অনলাইন ডেস্ক :
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে অপারেশন ডেভিল হান্টে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর ফুলবাড়ী পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির চকিয়াপাড়া গ্রামের আইন উদ্দিন এর ছেলে মোস্তাকিম (৪২)। ইতিপুর্বে তার বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার মৃত আজিজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই উপজেলার আব্দুস সালামের ছেলে নুর আমিন (২০) তাদেরকে ১৫০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করে।
উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দাদপুর মালিপাড়া গ্রমের আলাচান মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৫), একই ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মৃত কুমির উদ্দিন সর্দার এর ছেলে আমিনুল হক সর্দার(৫৯)। পৌর এলাকার পশ্চিম গৌড়ীপাড়া গোমের শহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৯), একই গ্রামের লোকমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৭), মোজাম্মেল হকের ছেলে মোরশেদ আলম (৩০), মৃত সোলেমান মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪১), হাছান আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৫৫), মৃত কামাল উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম লাল বাবু(৫০)। কাজিহাল ইউনিয়নের বাজনাপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন এর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৭)। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর অপারেশন ডেভিল হান্টে ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত মোস্তাকিমসহ ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে ১৪টি চুরি-ডাকাতি মামলা রয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বুধবার দিনাজপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পেইনে জেলার সাড়ে ৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশু রয়েছে ৫৮ হাজার ৪০৮ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭০ জন।
শনিবার সকালে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ হিমেলসহ স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীগণ। দিনব্যাপী ক্যাম্পেইনে জেলার ১০টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৭৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ২ হাজার ৪৩৩টি কেন্দ্রে ৩৩৮জন স্বাস্থ্য সহকারি, ১০০জন এএইচআই, ৩৪৮জন পরিবার কল্যাণ সহকারি এবং ৮৭জন এফপিআই দায়িত্ব পালন করেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অন্ধত্ব’ প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের’ দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল। এ ছাড়া দেশব্যাপী নারীদের উপর সহিংসতা, নিপীড়ন ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদ এবং বিচার করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগের দাবিও জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
আজ ১০ মার্চ সোমবার দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ মানববন্ধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন ছাড়াও যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব, আনারুল ইসলাম, মনিরুল হক, সদস্য সাব্বির, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, সৌরভ, উল্লাস, মুক্তাদির, সাক্ষর প্রমুখ।
ছাত্রদলের নেতারা বলেন, দেশব্যাপী ধর্ষণের সিরিজ চলছে। ধর্ষণের বিচার দেখছি না। স্বাধীন বাংলাদেশে কোন নারী, কোন মা, কোন বোন যেন আর ধর্ষণের শিকার না হয় সেজন্য দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, দেশব্যাপী নারীদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে আমরা আজ এখানে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। আছিয়ার মতো বোনেরা কেন ধর্ষণের শিকার হবে? তাদের বিচার হতে এতো বিলম্ব হবে কেন? আমরা দাবি জানাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এছাড়া বিচার কার্যক্রম আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। যদি তাদের বিচার করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনারা পদত্যাগ করুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় উঠানে ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুজন কবির (৩২) নিহত হয়েছে। আজ ১ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন ফকির (৩২) উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামের খোকন ফকিরের ছেলে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, সকালে জাজিয়া গ্রামের নিহত সুজন ফকিরের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই শাওন ফকিরের বাড়ির উঠানে কে আগে ধান শুকাবে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে শাওন ঘরে থাকা ছুরি এনে সুজন ফকিরকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুজন মারা যায়। ঘাতক শাওন ফকিরকে আটক করতে অভিযান চলছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সরকারি গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের কনফারেন্স হলে সাধারণ সভা শেষে কমিটি গঠন করা হয়। এতে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনের গাড়ি চালক মো. রুহুল আমিনকে সভাপতি ও বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাড়ি চালক মো. নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মো. শহীদ মিয়া। সমিতির বরিশালের সাবেক সভাপতি মো. মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. ইউসুফ ও মো. জাকির হোসেন, সহ সধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী ও মো. সেকান্দার আলী কোষাধ্যক্ষ মো. কিবরিয়া এবং দপ্তর সম্পাদক মো. দরবেশ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৪৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা।
আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭৭১ পিস কসমেটিক্স সামগ্রী, ২১ কেজি কিসমিস, ৯ টি গরু, ৬৩২৮ পিস চকলেট, ৪,৭৫৭ কেজি চিনি, ৪৪৯ বোতল চুলের তেল, ৩৯৮ পিস ডব্লিউপি পাপা কিটনাশক, ৯০৬ পিস তালা, ৮৬ কেজি ফুচকা, ১৮ বোতল বড়ি ওয়েল, ৬৩,০০০ পিস বাঁজি, ১১৭ কেজি বাংলাদেশী রসুন, ২১৩ কেজি বাসমতি চাউল, ১টি মোটরসাইকেল, ৫১৬ প্যাকেট সেমাই, ১৯২ বোতল হুইস্কি, ১১ বোতল বিয়ার, ৫ কেজি গাঁজা এবং ৫৫ বোতল ইস্কফ সিরাপ উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।