চলারপথে রিপোর্ট :
নারী-শিশু ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। জাতীয় ছাত্রসমাজের নেতাকর্মীরা এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে দুই দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘নিরাপত্তা দিন, উপদেষ্টা বানিয়েছি শুধু এসি গাড়িতে চড়ার জন্যে নয়। যদি নিরাপত্তা না দিতে পারেন তাহলে ক্ষমা প্রার্থণা করে পদত্যাগ করুন। মানববন্ধনে জাতীয় ছাত্র সমাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহবায়ক মেহেদী মোহাম্মদ নিশাত বলেন, ‘আপনারা ক্ষমতায় থেকে যদি নিরাপত্তা দিতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করে ছাত্রজনতার হাতে দেশ তুলে দিন। আর যদি আমার কোন বোন বা নারী ধর্ষণ হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক করতে না পারেন তাহলে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি বায়োজিদূর রহমান সিয়াম দুই দফা ঘোষণা করে বলেন, ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন পাশ হলেও তার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। ২০২০ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত কতটি মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, এর তথ্য ছাত্রজনতার কাছে দিতে হবে। দ্বিতীয় দফা হচ্ছে, চীনা আইনের আদলে শিশু ধর্ষণের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে মৃত্যুদন্ড আইন পাশ করতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেহেরুন্নেসা মুনিয়া, মাইনুল হাসান জুবায়ের,আমানুল হক নিশাত, সিয়াম আফ্রিদী, তৌসিফ আহমেদ, জায়েদ জীব্রিল, বিএম সাইফুল ইসলাম, মো. জাবের প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন শ্লোগান দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা পুলিশের উদ্যোগে আজ ১৯ আগস্ট শনিবার সকালে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস.এম শফিকুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
তিনটি গ্রুপে ভাগ করে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। “ক” গ্রুপে প্লে থেকে ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “রং তুলিতে বঙ্গবন্ধু”, “খ” গ্রুপে চতুর্থ শ্রেনী থেকে পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “শোকাবহ আগস্ট” এবং “গ” গ্রুপে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ” বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন করে। তিনটি গ্রুপে ২৭১ জন আঁকিয়ে অংশ গ্রহন করে। ছবি আঁকার জন্য আঁকিয়েদেরকে ১ ঘন্টা সময় দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন। শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে চিনবে, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের ইতিহাস ও স্বাধীনতার ইতিহাস জানবে। এই প্রজন্ম যেনো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর দর্শনে বলিয়ান হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকা রাখতে পডারে ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে পারে সেজনই আজকের এই আয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ছোট শিশুরা এসেছে বঙ্গবন্ধুকে ধারন করতে, বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও তাঁর আদর্শকে ধারন করতে। বাচ্চারা বঙ্গবন্ধুকে ধারন করতে পেরেছে এটাই আমাদের অর্জন। আমাদের প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে মিস করেছে, কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। তিনি প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করার জন্য শিশুদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য তিনি জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিগণ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর ও সদর উপজেলা যুবদলের যৌথ উদ্যোগে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের টি.এ. রোড প্রদিক্ষণ করে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সংক্ষিত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভ‚ইয়া খোকন, এ.বি.এম মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পুলিশ মিথ্যা ও মনগড়া মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তারা অবিলম্বে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী হিসেবে শামীম মোল্লাকে গ্রেফতা করা হয়েছে। তিনি ১৫টিরও বেশী মামলার এজহারভুক্ত আসামী। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কন্টেইনার ট্রেনের গতি বেশি থাকায় বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কাঠের স্লীপারগুলো পরিবর্তন না করা পর্যন্ত রেল লাইনের ক্ষতিগ্রস্ত ওই এলাকা দিয়ে সকল ট্রেনকে ১০ কিলোমিটার গতি চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কন্টেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় গঠিত চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির সদস্য ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতি বেশী থাকায় কন্টেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাঠের স্লীপার পরিবর্তন করে নতুন স্লীপার লাগানো পর্যন্ত রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দিয়ে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে। স্লীপার পরিবর্তনের পর ট্রেন আগের নিয়মে চলবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকার আউটার সিগন্যাল থেকে রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সকল ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। নতুন রেললাইন বসানো হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে রেলের লোকজন কাজ শুরু করেছে। কাজ শেষ হলে সকল ট্রেন পূর্বের গতিতে চলবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে ৩২টি বগি নিয়ে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী কন্টেইনার ট্রেনটি রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার পথে শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকায় পৌছলে হঠাৎ করে ট্রেনের ৩১ নং বগির পেছনের ৪টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। পরে ট্রেনের চালক লাইনচ্যুত হওয়া বগিটিসহ ট্রেনটিকে টেনে হিচড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যায়। এতে রেললাইনের পাত বেঁকে যাওয়াসহ ৯৮ থেকে ১০০টি স্লীপার ভেঙ্গে যায়।
দুর্ঘটনার পর আপলাইনে (ঢাকা অভিমুখী) ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ডাউনলাইন (চট্টগ্রাম অভিমুখী) দিয়েই দু’দিকের ট্রেন চালানো হয়।
এদিকে লাইনলাইনচ্যুত হওয়ার সাড়ে ১০ ঘণ্টা পর রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কন্টেইনার ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করে লাইনে তোলা হয়। পরে ১৪ ঘন্টা পর ঢাকামুখী আপলাইন স্বাভাবিক হলে এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এদিকে কন্টেইনার ট্রেনের একটি বগি চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার পর রেলওয়ে ঢাকার সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা-১- সাজেদুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে বিভাগ। তদন্ত কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী (সংকেত) ও সহকারী মেকানিক্যাল প্রকৌশলী (অপারেশন) এবং আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটি।
গতকাল শুক্রবার ঢাকায় মন্ত্রীর বাসভবনে তাঁকে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল মিয়া, এ্যাডহক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট নারী নেত্রী এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সেক্রেটারী মোহনা টেলিভিশন ও দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহাজাদা, সদস্য প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও, এম. এ. এইচ মাহাবুব আলম, এম সাইদুজ্জামান আরিফ, রবিউল হোসেন রুবেল, এডভোকেট ইফতেখার বারী তানভীর, মোঃ নাজির হোসেন ভূঁইয়া ও খন্দকার রায়হান।
ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে নব নির্বাচিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের নতুন এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে মন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।