চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়াকান্দী এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
৮ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আ. রহমান মিঠুন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার আ. জলিল ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় তার অপর ভাই মো. লিটন মিয়া আহত হয়েছেন।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর বড় ব্রিজের কাছে রাজাবাড়িয়াকান্দী এলাকায় একটি প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটর সাইকেলে থাকা দুই ভাই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত দু’জনতে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মিঠুন নামে একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে টর্নেডোর আঘাতে ২০টি টিনশেড ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের মেরাতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঝড়ে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চৌধুরী বাদল বলেন, সকাল থেকেই ভারি ও মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিকাল ৩ টায় হঠাৎ করে মেরাতলী মাঠের দিক থেকে প্রচন্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে।
মুহুর্তেই এলাকার ২০ টিনশেড ঘরে আঘাত করে। এ সময় সাত থেকে আটটি বসতঘরসহ অন্ততঃ ১২টি বিভিন্ন ধরনের দোকান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
এছাড়া টিনের চালা উড়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির তারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বাড়ি ঘরের উপরে গিয়ে পড়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে ১২ টি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে ট্যাবলেট খেয়ে পুষ্পিতা আক্তার (১৫) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুষ্পিতা আক্তার মারা যান। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
পুষ্পিতা আক্তার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার কাতার প্রবাসী কাঞ্চন মিয়ার মেয়ে। সে পদ্মফুল মহিলা মাদরাসার ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের চাচা আলফাজ উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিন যাবত মাদ্রাসায় যাচ্ছিলো না পুষ্পিতা। তা নিয়ে মা-মেয়ের মধ্যে রাগ-অভিমান হয়। গত বৃহষ্পতিবার পুষ্পিতার মা আকলিমা বেগম মাদ্রাসায় যেতে বললে পুষ্পিতা যায়নি। তারপর পুষ্পিতা মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কেঁরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে প্রথমে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘাটুরা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুষ্পিতা মারা যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মারা গেছে। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরাইল উপজেলায় ৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-প্রকল্পের আওতায় ঘর। আজ ২১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ইউএনও মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন জানান, মুজিব বর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই, ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য তৃতীয় পর্যায়ে সরাইল উপজেলার ৪৯টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২ শতাংশ খাস জমিতে ২ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় তৈরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল ২২ মার্চ বুধবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘর উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি তিনি সরাইল উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ৪৯ টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সরাইল উপজেলায় এ পর্যায়ে সরাইলে প্রথম পর্যায়ে ১০২টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১ টি ঘর, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে পেয়েছেন ১৮১ টি পরিবার। বুধবার পাবেন আরো ৪৯টি পরিবার। তিনি বলেন, সরাইলে মোট ৩৬৩টি পরিবার পাবেন আশ্রয়ণ প্রকল্পর ঘর। বুধবার ৪৯টি ঘর হস্তান্তর করলে ৩৬৩টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাইল উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা দিবেন।
ইউএনও মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ একটি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোন কারণে কোন পরিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (প্রেষনে) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ূব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ ১১ আগস্ট সোমবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিলেট থেকে আসা ইরফান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বিকেলে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ২৫ জন যাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহতদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। বাসটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সাদিয়া আক্তার (১৭) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী। নিখোঁজ সাদিয়া উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে। গত ১৬ মার্চ ভোরে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় মেয়ের সন্ধান চেয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা ফারুক মিয়া।
সাধারণ ডায়েরির তথ্য থেকে জানা যায়, কালিকচ্ছ কলেজ পাড়া মহিলা মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার রুবি। সম্প্রতি অজ্ঞাত এক ছেলে সাদিয়ার মোবাইলে ফোন করে কথা বলত। পরিবার বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করলেও মেয়ের কাছ থেকে ওই ছেলের নাম ও মোবাইল নাম্বার সম্পর্কে কোনো তথ্য পায়নি। গত ১৬ মার্চ ভোরে পরিবারের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখেন সাদিয়া ঘরে নেই। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত তার সাথে পরিবারের কোনো যোগযোগ নেই।
সাদিয়ার বাবা মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে কোথায় আছে, কেমন আছে তা নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ঘটনার পর ওইদিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। ১৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো খোঁজ মিলছে না। আমরা দ্রুত আমার মেয়ের সন্ধান চাই।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্ট অব্যাহত আছে। তার সন্ধান পেতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’