চলারপথে রিপোর্ট :
“শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়ন নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা” এই প্রতিপাদ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার সুহিলপুরে ৫ আনসার ব্যাটালিয়নে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা রেঞ্জ কমান্ডার মোহা: মাহবুবুর রহমান, পি.এ.এম.এ., পি.ভি.এম.এস.।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম। উপজেলা প্রশিক্ষক মোঃ জুয়েল মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা রেঞ্জ কমান্ডার মোহা: মাহবুবুর রহমান, পি.এ.এম.এ, পি.ভি.এম.এস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার এহতাশামুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ নোমান মিয়া ও সুহিলপুর ৫ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক জানে আলম সুফিয়ান, পি.এ.এম, পি.ভি.এম.এস। সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ড্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ জননিরাপত্তা ও সংকট-দুর্যোগকালীন সময়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবদান ও গৌরব গাঁথা তুলে ধরেন। এ সময় বাহিনীর প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল সদস্যদের মাঝে উপহার হিসেবে বাইসাইকেল, সেলাই মেশিন ও ছাতা বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া ডিসি প্রজেক্টে থাকা কাশবনে চলছে ছবি তোলার হিড়িক। প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় পুরো প্রজেক্টেই ছেয়ে গেছে এখন কাশবনে। ডিসি প্রজেক্টের ভেতরেই নির্মিত হয়েছে মডেল মসজিদ। মডেল মসজিদ নির্মাণ হওয়ার পর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে কাশবনও।
মডেল মসজিদ ও কাশফুলে মিলে ডিসি প্রজেক্ট এলাকাকে হয়ে উঠেছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ভান্ডার। প্রতিদিন কাশফুল দেখতে সেখানে ভীড় জমে হাজারো মানুষের। দুপুরের পর থেকেই সেখানে ঢল নামে প্রকৃতিপ্রেমীদের। মানুষ দল বেঁধে সেখানে যান কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা সেখানে গিয়ে ছবি তুলেন। প্রতিদিন হাজারের মানুষের পদভারে সেখানে এক অভ‚তপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়।
সেখানে ছবি তোলার জন্য রয়েছে কয়েকজন পেশাদার ফটোগ্রাফার। প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেকেই আবার খাদেমের অনুরোধ না শুনে মসজিদের বারান্দা, মসজিদের দোতলায় গিয়েও ছবি তুলেন। এতে করে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। প্রকৃতিপ্রেমী আশরাফ মেহেদী বলেন, এই জায়গায় এলে আর বাড়ি যেতে মন চায়না। কাশবনে মিলিয়ে যেতে মন চায়।
পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা আজিজ আহমেদ বলেন- সুযোগ পেলেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি। কাশবনের সাথে মডেল মসজিদটিও এ জায়গার সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
সেখানে ঘুরতে যাওয়া হাফেজ মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন খান বলেন, সৌন্দর্য্য মহান আল্লাহর দান। তিনি বলেন, মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করা কারো উচিত নয়। তিনি ছবি তোলার সময় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের ৪৯ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ মাঠে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মরিয়ম আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রিসেন্ট কিন্ডার গার্টেনের পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি এড. মো হাবিব উল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ কমিটির সদস্য এ. বি. এম. তৈমুর, সদস্য তাসমিয়া সুলতানা, সদস্য ডা. শারমিন সুলতানা, সদস্য ডা. মো. গোলাম সারোয়ার এবং সদস্য মোসলেহ উদ্দিন।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল ও ব্যাংক কর্মকর্তা কুলসুম আক্তার বৃষ্টি প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ নাছরিন আক্তার। সকল অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানটি পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়, এরপর জাতীয় সংগীত এবং বিদ্যালয়ের সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য, সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন, যা উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমন্ত্রিত অভিভাবক, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ বিপুলসংখ্যক দর্শকদের আকর্ষন করে।
এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ১৫টিরও বেশি খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক বিষয় যেমন নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত, চিত্রাঙ্কনে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন-শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি একে অপরের পরিপূরক। ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে, যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চায় সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশ ঘটে।
সপ্তাহ ব্যাপী পুরো আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সাজসজ্জ্বায় ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো রিয়াজ উদ্দিন মুন্সি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শারমিন ফেরদৌস।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল রবিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৫ টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি একেএম মফিজুর রহমান ভূঁইয়া মামুনের সভাপতিত্বে এবং সদর উপজেলার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া শিপু ও পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান অপুর পরিচালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আফজালুর রহমান বাবু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম মাহবুবুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মার্সেলা সুইটি হালদার। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচন নির্ধারণ করবে শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ মানুষকে আশা আকাঙ্খার প্রতিক হিসেবে দেশকে নেতৃত্ব দিবেন কি না। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে সকলকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন পেতে হলে শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ একরামুল হক নাহিদ। অভিযানে বিহাইর গ্রামের একটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে ৬০০ ফুট অবৈধ পাইপ লাইন উচ্ছেদ ও ১ কিলোমিটার এলাকার গ্যাস পাইপ লাইন নিষ্ক্রিয় করাসহ ৩১টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি গোপন সূত্রে তথ্য সংগ্রহও করে আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযানে যায় বাখরাবাদের আভিযানিক দল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে ৩১ গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ অবৈধ শনাক্ত হওয়ার পর এসব সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম, উপব্যবস্থাপক গোলাম মুক্তাদির, উপব্যবস্থাপক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপন প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে আমাদের টিম ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বড় কয়েকটি অবৈধ গ্যাস লাইনের নেটওয়ার্ক আমরা উচ্ছেদ করেছি। অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, মামলাজট একটি পুরাতন ব্যাধি। মামলাজট কমাতে গেলে বিচারকের সংখ্যা বাড়াানোর পাশাপাশি বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে হবে।
আজ ১ মার্চ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত প্রাঙ্গনে আগত বিচার প্রার্থীদের জন্য নব-নির্মিত বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আরো বলেন, মামলা জট এটা নতুন কিছু নয়, এটা একটি পুরাতন ব্যাধি। মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য মামলা জট বাড়ছে। মানুষ লেখাপড়া যত শিখছে এতে মনে হয় মানুষ এক ধরনের অস্থির প্রবণ হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করে বুঝাতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, শুধু মামলা-মোকদ্দমা করেই সমস্যা সমাধান হয় না। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। আগে গ্রামের সালিশ ছিল। আইন করে “বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি” পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটাকে যদি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলা জট কিছুটা কমবে। তিনি বলেন, যে পরিমাণ বিচারক সারা বাংলাদেশে থাকা দরকার সেই পরিমাণ বিচারক নেই। আমাদের দেশে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার মানুষের জন্য একজন বিচারক। তা আবার সহকারী জজ থেকে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত। এত কম বিচারক দিয়ে মামলা জট কমানো সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রতিবছর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি। এই সংখ্যাটা বাডাতে হবে। লজিস্টিক সাপোর্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিচারকরা কোর্টে অলস সময় কাটান না। তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মামলার শেষ হচ্ছে না। মামলা আরো বাড়ছে। তিনি বললেন এক বছর যদি থাকে মামলা ৫০০, পরের বছর দেখা যায় মামলা সংখ্যা ৫৫০ হয়ে যায় ।
তিনি বলেন, মানুষ বাড়ছে। জমি জমার দাম বাড়ছে। খামোখা মামলা হয়। অনেক মামলা এমনিতেই হয়। আমরা যে বিষয়টি পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমাধান করতে পারি সেটা না করে আমরা আদালতে চলে যাই। সেজন্য মামলা বাড়ছে । বিচার প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। আশা করি এর একটা সমাধান হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আমি এবং আমরা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সরকারকে বলবো এ ব্যাপারে যেন আরও নজর দেন। বিচারক সংখ্যা যেন বাড়াানো যায় সে চেষ্টা যেন তারা করেন।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১এর বিচারক মোঃ ফারুক, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, জেলা জজকোর্টের জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, পিপি অ্যডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারক সহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি সিজিএম কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকেলে তিনি আখাউড়া উপজেলার ধলেশ্বর গ্রামে রাবেয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।