চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৪০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে ইউসিসি’র অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারজানা খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআরডির উপ-পরিচালক মো: বেলাল হোসেন। এ সময় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি বলেন, সমবায় শুধু একটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নয়, এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সমবায় সংগঠন বা সমিতি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও শক্তিকে একত্রিত করার মাধ্যমে দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করে।
সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কমল চন্দ্র বণিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন, ইউসিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল হোসেন চকদার, ইউসিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান মো: ইসমাইল হোসেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ইউসিসির সাবেক সহ-সভাপতি নবী নেওয়াজ ভূঁইয়া, ইউসিসির সহ-সভাপতি সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া, সমবায়ী জমির উদ্দিন,পরিদর্শক মো: আক্তার মিয়া প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: মাসুদ রানা। সভায় আয়-ব্যয় ও প্রতিবেদন পাঠ করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্ত মো: মাসুদ রানা।
সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন সমিতির সভাপতি/ম্যানেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ইউসিসিএ লিমিটেডের সমস্যা, জনবল নিয়োগ, উন্নয়ন, নিবার্চনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চারজনের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের চারজনের মধ্যে তিনজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা।
আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। আজ ২২ সোমবার শেষ দিনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলার গুনিয়াউক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত গোলাম সামদানি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া পাঠান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ইয়াছিন প্রবাসী হুমায়ুন কবীরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগের সমর্থক উপজেলার ধরমন্ডলের বাসিন্দা প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর এবং কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের টানা চারবারের (২০১৬ সাল পর্যন্ত) চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওমরাও খান।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন। এই আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ নেতা রোমা আক্তার, মনিরুজ্জামান সরকার ও প্রদীপ কুমার রায় একরামুজ্জামানের পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। অন্যদিকে উপজেলার ধরমন্ডলের প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের অনুসারী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হলো কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে না। আর দলের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা কেউই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি। তাঁরা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতার কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করেছে। নির্বাচন যেহেতু উন্মুক্ত। তাই কে প্রার্থী হলো বিবেচ্য বিষয় নয়।
বিএনপির নেতা ওমরাও খান বলেন, ‘সারা দেশেই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেসব নেতা-কর্মী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন, বিএনপি তাঁদের বহিষ্কার করবে। নেতা-কর্মীরা বহিষ্কার হবেন। এতে কিছু যায়-আসে না। এখানে নির্দলীয় নির্বাচন হবে। আর কোনো প্রার্থীকে আমি প্রভাবশালী মনে করি না। কেউ কোনো প্রভাব বিস্তার করতেও পারবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে দাঙ্গা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পেইন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দাঙ্গামুক্ত থাকবো, সোনার দেশ গড়। দাঙ্গা করছে দেশের ক্ষতি, নিন্দা জানাই তাদের প্রতি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করছে যারা, ভাল মানুষ হয়না তারা। আর করবো না মারামারি, দাঙ্গামুক্ত সমাজ গড়ি, স্কাউটদের এমন শ্লোগানে সকালে উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার পর্যায়ের সহস্রাধিক স্কাউট সদস্যদের অংশগ্রহনে বণার্ঢ্য একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি নাসিরনগর উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে “দাঙ্গা প্রতিরোধ বিষয়ক ক্যাম্পেইন” অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্কাউট সম্পাদক অরবিন্দু গোপের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূইয়া, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক,সহকারী শিক্ষকসহ স্কাউট শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ১২ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক দরবার শরিফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল হয়। সেখানে আতুকুড়া গ্রামের দুই যুবক মোতাব্বির ও বাদল মিয়ার মধ্যে বসার জায়গা নিয়ে তর্ক হয়। পরদিন সন্ধ্যায় আতুকুড়া গ্রামে গিয়ে সেই ঘটনায় আবার তর্কে জড়ায় দু’জন। এর জেরে এক পর্যায়ে দুই ওয়ার্ডের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ থামাতে গেলে পুলিশ সদস্য, গ্রামবাসীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার দিন রাতে অভিযান চালিয়ে দুই পক্ষের ৩২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া শতাধিক লোককে আসামি করে একটি মামলাও করা হয়েছে।
আতুকুড়া গ্রামের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া বলেন, ‘ফান্দাউক দরবার শরিফে ওয়াজে গিয়ে ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের দু’জনের মধ্যে ঝগড়ার জেরে পরদিন আকুতুড়া বাজারে গেলে ৮নং ওয়ার্ডের লোকজন আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই পরে সংঘর্ষে জড়ায়। ৯নং ওয়ার্ডের ২৫ জন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখান থেকে পুলিশ সবাইকে আটক করে।’ তবে এ ব্যাপারে ৮নং ওয়ার্ডের কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরে কামেলে মোকাম্মল হযরত শাহসূফী আলহাজ¦ সৈয়দ আবদুস ছাত্তার নকশে বন্দী (রঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী আলহাজ¦ সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম) নকশে বন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রঃ) দ্বয়ের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী ফান্দাউকের সভা আগামী ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্র ও শনিবার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
দু‘দিনব্যাপী মাহফিলের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে শুক্রবার বিকেল থেকে। মাহফিল উপলক্ষে প্রায় ১৫ দিন ধরে সামিয়ানা টানানোসহ অন্যান্য কাজ চলছে। বিশাল প্যান্ডেল টানানো হয় আশেকানদের জন্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ভৈরবসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। তাদের সুবিধার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। শতাধিক শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। ৫ হাজার লোক এক সাথে খাবার খাওযার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে। আর এর পুরোটাই করা হচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। এক পাশ থেকে অন্যপাশ দেখা যায় না। এ মাহফিলকে ঘিরে এলাকার লোকজনের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। প্রতিবারের ন্যায় এবারও লাখো মুসল্লির অংশগ্রহনে মূখরিত হবে ফান্দাউক দরবার শরীফ। মাহফিলে তা‘লীম তারবিয়াত প্রদান করবেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন আলহাজ¦ মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন)। ওই মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত হয়ে দু‘জাহানের অশেষ ছওয়াব হাসিলের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বাদ ফজর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন আলহাজ¦ মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আক্ষাদ (মামুন)।
উল্লেখ্য, মাহফিলে দরবার শরীফের আওতায় পরিচালিত প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে পাগড়ি প্রদান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে পাগলা কুকুরে কামড়ে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা একটি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
স্খানীয়রা ও কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা জানায়, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে একটি বেওয়ারিশ কুকুর আসে। পরে কুকুরটি রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই কামরায়। প্রথমদিন কুকুরটি ১৩ জনকে কামড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুকুরটি আরো ৭ জনকে কামড়ায়। আক্রান্তদেরকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় জানান, ১৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমাদের হাসপাতালে অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন নেই তবে ইমিউনোগ্লোবুলিন ডোজ রয়েছে। ৩ জন এ ডোজ নিয়েছেন।