যা হবে না।
গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন বিকালে খাগালিয়া ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রব মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের পক্ষের লোকজন খাগালিয়া নতুন বাজার এলাকায় সরকারি খাস জায়গায় ধান মাড়াইয়ের ‘খলা’ স্থাপনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ালে জামাল মিয়া নামে এক কৃষক নিহত হন। এরপরই শুরু হয় প্রতিপক্ষের বাড়িতে লুটপাট।